Better Life With Steem || The Diary game || 6 August বর্ষণমুখর একটা দিন!!
আপুর বাগান থেকে তুলা ছবি |
---|
সকাল বেলাতে খানিকটা বৃষ্টি কম ছিল,, যার কারণে সকাল বেলায় নামাজ পড়ে আমার অভ্যাস মত একটু বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি রাস্তার মধ্যে! আমাদের বাড়িটা ঠিক রাস্তার পাশেই,, সকালবেলা রাস্তার মধ্যে মানুষের তেমন একটা আনাগোনা থাকে না! সময়টা তখন ছয়টা ৫০ মিনিট! আমি এবং আমার মেজ ননদ নামাজ পড়েই ঘর থেকে বের হয়ে পড়লাম।
আমাদের বাড়ির ঠিক পাশের বাড়িতেই একটা আপু আছে,, তিনিও প্রতিদিন আমাদের সাথে সকাল বেলা একটু ঘোরাঘুরি করে। উনি দেখলাম আসার সময় উনার বাগান থেকে একটা ফুল হাতে করে নিয়ে আসলো। এরপরে আমি বললাম যে আপু তোমার হাতে ফুলটা কি আমি ছবি তুলতে পারি,, উনি বললো হ্যাঁ অবশ্যই তুলুন।
আপুর হাতে থাকা ফুল |
---|
ওনার সাথে খানিকটা গল্প করলাম,, এরপরে উনি অনেক জোরাজোরি করল উনাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আসলে প্রতিদিনই বলে,, তেমন একটা যাওয়া হয় না। আজকে ওনাদের বাড়িতে গেলাম,, যাওয়ার পরে উনাদের ঘরের ঠিক বাম পাশে, ওনার ফুলবাগান ওখানে গিয়ে দেখলাম! আলোকনন্দা ফুল ফুটে আছে অনেক সুন্দর করে।
যেহেতু বৃষ্টি পড়েছে,, ফুলগুলো অসম্ভব সুন্দর দেখা যাচ্ছে ফুলের উপর বৃষ্টির ফোটার রিমিঝিমি দেখেই,, মনটা ভালো হয়ে গেল। উনাদের সাথে খানিকটা গল্প করতে করতে সময় টা ৭:৩০ মিনিটে গিয়ে পৌঁছালো।
এরপরে ওনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম! বাড়িতে আসলাম শাশুড়ি বাড়িতে নেই। তাই নাস্তা বানানোর তেমন একটা তাগাচ্ছিল না। ননদকে জিজ্ঞেস করলাম কি খাবেন বলল যে কালকের প্রচুর পরিমাণে ভাত রান্না করা হয়ে গেছে! সেখানে অনেক ভাত রয়ে গেছে! আপনি এক কাজ করেন,, ওই ভাত গুলোর সাথে একটা পেঁয়াজ দুই-তিনটা কাঁচামরিচ একটা টমেটো আর দুইটা ডিম ভেঙ্গে ভাত গুলা ভাজি করে ফেলেন।
সকালবেলার নাস্তা |
---|
কি আর করব, ওনার কথা অনুযায়ী ভাত ভাজি করে নেয়া হয়ে গেছে! ছেলেকে খাইয়ে প্রাইভেটে পাঠানো হয়ে গেছে ইতিমধ্যে! এরপরে ছোট ছেলেকে নাস্তা করালাম ও একটু অসুস্থ,, নাস্তা করতে নারাজ তার পরে জোর করে খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলাম।
এর পরে রান্নাবান্না করার জন্য রান্না ঘরে গেলাম! মোটামুটি রান্না করতে করতে আমার সাড়ে এগারোটা বেজে গেল! রান্না সম্পূর্ণ করে গোসল করে ঘরে আসলাম,, এরপরে নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম।
কিছুক্ষণ পরেই জোহরের আযান হয়ে গেল! নামাজ পড়ে আগে ছেলেকে খাইয়ে দিলাম! কারণ তাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে! তাকে খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম! এরপর আমি নিজের খাবার নিয়ে বসলাম বাকি সবাইকে খাবার দিলাম।
দুপুরের খাবার |
---|
এরপরে দুপুরে একটু ঘুমিয়ে পড়লাম! প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে বাহিরে,, কারেন্ট নেই নেটওয়ার্কের প্রচুর সমস্যা! তাই কোন কিছু চিন্তাভাবনা না করেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি চারপাশে আসরের আজান হয়ে গেছে! বিকেলের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম! এরপরে সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম,, সবাই এই সন্ধ্যায় কি নাস্তা খাবে! সবাই বলল আজকে যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে,,, তাহলে সবাই মিলে বুট মুড়ি এবং চানাচুর মাখিয়ে খাবে।
গ্যাসের মধ্যে বুট সিদ্ধ করা বসিয়ে দিলাম! বুট সিদ্ধ হয়ে গেলে আমি সেগুলোকে ভাজি করে নিয়েছি! এরপরেই মাগরিবের আজান হয়ে গেছে! মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেকে পড়াতে বসলাম! এর ফাঁকে দেখলাম আমার মেজ ননদ মোটামুটি বুট মুড়ি এবং চানাচুর মেখে নিয়েছে।
সন্ধা বেলার নাস্তা |
---|
আমাকে ডাক দিল খাওয়ার জন্য! আমি ছেলেকে নিয়ে ওখানে গেলাম এবং সবাই মিলে অনেক মজা করে বুট মুড়ি খেলাম। এরপরে ছেলেটার পাড়াশুনা নিয়ে আবার বসলাম।
এশার নামাজ পড়ে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। এরপর নিজের খাবার শেষ করে কিছু কাজ করলাম। রাত এগারোটা বেজে ৪৭ মিনিটে ঘুমাতে গেলাম।
আর এইভাবে আমার কালকের দিনটা পার হয়ে গেল,,আজ আর লিখছি না! সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন! এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
বর্তমানে সব জায়গায় অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি কিছুতেই থামছে না তার মধ্যে নেটওয়ার্ক সমস্যা করতেছে। আপনাদের অঞ্চলের মতো আমাদের এখানেও একই অবস্থা।
আপনার গতকালকে দিনটা, তাহলে অনেক ভালো কেটেছে, আপনার ননদ এর সাথে।
আপনার Diary game পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আজকের দিনে কাটানো প্রতিটি মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বৃষ্টিমূখর দিনগুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়।এইদিনগুলোতে একটু ব্যস্ততা কম থাকে। পরিবারের সবাই মিলে একটু সময় কাটানোর মত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পেয়াজু, চানাচুর,বুটমুড়ি,খিচুড়ি বৃষ্টির দিনে এগুলো যেন বাঙালির জাতীয় খাবার। আপনার চানাচুর,বুটমুড়ি দেখে আজ আমারও বানাতে ইচ্ছা করছিল। নিশ্চয় আগামীকাল বানাবো।আপনার ছেলের আরোগ্য কামনা করছি। ব্যস্ততার মাঝেও সুন্দরভাবেই আপনার লেখা সম্পন্ন করেছেন ।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
বাংলাদেশে এখন বৃষ্টির মৌসুম, সকালবেলা প্রতিদিন একটু হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য খুবই, আপনি অনেক সুস্থ তাই বৃষ্টি কুমার উপরেই বেরিয়ে পড়ছেন হাঁটতে।
সকালের নাস্তাটা খুবই প্রিয় আমার যেটা আপনি ডিম ভেজে ভাত মাখিয়েছেন।
তবে শীতকালে আমার আম্মা প্রায় প্রায় ডিম ভেজে ভাতগুলো ডিমের ওপরে ছেড়ে দিয়ে গরম করে আমাদের দিত খেতে খুবই ভালো লাগতো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
সকাল সকাল আপনি আপনার ননদের সাথে হাঁটতে পেরেছেন যার শরীর ও মনের জন্য অনেক উপকারী। সকলের মনোরম পরিবেশ দেখা আপনার মন ভালো হবে ও হাটাহাটি করার জন্য আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। বৃষ্টিতে ভেজা ফুলের কিছু ছবি তুললেন এবং তাদের সাথে গল্প করলেন কিছুক্ষণ। অনেক সুন্দর হবে আপনার প্রতিদিনের কাজটা তুলে ধরেছেন এবং আপনি কতটা আনন্দের সাথে দিনটা পার করেছেন ও ব্যস্ততার সাথে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গত দুই থেকে তিন দিন শুধু বাড়ি থেকে শুনছি বৃষ্টি আর বৃষ্টি বৃষ্টি দিন আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বৃষ্টি কার কেমন পছন্দ সঠিক আমার জানা নেই কিন্তু আমার খুবই পছন্দের একটি দিন থাকে বৃষ্টি আসলে আমার খুবই ভালো লাগে। এবং বৃষ্টির দিনে আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনার পোস্টের মাধ্যমে যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।