অনেকদিন পর ভাগ্নি এসেছে
![]() |
---|
দীর্ঘ অনেকদিন পর আমার একটা ভাগ্নি আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে। আর ভাগ্নির সাথে সময় অতিবাহিত করছি যেহেতু এতদিন পর এসেছে তাকে সময় দেওয়াটা প্রয়োজন।। তার বাসা কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গা মারি,, আমাদের বাসা থেকে অনেক দূর।। অতিরিক্ত দূরে হওয়ার জন্য যাতায়াত করা হয় না বললেই চলে।।
![]() |
---|
তার নাম আঁখি এখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা করছে। সে আমার খালাতো বোনের মেয়ে, আমার একটা মাত্র খালা আর ওনার ছয়টা মেয়ে। সৃষ্টিকর্তার কাছে ছেলে চেয়েছিল কিন্তু মনের আশা পূরণ হয়নি কারণ সবই তো সৃষ্টিকর্তার হাতে। শুনেছি ছোটবেলায় আমাকে নিতে চেয়েছিল কিন্তু আমার পরিবার থেকে দেয়নি।
![]() |
---|
![]() |
---|
যাইহোক আমার খালাতো সবগুলো বোনের বিয়ে হয়ে গেছে একেকজন একেক জায়গায় বসবাস করে। দুটো বোন চিটাগাং থাকে আর দুইটা বাড়ির কাছে বাকি দুটা বাসা থেকে অনেকটা দূর। আবার খালার কোন ছেলে না থাকায় আমাদের দুই ভাইকে অনেক বেশি আদর করে।। তবুও খালার বাসায় যাওয়া খুবই কম হয় প্রায় ৩-৪ বছর আগে আমি একবারে গেছিলাম। আর যে ভাগ্নি এসেছে তাদের বাসায় 2018 সালে যাওয়া হয়েছে।
আসলে যত বড় হচ্ছি তত ব্যস্ততা যেন ঘিরে ধরছে তাই আর চাইলেও কোথায় যাওয়া হয় না।। প্রায় এক বছর হয় চেষ্টা করছি খালার বাসায় ও বোনের বাসায় যাব কিন্তু কিছুতেই যাওয়া হচ্ছে না।। মাঝে মাঝে খালাতো বোন আমাকে ফোন দিয়ে অনেক বকাঝকা করে কিন্তু কি করার, আমি শুধু শুনেই যাই।। আমার ভাগ্নি এসেছে মূলত আমাকে নিয়ে যেতে কিন্তু আমার যাওয়া হবে না।
![]() |
---|
যেহেতু সামনে রমজান মাস আর পড়াশোনারও নিয়ে চাপে যেহেতু সামনে পরীক্ষা।। সবকিছু মিলিয়ে এই মুহূর্তে যাওয়া অনেকটাই অসম্ভব কিন্তু ভাগ্নি যখন আসবে আমি বলেছিলাম তুমি আসলে আমি যাব।। কিন্তু এখন তো আর যাওয়া হচ্ছে না,, ভাগ্নিকে মিথ্যা না বললে আসবে না তাই মিথ্যা বলে নিয়ে এসেছে।। এখন যখন শুনেছে আমি যাব না তখন তার অনেক মন খারাপ।।
মন খারাপ করার কথায় কারণ সে আশা করে এসেছিল আমি তার সাথে যাব এখন বলছি যাব না।। পরে আমি ভাগ্নিকে বুঝালাম আমার পরিস্থিতি পরে সে কিছুটা বুঝতে পারলো।। আর বলল তাহলে কবে যাবেন আমাদের বাসায় সেটা বলেন,, আমি বললাম আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে ইনশাল্লাহ যাব কথা দিলাম।। সে শুনে কিছুটা স্বস্তি পেল আর বলল ঠিক আছে।।
দুইদিন হয় আমাদের বাসায় এসেছে আর বলছে চলে যাবে কিন্তু যেতে দিচ্ছি না।। যেহেতু এতদিন পরে এসেছে তাই বলছি আরো কিছুদিন থেকে যাও গেলে তো আর আসা হবে কিনা ঠিক নেই।। আসলে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় না গেলে আত্মীয় সম্পর্ক যেন কিছুটা নড়বড় হয়ে যায় তাই যাতায়াত করা দরকার।।
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে আসলে যখন ছেলে সন্তানের আশায় কেউ বারবার মেয়ে সন্তান জন্ম দেয় এটা নিয়েও গ্রাম অঞ্চলে অনেক ধরনের কথা হয় তবে আমার মনে হয় সবকিছুই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা মেয়ে সন্তান তার ঘরেই জন্মগ্রহণ করে যাকে আল্লাহ তাআলা অনেক বেশি আপন মনে করে এটা নিয়ে কখনো মন খারাপ করা ঠিক না।
আপনার খালার যেহেতু কোন ছেলে ছিল না তাই আপনাদেরকে নিয়ে তিনি অনেক বেশি আনন্দিত ছিলেন আপনাকে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন কিন্তু আপনার পরিবারেও তো আপনারা সদস্য সংখ্যা একেবারেই কম তাই আপনার পরিবারের মানুষ তাকে দিতে চাইনি আজকে আপনার ভাগ্নি আপনাদের সাথে দেখা করতে এসেছে যেটা দেখে ভালো লাগলো।
সামনে যেহেতু আপনার পরীক্ষা সবকিছু নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ততা তাই আপনি এখন কোথাও যাবেন না এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু সে যেহেতু আসতে চাইছে না তাকে মিথ্যা বলে নিয়ে এসেছেন দুইদিন থাকার পরে চলে যাবে এটা ভেবে আপনার অনেক বেশি খারাপ লাগছে আশা করি সে আপনাদের সাথে অনেকদিন থাকবে আপনারা অনেক বেশি আনন্দ করবেন অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ভাগ্নির সাথে সময় কাটানো সত্যিই অনেক স্মরণীয় দিন ছিল। মাঝে-মাঝে, কাজের ব্যস্ততায় আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সময় দিতে ভুলে যাই, তবে আপনি যে তার জন্য সময় বের করার চেষ্টা করছেন, তা পড়ে খুব ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ভাগ্নির সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমাদের মাঝে তার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে সবার মনে একটি করে ইচ্ছা থাকে ছেলে সন্তানের।যখন একটি পরিবারে মেয়ে সন্তানের ইচ্ছাটা বেশি থাকে তখন ছেলে হয়ে যায় বেশি। আবার কোন কোন পরিবারে মেয়ে সন্তানের আশা করে করে ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে বেশি। আসলে কাদের ঘরে কি হবে এটা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার ওপরে নির্ভর করে।
এবং আগে এমনটা আমরা অনেক শুনেছি মেয়ে সন্তান যাদের বাড়ি অনেক বেশি এবং আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যাদের ছেলে আছে তাদের কাছে বলতো তোমার ছেলেটা আমাকে দিয়ে দাও। আসলে বাবা মায়ের আশা হয়তো বা মেয়ে বা ছেলে থাকবে কিন্তু কখনো একজন বাবা-মা তার সন্তানকে অন্যর কাছে দিতে চায় না।
যাই হোক ভাগ্নির সাথে এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই এবং সুন্দর লেখা পরিদর্শন করতে পেরে আনন্দিত আমি।
একদমই সঠিক বলেছেন একটি পরিবারে কি সন্তান হবে সেটা সৃষ্টিকর্তায় লিখে দিয়ে থাকে তাই আমরা যেটা যাব সেটাই হবে এরকমটা না।। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।।