চোখ জুড়ানো কিছু সুন্দর পাখি
আসসালামু আলাইকুম সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছিলাম আশা করি সবাই ভালো লাগবে।
আমরা আমাদের পরিবেশের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে পায় যেগুলো আমাদের সকলেরই পরিচিত। কিন্তু মাঝে মাঝে পরিবেশের চারপাশে এমন এক অদ্ভুত ধরনের পাখি দেখতে পাই যেটা এর আগে কখনো দেখা হয়নি। আর সেইসব পাখি দেখতে অনেক ভালো লাগে আমরা বিশেষ করে সেই পাখিদের নাম অনেকেই জানিনা যার কারণে ভিনদেশী পাখি বলে ডাকি।
আজকে কয়েকটি অজানা চোখ জুড়ানো সুন্দর পাখির নাম বলবো হয়তো সে সব পাখি আপনারা দেখেছেন কিন্তু নাম জানেন না এমনটা হয়েই থাকে পুরো পৃথিবী জুড়ে এই পাখিগুলো সবচাইতে বেশি সুন্দর বলে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথমেই যে পাখির নাম বলবো সেটি হচ্ছে (হায়াসিন্হ ম্যাকাও) নামটা একটু অদ্ভুত ধরনের কিন্তু এর মতে পাখিটি অদ্ভুত বললেও চলে। হায়াসিন্হ ম্যাকাও একশো সেমি দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে।
এই পাখিদের সাধারণত উত্তর ব্রাজিলে দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু গত কয়েক বছরে তাদের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এদের হ্রাস পাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে বাসস্থান হারানো এবং শিখার হওয়ার জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এই পাখিটি বিশেষ সৌন্দর্য তার নীল পাখনার জন্য এই এই নীল পাখনার জন্য তারা সবার আকর্ষণ কারিয়ে নেয় যার জন্য তারা বিখ্যাত। আঁকার আকৃতির দিক থেকে পাখিটি টিয়া পাখির মতই দেখতে লাগে কিন্তু এই পাখিটির রং হচ্ছে নীল তাদের চোখ এর চারপাশে উজ্জ্বল হলুদ রিং আছে যা দারুন দেখতে।
পরবর্তী পাখিটির নাম হচ্ছে (নীল জে) নীল জে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং সুন্দর পাখি বলা হয়ে থাকে। এদের বসবাস পূর্ব ও মধ্য উত্তর আমেরিকার বন জুড়ে পাওয়া যায়। নীল জেদের মধ্যে রয়েছে নীল সাদা এবং কালো পাখনা। তাদের (নীল জে) নামটি রাখার কারণ হয়তো তারা আসলে যখন ডাক দেয় তখন জেয় জেয় বলে একটা আওয়াজ বের করে । তাদের বুদ্ধি কে সম্মান দেওয়া উচিত কারণ তারা অন্যান্য প্রজাতির পাখিদেরও ডাক অনুকরণ করতে পারে।
নীল জেয়রা তাদের বুদ্ধিমত্তার জন্য বিখ্যাত তারাই বিশেষ করে অন্য পাখির ডিম এবং বাসায় জিনিস চুরি করতে পারে। আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারবেন না যে এই নীল জেয় যাকে ইংরেজিতে ব্লু জেয় বলা হয় তারা ঈগল পাখির কণ্ঠস্বরকে অনুকরণ করে এবং ঈগল পাখিদের কন্ঠস্বর নকল করতে সক্ষম। এইসব পাখিদের পোষ মানানোর জন্য বিখ্যাত বলা হয় তারা মানুষের কন্ঠ অনুকরণ করতে পারে।
তৃতীয় যেই পাখিটির নাম বলবো সেটি হচ্ছে (আটলান্টিক পফিন)। এই পাখি সাধারণত অভিযোজিত সমুদ্র সৈকত উত্তর আমেরিকার উপকূল ও পূর্ব কানাডা জুড়ে পাওয়া যায়। এইসব পাখি আপনারা হয়তো চিনতে পারবেন বিশেষ করে যারা ডিস্কভারি চ্যানেলের সাথে পরিচিত রয়েছেন। (আটলান্টিক পফিন) তাদের এই বিশাল বহরমপুর এবং পেঙ্গুইনের মত রংয়ের কারণে সমুদ্র টিয়া নামেও পরিচিত।
এই পাখি সাধারণত বিশেষ করে সমুদ্রের উপরে তাদের অধিকাংশ জীবন ব্যয় করে থাকে তাদের জল প্রতিরোধী পালক সাঁতার কাটার সময় তাদের শরীরকে গরম রাখতে সক্ষম হয়। তারা জলের নিচে বা উপরে সাঁতার কাটা সময় ডানা ভাঁজ করে রাখে যাতে ভালোভাবে তারা সাঁতার কাটতে পারে। এই পাখির বিশেষ এক অভিজ্ঞতা রয়েছে যেটি আপনি জানলে অবাক হয়ে যান সেটি হচ্ছে এরা দারুন উড়তে পারে তারা প্রতি মিনিটে চারশো বার পর্যন্ত ডানাগুলিকে ফাঁক করে এক ঘন্টায় পঞ্চানন মাইল গতিতে পৌঁছাতে পারে গন্তব্যে।
পরবর্তী যে পাখির নাম বলতে চাচ্ছি সেই পাখির সাথে আমরা সবাই পরিচিত এটিও সৌন্দর্য বা পৃথিবীর সুন্দরময় পাখিদের মধ্যে একটি। (দেশি ময়ূর) দেশি ময়ূর আসলে ময়ূর পরিবারের ছেলে পাখি বলা হয় কারণ বিশ্বের তিন ধরনের ময়ূর আছে, দেশি বা ভারতীয় কঙ্গো বা সবুজ ময়ূর। ভারতেই যেসব ময়ূর পাওয়া যায় সেসব ময়ূর কিসের সর্বত্র পাওয়া সাধারণ ময়ূর। ছেলে ময়ূর তাদের পালকের রঙের প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
ময়ূর যখন তার পাখনা মেলায় তখন তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এই ময়ূর পাখিকে বিশেষ করে চিড়িয়াখানায় রাখা হয় ময়ূর পাঁচ ফুট দুর্গ পর্যন্ত বাড়তে পারে যা বিশ্বের বৃহত্তম উড়ন্ত পাখি গুলির মধ্যে একটি। প্রকৃতপক্ষে বলা যায় একটি ময়ূরের দৈর্ঘ্য তার মোট দৈর্ঘ্যের ষাট শতাংশ হয়। ময়ূরের যে রঙিন লেজ প্রদর্শন সম্ভবত পাখি পরিবার গুলির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক প্রদর্শন প্রবণতা রয়েছে।
আজকে এই পর্যন্ত পরবর্তীতে আরও সৌন্দর্য পাখিদের নিয়ে কিছু আলোচনা করব ভালো থাকবেন সবাই ধন্যবাদ সবাইকে গল্পটি কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |