পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তির উপায়
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছি আশা করি সবারই ভালো লাগবে।
আগের পোস্টে আমি পরিবেশ কিভাবে দূষণ হয় তা সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছি আজ সেই পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আমরা জানবো। পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচার জন্য সবার আগে যে দেশে আমরা বসবাস করি সেই দেশে পরিবেশে একটি দিবস রাখা উচিত মানে আমি বলতে চাচ্ছি যে পরিবেশ দিবসের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে সচেতন করা।
পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে হলে সবার আগে নিজেদেরকে এই বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। নিজে দায়িত্ব পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচার জন্য অনেক দায়িত্ব পালন করা উচিত। যেমন আমাদের বাড়ির আশেপাশে যেগুলো নোংরা ময়লা আবর্জনা রয়েছে তা পরিষ্কার করা। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলা যখন আমরা বাইরে যাই তখন হাত থেকে অনেক প্লাস্টিক অথবা কাগজপত্র যেখানে সেখানে ফেলে দিই এসব রাস্তাঘাটে না ফেলিয়ে যদি আমরা ডাস্টবিন ব্যবহার করি।
তাহলে রাস্তাঘাট সব সময় পরিষ্কার থাকবে আবারও অনেক সময় দেখা যায় যে বিশেষ করে শহরগুলোতে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য সরকারি লোক থাকে যারা প্রতিদিন সকালে অথবা দিনশেষে রাত্রেবেলা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে থাকে এরকম যদি প্রতিটি শহরে হয় তাহলে সব সময় রাস্তাঘাট সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।
আসলে একটা কথা বলতে কি রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সম্ভাব কিন্তু পরিবেশের আবার সাথে যে কল কারখানা ও ভাটার অথবা বিভিন্ন শিল্প কারখানা রয়েছে এইসবের জন্য পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে এসব একেবারে দূষণমুক্ত করা সম্ভব নয় তবে প্রযুক্তির দিক থেকে যদি দেখা যায় যদি প্রযুক্তি উন্নতি করা যায় তাহলে হয়তো এই সব এর কারণে যে দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দূর করা সম্ভব।
ময়লা আবর্জনা থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু ছড়িয়ে থাকে এইসব বাতাসের মাধ্যমে হোক খাবার পানি বা কোথাও কোনো না কোনো ভাবে সেসব ব্যাকটেরিয়া জীবাণু ছড়িয়ে থাকে এবং এইসব কতটা ক্ষতিকর তা আমরা করোনা ভাইরাস থেকেই বুঝতে পেরেছি। পুরো পৃথিবীতে যদি এমন নিয়ম করা হতো যে নিজে দায়িত্বে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করুন এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ তাহলে হয়তো পরিবেশ দূষণ থেকে কিছুটা দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে।
যদি বায়ু দূষণের কথা বলি তাহলে বিশেষ করে বাতাসে যে অক্সিজেন রয়েছে সেই অক্সিজেন ব্যতীত অন্যান্য গ্যাস ও ধূলিকণার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বায়ু দূষণ সৃষ্টি হয়। এইসবের কারণে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে থাকে এর মাঝেও বৃক্ষ দিন দিন কমে যাচ্ছে । কারণটি হচ্ছে জনসংখ্যার কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে গাছপালা হ্রাস পাচ্ছে বিশেষ করে বড় বড় শহরে গাছপালা খুবই কম দেখা যায় যার কারণে আমাদের বৃক্ষরোপণ করা উচিত আপনি যদি শহরে থেকে থাকেন তাহলে আপনি ছাদে অথবা বাসার বেলকুনিতে গাছ লাগাতে পারেন।
যদি পানি দূষণের কথা বলা হয় তাহলে বলা যায় যে প্রাণী দূষণ হওয়ার মূল কারণ হলো পানিতে ময়লা আবর্জনা, মূলমুত্র, ও অন্যান্য আবর্জনা থেকে আমি দূষণ সৃষ্টি হয় । আগের সময় নদীর পানি মানুষ পান করত আর এখন টিউবওয়েল অথবা মোটরের পানি পান করার জন্য পরীক্ষা করতে হয় যে পানিটি ভালো কিনা বিশেষ করে এখন পানিতে আয়রন দেখা যায় এটা পানি নষ্ট হওয়ার মূল কারণ।
আমাদের উচিত ময়লা আবর্জনা পানিতে অথবা নদী-নালা বাড়ির আশেপাশে যদি লেক বা নদী থেকে থাকে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট একটা স্থানে ফেলা উচিত।
আর এখন বিশেষ করে পানি ফুটে খাওয়ায় উত্তম।
আজকে এই পর্যন্তই আশা করি আমার গল্প সবারই ভালো লাগবে পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু গল্প নিয়ে আসার চেষ্টা করব ভালো থাকবেন সবাই ধন্যবাদ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |