রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করি।
প্রথমে আমি আপনাদের সাথে যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করব তার নাম হলো ঢেঁড়স যেটা কিনা সবার অনেক পরিচিত। আর সবার পরিচিত হলেও প্রত্যেকের কিন্তু ঢেঁড়স পছন্দ না। ব্যক্তিগতভাবে আমার ঢেঁড়স একদমই পছন্দ না, আমার পছন্দ না হলেও পরিবারের সদস্যদের অনেক পছন্দ। আমাদের বাসায় প্রতি বছরই এই ঢেঁড়স রোপন করা হয়। বর্তমান সময়ে ঢেঁড়সের বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা আর বাসায় রোপন করার জন্য এই সবজি আমাদের ক্রয় করতে হয় না।
আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করব তার নাম হলো দুধ পল্লা। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে এই নামে ডাকা হয়, অঞ্চল ভেদে এটিকে বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়ে থাকে। আমাদের বাসায় এই গাছটা লাগানো হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ এখন ধরা শুরু হয়েছে।।
এরপর আপনাদের মাঝে যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করব তার নাম হলো লাউ। আর এই লাউ বস রাখা হয়েছে, হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন বস কেন রাখা হয়। মূলত একটা সময় পরে এই লাউ কেটে এখান থেকে বিচি সংগ্রহ করে সেটা আবার রোপন করার জন্যই বস রাখা হয়।
এরপর আপনাদের মাজে যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করব তার নাম হলো পাটের শাক। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষ এই পাটের শাক পছন্দ করে থাকে। বলতে গেলে আমাদের বাসায় সারা বছরই এই শাক পাওয়া যায়। আমার খুব বেশি পছন্দ না তারপরও মাঝে মাঝে খাওয়া হয়।
এরপর যে ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যেটা ছাড়া কেউই রান্না করতে পারে না তার নাম হলো মরিচ। যেকোনো রান্নার ক্ষেত্রে ই মরিচের প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে এই মরিচের বাজার মূল্য প্রতি কেজি 40 থেকে 50 টাকা করে। আর যদি এই মরিচ বাসায় রোপন করা হয় তাহলে আর বাজার থেকে ক্রয় করতে হয় না, এতে করে টাকা বাঁচে।
এরপর সবার জনপ্রিয় ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব তার নাম হলো আম। এই আম অনেক প্রজাতির হয়ে থাকে আর একেক প্রজাতির আম একেক রকম সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনারা যে আম দেখতে পাচ্ছেন, এটি হল ফজলি আম দুর্দান্ত মিষ্টি আর এই আমগুলো সাধারণত একটু দেরি করে পাকে। এখনও আমাদের গাছের আম পাকা শুরু হয়নি।। আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে আমাদের আম পাকতে।
এরপর যে ফলের ফটোগ্রাফি করব সবার পরিচিত ও পছন্দের তার নাম হলো জাম্বুরা। আমার জাম্বুরা খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনাদের কেমন লাগে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমাদের গাছের জাম্বুরা এর আগের চাইতে এবারে অনেক বেশি ধরেছে। আর হ্যাঁ একটা দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের গাছটা বাহিরে আর অনেকেই না বলে ছেড়ে নিয়ে যায়।
বন্ধুরা আপনারা চাইলে বাসায় এভাবে সবজি ও ফল লাগাতে পারেন এতে করে ফরমালিনের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাজারে যেকোনো ফলেই ফরমালিন দেওয়া হয় যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক।
আপনার মতো আমিও ঢেঁড়স খুব বেশি পছন্দ করি না তবে মাঝে মধ্যে খেয়ে থাকি। আমের ফটোগ্রাফিটা ভালো লাগছে। আর তাছাড়া আপনি খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি ফটোগ্রাফি এবং তার বর্ননা খুব সুন্দরভাবে দিয়েছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ফটোগ্রাফিতে উল্লেখ্য করা বিষয়গুলোর আঞ্চলিক নাম জানতে পারলাম৷ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও ঢেঁড়স পছন্দ করেন না আসলে অনেকেই রয়েছে এই সবজিটা পছন্দ করে না।। শুনে ভালো লাগলো আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে।। আর হ্যাঁ গ্রামে একেকটা সবজিতে একেক নামে ডাকা হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।।
খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফিগুলো। সেই সাথে আপনি প্রতিটি ছবির চমৎকার বর্ণনাও দিয়েছেন। আপনাদের বাড়িতে দেখি অনেক শাক-সবজি গাছ। বর্তমানের বাজারে ফ্রেশ খাবারের খুব অভাব। সেখানে বেশীরভাগ জিনিসই আপনাদের রোপণ করা। ভাড়া বাসায় থেকে আসলে এগুলা করা হয়ে ওঠে না। তাছাড়া আমারও ইচ্ছা আছে বাড়ির আশে পাশে শাক-সবজির গাছ লাগানোর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে বাসা হওয়াই এরকম অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকে।। তুলনামূলক শহরে এই সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে তার ওপর যদি বাসা ভাড়া থাকা হয় তাহলে আরো থাকেনা।।
শুনে ভালো লাগলো আপনারাও শাকসবজি করার ইচ্ছা আছে।। ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।।
ঢেরশ আমিও আপনার মতোই খুব একটা পছন্দ করি না আবার খুব একটা খারাপও লাগেতবে না। তবে ঢেরশের ফুল আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পরছে না।ফুলটা কিন্তু আসলেই খুব চমৎকার
লাগছে।আপনার ফটোগ্রাফির প্রশ্নংসা না করে পারছি না। আর সেই সাথে প্রতিটি সবজি আপনাদের চাষ করা এটা জেনে আরো ভালো লাগলো।
আমরাতো চাইলেও জায়গার অভাবে কিছু লাগাতে পারি না।
আপনার তোলা দ্বিতীয় সবজিটার নাম আমার এই মূহুর্তে মনে পরছে না তবে আমাদের এলাকায় একে দুধ পল্লা নামে ডাকে না। অন্য কোন নামে ডাকে। বাকি সবগুলোই পরিচিত।
এত সুন্দর করে এই ফটোগ্রাফিগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জেনে ভালো লাগলো আপনারাও আমার মত ঢেঁড়স পছন্দ না।। এটা আপনি একদম সঠিক বলেছেন যে ঢেঁড়সের ফুল গুলো খুবই চমৎকার।। আর হ্যাঁ দ্বিতীয় ছবিটার নাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে আপু।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ভাবে কমেন্ট করার জন্য।।
প্রথমেই বলতে চাই, আপনার ফটোগ্রাফের হাত অনেক ভালো। খুব সুন্দরভাবে ফুলের এবং সবজির ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন।
বর্তমানে সময়ে ঢেরসের শেষ সিজন চলতেছে। কিছুদিন পরে আর হয়তো ঢেরস বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে না।
বিভিন্ন ফটোগ্রাফির সাথে আপনি বেশ বর্ণনাও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এরকম নিত্য নতুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জেনে ভালো লাগলো আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার পছন্দ হয়েছে।। আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে বলতে গেলে ঢেঁড়স সারা বছরই পাওয়া যায় ভাই।। এটা সঠিক বলেছেন কিছুদিন পর বাজারে খুবই কম পাওয়া যাবে তা একদম পাওয়া যাবে না।।
ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।।
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে আমাদের এখানে প্রতি কেজি মরিচের মূল্য ১৪০ টাকা। আমাদের এখানে মনে হয় প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অতিরিক্ত। আপনি যেভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেন, আপনাদের ওখানে আর আমাদের এখানে অনেক তফাৎ রয়েছে। বিশেষ করে আম দেখতেই তো লোভনীয় দেখাচ্ছে। লবণ মরিচ মাখিয়ে খেতে বেশ ভালোই লাগবে। ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এরকমটা হতে পারে একেক জায়গায় একেক জিনিসের একেক মূল্য হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।। জেনে ভালো লাগলো আমার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।।