Better Life with Steem|| The Diary Game||11 may 2024
বন্ধুরা বর্তমানে সময় গুলো অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জীবনে সবচাইতে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি। আসলে জীবনে মাঝে মাঝে অনেক বড় বড় পরীক্ষার আসে আর এইগুলো সৃষ্টিকর্তার দেওয়া বড় পরীক্ষা। তারপরও সৃষ্টিকর্তার প্রতি হাজার শুকরিয়া জানাই কারণ তিনি সমস্যা দেয় তিনি সমাধান দেয়।
প্রতিদিনের মতোই গতকালকে ঘুম থেকে উঠি আর ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে পড়তে ছিলাম। আর এমন সময় ভাইয়া বলতেছিল আমার বোন জামাইকে হসপিটালে নিয়ে যাবে কারণ তার হাতে সমস্যা আর এই সমস্যাটা আগে আমরা বুঝতে পারিনি। তাই আমি বেশ কিছু সময় পড়াশোনা করার পর রেডি হয়ে নেই হসপিটাল যাওয়ার জন্য।
আর একটা অটো ফোন করি, যেহেতু ভাই এখন বসতে পারে তাই অটোতে নিয়ে গেলে সমস্যা হবে না। পরে ফোন করার পর অটো চলে আসে আর আমরা দশটার পরে রেডি হয়ে অটো নিয়ে চলে যায় মনোয়ারা হসপিটালে। আর এই হসপিটাল আমার এক স্যারের তাই আমি স্যারকে বলে সেখানে নিয়ে যায়।
আমরা সেখানে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম একটা ভাউচার নেই হাত এক্সরে করানোর জন্য। পরে ভাইয়াকে একটা রুমে নিয়ে যাই যেখানে হাত এক্সরে করানো হয়। পরে সেখানে হাত স্কান করার পর কিছু সময় পরেই রিপোর্ট চলে আসে। আর রিপোর্ট দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই কারণ এরকমটা আমরা কখনো ভাবিনি। ভাইয়ের হাতের কব্জি ভেঙ্গে গেছে যেটা দেখে বোঝাই যায় না। পরে ডাক্তার বলল অপারেশন করাইতে হবে আর আমরা তাকে বললাম কত খরচ হতে পারে সে বলল ত্রিশ হাজারের উপরে। শুনে একটু আশ্চর্য হলাম যে এত টাকা লাগবে শুধু হাত অপারেশন করানোর জন্য। যদি আমরা আগে হাতে সমস্যাটা বুঝতে পারতাম তাহলে পায়ের অপারেশনের সাথে হাতও করে নিতাম।
যাইহোক সমস্যা যেহেতু ধরা পড়েছে চিকিৎসা তো করতেই হবে। ডাক্তার আমাদের বলল খুব তাড়াতাড়ি এর চিকিৎসা করতে হবে। পরে আমরা হসপিটাল থেকে বাসায় আসার জন্য রওনা দেই। আর বাসায় আসার পথে ভাইয়ের কিছু ওষুধ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে বাসায় চলে আসি।
আর বাসার আস্তে আস্তে প্রায় দুইটা পার হয়ে যায় পরে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে শুয়ে থাকি। আর ভাবতে থাকি আবার হসপিটালে ভর্তি করাইতে হবে আবার একটা ভোগান্তি। আসলে বিপদ যখন আসে, চারপাশ থেকে আসে এরকমটাই মনে হচ্ছে।
পরে কিছু সময় শুয়ে থাকার পর বিকাল মুহূর্তে একটু বাইরে বের হয় আর বসে থেকে একটু ফোন দেখি, কোন কিছুই ভালো লাগতেছিল না। পরে একটা বন্ধু ফোন করে যে বাজারে আয় পরে তার ফোন পেয়ে বাজারে যাই। আর বাজারে যাওয়ার পর বন্ধু সহ পিয়াজু খেয়ে কিছুক্ষণ গল্প করার পর বাসায় চলে আসি। আর এভাবেই আমি আমার গত কালকের দিনটি অতিবাহিত করি।।
Congratulations @sabus. You received an upvote from @supportive.
সত্যি কথা বলতে কি জীবন মানেই তো পরীক্ষা। জীবনে চলার পথে হাজারো রকমের বিপদ আসে।
প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে সকালে নাস্তা খেয়েছেন। পরে আপনার দুলাভাইকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছেন এক্সরে করানোর জন্য। এক্সরে করানোর পর দেখলেন আপনার দুলাভাইয়ের হাত ভেঙে গিয়েছে।
আসলে আপনার পরিবারে দেখা যাচ্ছে বিপদ লেগেই আছে।
দোয়া করি আপনার পরিবার এবং আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
একদম সঠিক বলেছেন জীবন মানেই পরীক্ষা আর জীবনে চলার পথে অনেক সমস্যায় আসবে ।। আর সেগুলো মোকাবেলা করেই সামনের দিন পার করতে হবে।।
মাঝে মাঝে বিপদ যখন আসে তখন চার দিক থেকেই আসে। আবার আল্লাহ সাহায্য করেন তেমন ভাবে।।
কোন দিক দিয়ে বিপদ কাটিয়ে নেন সেটা বুঝাও যায় না। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাদের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেন।
এটা ঠিক যে পায়ের অপারেশনের সময় যদি হাত এর সমস্যার কথা জানতে পারতেন তাহলে একসাথেই দুটো অপারেশন করা যেত। এতে টাকা, ভোগান্তি আর সময় তিনটার হাত থেকেই বাঁচা সম্ভব হতো।
কিন্তু মাঝে মাঝে ভাগ্যের হাত থেকে বাঁচা যায় না। দ্রুতই আপনাদের সব বিপদ কেটে যাক এই দোয়া করি।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময়ই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যে আপু মাঝে মাঝে বিপদ চারপাশ থেকেই আসে আর তখন মনে হয় এই বুঝি জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে গেল।। কিন্তু না খারাপ সময়ের পরেই ভালো সময় আসে।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় পড়াশোনা করার পর বোন জামাইকে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হয়েছিলেন কারন তার হাতে একটা সমস্যা হয়েছে যেটা আপনাদের জানা ছিলো না। তবে বিষয়টা আরও গুরুতর হওয়ার আগেই বুঝতে পেরেছেন এটাই সৌভাগ্য।
তবে এক্সেরে করে দেখতে পেলেন যে হাত ভেঙে গিয়েছে যেটা সত্যি খুব খারাপ সংবাদ। আর অপারেশন করাতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। আমার মামার পা ভেঙ্গে গিয়েছিলো আর সেখানে অপারেশন করাতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা লেগেছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার বোন জামাইয়ের পা ভেঙ্গেছে ভাই সেটা অপারেশন করতে এক লাখ প্লাস খরচ হয়েছে। এখন আবার হাতের অপারেশন সব মিলিয়ে একটু সমস্যায়।।