Better Life With Steem || The Diary game || 31 May 2024 ||

in Incredible India2 months ago
Picsart_24-06-01_12-45-25-771.jpg

জীবন যুদ্ধে বারবার হেরে যাওয়া মানুষ গুলোর গল্পটা সত্যিই অসাধারণ হয়ে থাকে। গতকালকে ইউটিউবে একজন সফল ব্যক্তির জীবনের গল্প, আমি শুনেছিলাম। উনার গল্পের মধ্যে আমি যা দেখতে পেয়েছি। একটা মানুষের পক্ষে এত পরিমানে কষ্ট করে, সফলতা অর্জন করা কতটা কঠিন। সেই কথাটা বারবার আমার মনে হয়েছিল।

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে, আমাদের জীবনে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। সকল সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে,যে কতটা আনন্দ আছে। সেটা আমি কালকে উনার মুখে দেখতে পেয়েছি। ওনার হাসিটা কতটা সুন্দর ছিল। সেটা হয়তোবা আমি ওনার সামনে গিয়ে দেখিনি। কিন্তু উনার কথা বলার ভঙ্গিমাতেই বোঝা যাচ্ছিল। ওই মানুষটা সফলতা অর্জন করে জীবনে কতটা খুশি, তাও আবার সততার সাথে পরিশ্রম দিয়ে।

Screenshot_20240531_125325.jpg

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

উনি শুধু একটা কথা বলেছে, যদি আপনি কোন কাজ করতে গিয়ে হেরে যান। অথবা ওই কাজে পরাজিত হন। তাহলে কখনো ভেঙে পড়বেন না। আপনার একবার হেরে যাওয়া মানে, আপনার ওই কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আরো ভালোভাবে সৃষ্টি করা। এটাই আপনাকে তাগাদ দিচ্ছেন।

তাই হেরে যাওয়ার পর, আবারো উঠে দাঁড়ান এবং আপনার কাজের প্রতি আবারও একবার মনোযোগ দিয়ে, নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে চেষ্টা করুন। দেখবেন সফলতা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি সফলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। উনার ওই কথার মধ্যে কতটা শক্তি ছিল। সেটা উনার মুখের ভাব ভঙ্গি দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত কোন কাজ করতে গেলে, যদি আমরা হেরে যাই। ওখান থেকে অবশ্যই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

ওনার ভিডিও দেখতে দেখতে প্রায় রাত এগারোটা বেজে গেল। তবে উনার কাছ থেকে একটা জিনিস শিখতে পেরেছি। হেরে যাওয়ার পর আবার উঠে দাঁড়ানোর প্রবণতা উনার মধ্যে অনেক বেশি। এই প্রবণতা আমাদের সবার মধ্যেও থাকতে হবে।

প্রথমত সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটি করা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। তাই দেরি না করে বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। আকাশ মেঘলা কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বাতাসের পরিমাণটা অনেকটাই কমে গেছে, কিন্তু গরমের পরিমাণটা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।

IMG_20240531_124338_975.jpg
IMG_20240531_124338_232.jpg

কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর এত পরিমানে গরম লাগছিল, কি আর বলবো। তাড়াতাড়ি ঘরে এসে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিলাম। এরপর আবার বাহিরে গেলাম, চাচাতো বোনের ফুল বাগান থেকে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম। এরপর ঘরে আসলাম মা বলল আজকে চিতই পিঠা বানাবে। তার সাথে নারিকেল এবং চিনি দিয়ে খাওয়া হবে। অনেকদিন হয়ে গেছে চিতই পিঠা খাওয়া হয়নি। তাই মায়ের কথা অনুযায়ী সবকিছু রেডি করে নিলাম।

IMG_20240531_124334_047.jpg
IMG_20240531_124333_791.jpg

আমার হাতে চিতই পিঠা কেমন যেন হতে চায় না। তাই আমি মাকে অনুরোধ করলাম, চিতই পিঠা তৈরি করার জন্য। এরপর মা'কে আমি বলেছিলাম একটা ডিম চিতই তৈরি করার জন্য। ইউটিউবে দেখেছিলাম ডিম দিয়েছি চিতই পিঠা তৈরি করা হয়। তাই মা আমার জন্য একটা ডিম চিতই তৈরি করল।

IMG_20240531_085731.jpg

সব গুলা পিঠা তৈরি করা হয়ে গেলে, আমি নারিকেল ভেঙ্গে নিয়েছিলাম। নারিকেলের ভেতরে দেখলাম শাঁস আছে। ওটা বের করে আমরা সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খেয়ে নিলাম। এরপর নারিকেল এবং চিনি দিয়ে সকাল বেলায় চিতই পিঠা দিয়ে নাস্তা খেয়ে নিলাম।

গরমের পরিমাণটা যেমন দ্বিগুণ বেড়ে চলেছে ঠিকই কিন্তু বাতাসের দেখা নেই। তাড়াতাড়ি করে সমস্ত কিছু রেডি করে নিলাম রান্না করার জন্য। কেননা রোদ যত বৃদ্ধি পাবে গরমের পরিমাণ তত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। রান্নাবান্না শেষ করতে আমার প্রায় সকাল ১১ টা বেজে গেল। এরপর ওখান থেকে এসে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিলাম। মা আমাদের জন্য শরবত তৈরি করে রেখেছে ফ্রিজের মধ্যে, ওখান থেকে শরবত বের করে খেয়ে নিলাম।

IMG_20240531_124333_343.jpg

শরবত খাওয়া হয়ে গেলে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। বাহিরে বাতাসের বিন্দু পরিমাণ দেখা নেই। তাই আবার ঘরে চলে আসলাম লোডশেডিং এত পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে থাকাটাও মুশকিল হয়ে গেছে। এখন যদি গোসল করি তাহলে আবার ঘামে ভিজে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। তাই গোসল না করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম এবং কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম।

গতকালকে যেহেতু শুক্রবার ছিল। তাই আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান একটা দিন। তাই তাড়াতাড়ি গোসল করে নিয়েছিলাম এবং নামাজ পড়ার জন্য রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। নামাজ পড়তে একটু বেশি সময় লাগে। কারণ শুক্রবারে আমরা অনেকটা সময় আল্লাহর পথে ব্যয় করার চেষ্টা করি।

IMG_20240531_124333_656.jpg

নামাজ পড়া শেষ করতে আমার প্রায় দুপুর ২ টা বেজে গেল। তারপর উঠে প্রথমত ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। একটু বিশ্রাম নেয়ার চিন্তাভাবনা করেছিলাম। কিন্তু এই গরমের মধ্যে ঘুমানো একেবারেই সম্ভব না। তাই কমিউনিটির মধ্যে ঢুকে বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট করতে লাগলাম।

এভাবেই বিকেল হয়ে গেল, এরপর আসরের নামাজ এর আযান হল। তাড়াতাড়ি করে ওযু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর দেখলাম একটা দুইটা করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু করল। মা আমাকে বলল উনার আচার বাহিরে দেয়া আছে। তাড়াতাড়ি করে যেন নিয়ে আসি। তাই তাড়াতাড়ি করে আচার নিয়ে আসলাম।

IMG_20240531_124333_699.jpg

আচার ঘরে আনা মাত্রই বৃষ্টি চলে গেল খুব খারাপ লাগছিল। সন্ধ্যা হয়ে এল তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুটা সময় ফ্যানের নিচে বসে বিশ্রাম নিলাম এবং ছেলেকে পড়তে বসলাম। একটু পরেই কারেন্ট চলে গেল। এরপর বাহিরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আবার ঘরে এসে এশার নামাজ আদায় করে নিলাম।

IMG_20240531_130432.jpg

এরপরে আমি মুড়ি মাখা তৈরি করেছিলাম। আসলে এই গরমের মধ্যে খাবার খেতে তেমন একটা ভালো লাগছে না। তাই রাতের খাবার না খেয়ে মুড়ি মাখা খেয়ে কিছুক্ষণ কমেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। তবে আমাকে অবশ্যই হেরে যাওয়ার পরেও আবারো উঠে দাঁড়াতে হবে। এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Loading...
 2 months ago 

জীবনে হার না মানাটা অনেক বড় একটি বিষয়। বারবার হেরে গিয়েও যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার সফলতা সুনিশ্চিত। আপনার পোষ্টের প্রথম লেখাগুলো পড়ে মনে একটা অসাধারণ অনুভূতি হল।আসলে মানুষ মন থেকে চাইলে সবকিছু সম্ভব।শুধু দরকার ধৈর্য্য এবং চেষ্টা।
সারাদিন অনেক কাজের মধ্যে দিয়ে গেছে তবে একটা নতুন জিনিস জানতে পারলাম সেটি হচ্ছে ডিম চিতই।
পিঠা আমার খুবই পছন্দের আর চিতই পিঠা হলে তো কথাই নেই। এই নতুন রেসিপি ইউটিউব দেখে অবশ্যই চেষ্টা করতে বলবো আম্মুকে।
ধন্যবাদ আপনাকে দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যাওয়াটা একটা অভ্যাসে পরিণত হওয়া দরকার। যে মানুষটা পরিশ্রম করার অভ্যাসটা নিজের জীবনে আয়ত্ত করে নিতে পারে। সে মানুষটা কিন্তু সফল হতে বেশিদিন সময় লাগে না। হয়তো বা তাকে একটু কষ্ট করতে হয়। কিন্তু দিন শেষে সে সফলতা অর্জন করতে পারে। ডিম চিতই আমি ইউটিউব থেকেই দেখেছিলাম। খুব সহজেই বানানো যায়। চিতই পিঠা যেভাবে বানায় ঠিক ওই ভাবেই দিতে হবে। শুধুমাত্র উপরে ডিমটা ভেঙ্গে দিয়ে সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে দিলেই হয়ে যাবে। এরপর আপনাকে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে আপনার ডিম চিতই পিঠা। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

জীবনে যারা সফল হয়েছে তারা কঠোর পরিশ্রম আর দূঢ় মনোবলের মাধ্যমে হয়েছে।সফল হতে গেলে প্রথমে থাকতো হবে হার না মানা মানসিকতা। আমিও মাঝে মাঝে এমন গল্প শুনে থাকি।

শুধু আপনাদের এখানে না আমার এখানেও গরমের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে এবং সেই সাথে নারকেলের ফোল আমার ভীষণ প্রিয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।

 last month 

যে মানুষটার হার মেনে নেয়ার মন-মানসিকতা থাকে। সেই মানুষকে কিন্তু জীবনে ভালোভাবে সফল হতে পারে এবং সফল হওয়ার জন্য, যতক্ষণ পর্যন্ত তার পরিশ্রম করা দরকার। সে কিন্তু ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত পরিশ্রম করতে থাকে। আমার ফুলের ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

 last month 

একজন মানুষ যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ানো আসলেই অনেক কষ্টকর। কিন্তু আমাদের ওই অবস্থা থেকে উঠে ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে চাচাতো বোনের বাগানে গিয়ে ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। সকালবেলা হাটাহাটি করার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।
অনেকদিন থেকে পিঠা খাওয়া হয়নি, এজন্য চিতই পিঠা বানিয়েছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, গরমের থেকে ঠান্ডার সময়ে চিতই পিঠা খেতে বেশি স্বাদ লাগে।

সারাদিনে কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

আমাদের একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। যখন আল্লাহতালা আমাদের জীবনে কোন বিপদ পাঠায়। তার মানে আমাদের জীবনে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। যতই বিপদে থাকে না কেন যতই মানসিক চাপ আমাদের উপর আসুক না কেন? আমাদের কাজের উপর আমাদের মনোযোগী হতে হবে। তাহলে আমরা জীবনে সফলতা অর্জন করার পাশাপাশি, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো। আসলে দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গিয়েছে। ফুল সকাল বেলা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ফুলের গন্ধে চারপাশ মৌ মৌ করে, ওখানে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা পরিবেশের যে মুহূর্ত সেটা কখনোই ভুলে থাকা যায়না। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last month 

সফল হতে হতে অবশ্যই লেগে যাকা প্রয়োজন। সম্ভবত এই ভিডিওটি সম্ভবত আমিও দেখেছিলাম।যদি ভূল না বলে থাকি,লোকটির নিজের মা ছিলো না।সৎ মা নির্যাতন করতো।পলিথিনে করে শুকনা ভাত নিয়ে টয়লেটে লুকাই লুকাই খেতো।আপনার খাবারগুলো সুন্দর ছিলো,বিশেষ করে মুড়িমাখাটা লোভনীয় ছিলো।ধন্যবাদ

 last month 

আপনার কথা একেবারেই ঠিক লোকটার মা ছিল না। সৎ মায়ের নির্যাতনে উনি অনেক বেশি ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তার পরেও আবার উঠে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করেছিল। প্রতিনিয়ত উনাকে খাবার না দিয়ে, এমনিতেই উপোস রাখত। তাই উনি শুকনো ভাত পলিথিনের মাধ্যমে টয়লেটে নিয়ে তারপর সেই খাবার গ্রহণ করত। যেটা সত্যিই খুব কষ্টকর ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।



Oh yes! We support ANY quality post and
good comment ANYWHERE and at ANYTIME
Curated by : @wilmer1988

 last month 

অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম স্যার আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। ইনশাল্লাহ অবশ্যই এভাবেই আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত কনটেন্ট শেয়ার করার চেষ্টা করব এবং কমেন্ট করার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65733.39
ETH 3506.40
USDT 1.00
SBD 2.51