মার্শমেলো স্নাক্স
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন আজকে আমি আপনাদের কাছে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছি।
মার্শমেলো আমরা সাধারনত অনেকেই চিনি আবার হয়তো অনেকেই চিনি না। মার্শমেলো একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। যেটা বাচ্চারা খুব পছন্দ করে থাকে।
আমার ছোট বোন এই খাবার টি কিনে নিয়ে আসে। আমি নিজেও জানতাম না এটি আসলে কি। পরে এই বিষয়ে জানলাম যে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার এর মধ্যে একটি। মার্শমেলো অনেকেই খেয়ে থাকে। আমি এই প্রথমবার খেয়ে দেখলাম এটি সত্যিই অনেক সুস্বাদু এবং সাধারনত এই খাবারটি বাচ্চারা খুব পছন্দ করে থাকে।
এটি সাধারণত তৈরি হয় চিনির সিরাপ, জল এবং জেলাটিন দিয়ে। এটি অনেক নরম হয়ে থাকে এই খাবারটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন আকৃতির ভাবে তৈরি করা হয় যা সত্যিই অনেক মজাদার। মার্শমেলো খাবারটি সাধারণত নরম ও ফ্লাফি হয় এবং এর স্বাদ ও বিভিন্ন ধরনের যা এর আগেও বলেছি হয়। এর বিভিন্ন রং বাচ্চাদের আরো আকৃষ্ট করে তোলে যেমন লাল,নিল, গোলাপি, কমলা রঙের গুলো যার কারণে এটার রং ও আকৃতি এবং স্বাদ ভিন্ন ধরনের হয় যাতে বাচ্চারা একেক স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।
মার্শমেলো অনেকেই আবার পুরিয়ে খায়। কিন্তু সব মার্শমেলো পুরিয়ে খাওয়া হয় না কারন এক একটি মার্শমেলো এক এক ধরনের হয় যার ফলে এটি স্বাদ ও ভিন্ন ধরনের তা এর আগের বলেছি। কোন মার্শমেলো পুরিয়ে খেতে হয় তা কিভাবে বুঝবো এটা হয়তো আপনাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগতে পারে। হ্যা অবশ্যই কিন্তু কোন মার্শমেলো কিভাবে খেতে তা অবশ্যই প্যাকেট এর গায়ে বিস্তারিত দেওয়া থাকে।
আপনারা যে ছবিটি দেখছেন এই মার্শমেলো পুরিয়ে খাওয়া যায় যা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। আমি এই মার্শমেলো পুরিয়েছি। আমার এই খাবারটি খুবই পছন্দ হয়েছে কিন্তু পুরিয়ে খাওয়াটা এটি আমার কাছে সত্যই অনেক অদ্ভুত মনে হয়েছে। আমি আসলে এই খাবার টির সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমার ছোট বোন আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে যে এই খাবার টি কিভাবে খেতে হয়।
আমি দেখলাম এই খাবার টি কিছু দেশে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া তে বেশি চল রয়েছে এই খাবার টি। যুক্তরাষ্ট্রে মার্শমেলো খাবারটি বারবিকিউ করে খাওয়া হয়, তাদের কাছে এটি খুবই পছন্দ ও জনপ্রিয়। সেই খানে যেটা বললাম পুরিয়ে খাওয়ার কথা । আগের যুগে মার্শমেলো কিভাবে তৈরি করা হতো তা কি জানেন? সাধারণত মার্শমেলো গাছের শিকড় দিয়ে। হ্যা মার্শমেলো গাছের শিকড় দিয়েই সর্বপ্রথম তৈরি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা ব্যবহৃত হয় না কারন বর্তমানে এটি আধুনিক প্রক্রিয়াতে ব্যবহৃত করা হয়ে থাকে এবং এটি এখন খুবই প্রচলিত আছে
আপনারা হয়তো জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে এই মার্শমেলো খাবারটি সর্বপ্রথম তৈরি হয়েছিল প্রাচীন মিশরে চিঠি পুড়িয়ে খাওয়া হত। প্রাচীন মিশরীয়রা মার্শমেলো খাবারটি গাছের শিকড়ের সাইট্রাস এবং মধু দিয়ে তৈরি করেছিল এই খাবারটি। যা সেই সময় প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে। মিষ্টি জাতীয় এই খাবারটি স্ন্যাকস হিসেবে পরিচিত হয়। পরে ফ্রান্সে এবং আরো অন্যান্য মিশরীয় দেশে ধীরে ধীরে এটি পরিচিত হয়ে যায়।
তারপর মার্শমেলো আরো অন্যান্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন স্বাদ এ তৈরি করা হয়। আধুনিক মার্শমেলো এখন বর্তমানে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মার্শমেলো কোন পুষ্টিকর খাবার নয় তবে এটি খেলে মনের আনন্দও মুখের স্বাদ আনতে সাহায্য করে। যা মনকে আনন্দ ও মস্তিষ্ককে একপ্রকার সান্ত্বনা দেওয়া বলা যেতে পারে। যার কারণে এটি বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
তবে হ্যাঁ মার্শমেলো খাবারটিতে চিনি গ্রহণযোগ্য রয়েছে যার কারণে এই খাবারটি খেলে দ্রুত শক্তি শরীরে প্রদান হয়।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
মার্শমেলো স্নাক্স খাবারের নামটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথমবার জানতে পারলাম। আমার খাবার তো দূরের কথা ।এটা সম্বন্ধে জানতাম না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ছবিসহ আমাদের মাঝে মাশমেলো স্ন্যাক শেয়ার করেছেন ।এই সুন্দর মার্শমেলো স্ন্যাক শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা আমার দেখার একটি নতুন খাবার। তবে খাবার দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। খেতে কেমন হবে এটা তো আর আমি বলতে পারছি না।আশা করি খেতে অনেক ভালো। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য। আর দোকান এ অবশ্যই খোঁজ করবেন এই খাবার টি পাওয়া যায় ।