কচ্ছপ কিভাবে এতো বছর বেঁচে থাকতে পারে ও বিস্তারিত কিছু তথ্য
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছি আশাকরি সবার ভালো লাগবে।
আমরা কচ্ছপ এবং খরগোশ এর গল্প কে না জানি ছোট বেলায় এই গল্প খুব শুনেছি মায়ের কাছে আবার ও বই এর পাতায় ও এই গল্প জুড়ে কাহিনী লেখা রয়েছে। কচ্ছপ এবং খরগোশ দৌড় প্রতিযোগিতায় নামলো সেখানে কচ্ছপ ধীর গতিতে চলা অবস্থায় খরগোশ তার আগেই চলে গেল হঠাৎ খরগোশ মাঝ পথে বিশ্রাম নিচ্ছিল সেই সময় কচ্ছপ টাচ লাইন ছুয়ে নিলাম। খরগোশ এর যখন ঘুম ভাঙ্গল ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল।
পৃথিবীর দীর্ঘজীবী প্রাণীর তালিকায় এই কচ্ছপ আছে সেরা পাঁচ এর মধ্যে। এক প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে সে গড়ে একশত নব্বই বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে তার নাম হচ্ছে গ্যালাপাগোস জায়ান্ট টরটয়েজ। নাম টা একটু কঠিন মনে হচ্ছে তাই না। তবে এখানে মূল প্রশ্ন হচ্ছে যে কচ্ছপ এতো বছর কিভাবে বেঁচে থাকতে পারে? তাই না ।
আমি যত টুকু জানি যে এই প্রশ্ন নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামিয়েছেন বিশ্বের বড় বড় বিশেষজ্ঞরা। উত্তর মিলছে কিন্তু এখন ও অনেক রহস্য রয়ে গেছে অজানা। গবেষকেরা দেখেছেন দৈত্যকার কচ্ছপ যার নাম জায়ান্ট টরটয়েজ বিপাক প্রক্রিয়া ও ধীরগতির ছিলো বিশেষজ্ঞদের মতে তারা বলতো যে এই কচ্ছপ ধীর গতিতে চলার কারনে তার শক্তির ক্ষয় ও কম হয় অতি ধীরে।
সেখানে বলা হয়েছিল যে প্রাণীর বিপাক প্রক্রিয়া যত দ্রুত তারা আয়ু তত কম অনেক আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে। অনেকেরই দাবি এই সূত্র বা যুক্তি আমলে নেওয়ার মতো নয় তাই এই সূত্রে আস্থা রাখেনি অনেকেই। তবে একটা কথা সবাই বিশ্বাস করে নিয়েছিল যে কচ্ছ বেশি দিন বাঁচতে পারে কারণ এটাই যে ধীর বিপাক প্রক্রিয়ার কারণে তাদের শক্তি খরচ কম হয় এবং এই কারনে কচ্ছপ কোষের মৃত্যুর হার ও যায় কমে।
কচ্ছপের সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী কিভাবে জানেন এর যে খোলস রয়েছে তার দিকে তাকালেই তা পরিষ্কার বুঝা যায়। দৈত্যকার কচ্ছপগুলোর আবাস এমন সব জায়গায় যেখানে সাধারনত মানুষের আনাগোনা খুবই কম দেখা যায়। ফলে কচ্ছপ প্রাণীদের জীবনের ঝুঁকিও নেই বললেই চলে, শুধু মানুষই নয় অন্য কোন প্রাণীর শিকারের তালিকায় কচ্ছপ নেই বললেই চলে।
আপনারা হয়তো জানেন যে কচ্ছপ চাষ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ সাগর থেকে শুরু করে নদী-নালা ডোবা ও স্থলে বাস করে এদের দেহের ওজন তথ্য অল্প থেকে শুরু করে কয়েক শত কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমার মতে কচ্ছপ এর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে কিভাবে তা বলি মানুষের খাদ্য হিসেবে কচ্ছপের ব্যাপার দিন দিন বাড়তে থাকায় অতিরিক্ত আহরণ ও পরিবেশের বিপর্যয়ের দারুন বাংলাদেশে কচ্ছপের জীব বৈচিত্র সম্মুখীন হচ্ছে।
আপনারা হয়তো বিষয়গুলো বুঝতে পারছেন যে কচ্ছপের বাসস্থানের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্যপূর্ণ আহরণ নিশ্চিত করতে না পারলে শীঘ্রই এদের অস্তিত্ব বিলিপ্ত হয়ে পড়বে। তবে এখনো বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে কয়েক প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্তের মুখে পড়েছে। প্রজাতির কচ্ছপ নেই বললেই চলে। পৃথিবীতে কচ্ছপের তিনশো চল্লিশ টি প্রজাতি রয়েছে এদের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় পঁচিশ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে আবার এদের মধ্যে এগারো টি প্রজাতির কচ্ছপ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কচ্ছপ নিয়ে আরো কিছু আলোচনা করতে চাচ্ছি স
আগামী গল্পতে কচ্ছপ ও কাছিম নিয়ে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন এই গল্পটি কেমন হয়েছে তা কমেন্ট করে জানাবেন কিন্তু আর উৎসাহ দিবেন বেশি বেশি যাতে করে আমি আপনাদের মাঝে আরো নতুন নতুন গল্প নিয়ে আসতে পারি জানা অজানা।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটি বেশ ভালোই লাগলো ছোটবেলায় এই কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটি বইয়ে পড়েছি ৷ তাছাড়াও আপনার এই গল্পটি পড়ে অনেক উৎসাহিত পেলাম ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ার জন্য