Better Life With Steem || The Diary game || 30 October 2024 ||
অনেকের কাছ থেকে ফোন করার মাধ্যমে অনেক কথা শুনতে পাচ্ছি। তবে এখন তেমন একটা ভালো লাগে না। কারো কথায় তেমন কোন কষ্ট পাই না। এখন আর চোখ দিয়ে জল পড়ে না, কেননা সবার কথা শুনতে শুনতে এখন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখন চিন্তা করি যে যাই বলুক চুপ করে থাকি। এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেই। কেননা সবার কথা শুনতে শুনতে পাথরের মত হয়ে গেছি, কেউ কিছু বললেও এখন গায়ে লাগেনা।
আমার কথাগুলো শুনে হয়তো বা অনেকেই হাসবেন। তবে আমার কাছে একটু অবাক লাগে না, কখনো হাসি পায় না। কারণ আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি এইসব মানুষের কথার উত্তর আর কথা বলতে বলতে, এখন মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হয় না। চুপ থাকতেই ভালো লাগে। যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম, সৃষ্টিকর্তার কাছে।
রাতেই রান্না করেছিলাম তাই সকাল বেলা ছেলেদের কে তাড়াতাড়ি পড়ে খাবার খাইয়ে দিয়ে, সোজা মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যাওয়ার সময় দেখলাম পথে কলমি ফুল ফুটে আছে নদীর পাড়ে, দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। তাই দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে আবারো হাঁটা শুরু করলাম। ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে আমি সোজা বাসায় চলে আসলাম। রান্নাবান্নার জন্য সমস্ত কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম।
আসার সময় পাটের শাক নিয়েছিলাম, যেটা কাটতে আমার একটু সময় লেগেছিল। একটু পরেই দেখলাম গ্যাস চলে এসেছে, তাই তাড়াতাড়ি করে রান্না বসিয়ে দিয়ে রান্না শেষ করলাম। তারপর আমি গোসল করে নিলাম ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো গুছিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর দেখলাম সাহেব উঠে পড়েছে, তাই ওনাকে দুপুরের খাবার দিয়ে, আমি সোজা ছেলেদের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় চলে গেলাম।
ওদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি আবারো বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে দুপুর বেলা রাস্তায় হাঁটতে বেশ গরম লাগে, কেননা অতিরিক্ত গরম বেশ কয়েকদিন। যদিও এখন শীতকাল কিন্তু শহরের মধ্যে শীতের আনাগোনা ও দেখা যায় না। বাসায় এসে গরমে অস্থির, তাই ফ্যান চালিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম। একটু পরে উঠে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম তারপর ঘর মুছে নিয়েছিলাম।
এইসব করতেই কখন যে আসরের আযান দিয়ে দিল বুঝতেই পারলাম না। সময়টাও যেন কতটা তাড়াতাড়ি পার হয়ে যাচ্ছে, বোঝাতে পারাটা মুশকিল হয়ে গেছে। যত দিন যাচ্ছে দিন অনেক ছোট হয়ে যাচ্ছে। তবে সময় ওই ২৪ ঘন্টা। আমাদের কাছে মনে হয় ছোট, যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে আমাদেরকে চলতে হবে। এরপর নামাজ পড়ে আবার ছেলেদেরকে নিয়ে আসার জন্য রওনা করলাম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে।
বাসায় আসার সময় ওদের জন্য নুডুলস নিয়েছিলাম, কেননা দোকানে নুডুলস দেখে খাওয়ার জন্য বায়না করছিল। আমি বললাম বাসায় রান্না করে দেবো কিন্তু ওরা বাসায় খাবে না ওখানেই খাবে। তাই দুইজনকে নুডুলস খাইয়ে আমার জন্য বেল পুরি নিয়ে আবার বাসায় চলে আসলাম। যেহেতু দুপুরে রান্না করেছি তরকারি ও বেশ খানিকটা ছিল, তাই একটু ভর্তা তৈরি করে নিলাম।
এরপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি নিজেও ভাত খেয়ে নিলাম। এরপর ওষুধ খেয়েছিলাম আসলে কাশির পরিমাণটা অনেকটাই বেড়েছে। কাশির কারণে কোন কাজ করাটা একেবারেই মুশকিল হয়ে গেছে। ঠান্ডা পানি ধরলেই কাশির পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। এরপর বেশি রাত না করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কেননা শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত, সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ সবাই ভাল থাকবেন।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
শহরের দিকে গরম এবং শীত আসলেই বোঝা যায় না কারণ আমি বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকার শহরে ছিলাম এবং এটা আমার জানা আছে যাইহোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ এবং আপনার পোস্টের মাধ্যমে কলমি ফুলের ফটোগ্রাফি আসলেই অনেক সুন্দর ছিলো এই ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক সুন্দর ছোট ছোট এই ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সকালের দিকে একটু শীত অনুভব করা যায় এর পরে আর শীত নেই। যার কারণে অনেক বেশি সমস্যা হয়। তবে এই দুইদিন যাবত মোটামুটি সেটা দেখা পাওয়া গেছে, অনেক বৃষ্টি হওয়ার কারণে মোটামুটি এখন ঠান্ডা কিছুটা অনুভব হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।