কেউ একজন বলেছিল, "যদি এখন থেকে তুমি তোমার স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্য তার পেছনে ছুটে না বেড়াও!তাহলে জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসবে, তোমাকে অন্যের অধীনে কাজ করতে হবে, শুধুমাত্র অন্যের স্বপ্নগুলো সত্যি করার জন্য! আজকে কেমন যেন বিষয়টা নিজের সাথে ঘটে যাচ্ছে আর মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, তাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্য আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি! তারপরেও সবার মনের মত হয়ে উঠতে পারছি না।
এটা একেবারেই বাস্তব। একজন নারী তার সারাটা জীবন উৎসর্গ করে দেয় তার পরিবার তার স্বামী তার সন্তানের জন্য! কিন্তু দিনশেষে সে নাতো কারো মনের মত হতে পারে আর না পারে কারো মন ভরাতে। সারা জীবন উৎসর্গ করে দেয়ার পরেও তাদের একটা প্রশ্ন অবশ্যই তার কাছে থেকে যায়। সারাদিন কি করেছো? এ প্রশ্নের উত্তর আমরা কোন নারীরা তাদেরকে সঠিকভাবে দিতে পারি না বা আমরা তাদের মনের মত করে উপস্থাপন করতে পারি না। মাঝে মাঝে এটাই মনে হয় তবে বাস্তবতা কতটুকু সেটা আমার জানা নেই, চেষ্টা করে যাচ্ছি সবার মনের মত হয়ে চলার জন্য সবার মন ভরানোর জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে, প্রথমত নিজের সংসারের কাজগুলো করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম! আসলে প্রতিনিয়ত সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে একটা টেনশন থাকে, কখন কাজগুলো করে সম্পূর্ণ করব! কাজগুলো করা শেষ হওয়া পর্যন্ত মাথার ভেতরে মনে হয় একটা বোঝা বসে আছে! যখন কাজগুলো শেষ হয় তখন কিছুটা প্রশান্তি মিলে, এটা আপনাদের ক্ষেত্রে হয় কিনা অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
আলহামদুলিল্লাহ সম্পন্ন কাজ শেষ করে সকালের নাস্তা হিসেবে সবাইকে ভাত দিয়েছিলাম! আমিও ছেলেদেরকে ভাত খাইয়ে দিয়ে অল্প পরিমাণে চানাচুর মাখিয়ে সাথে একটা আপেল খেয়ে নিয়েছিলাম, ওষুধ খেতে হবে আসলে ঠান্ডার কারণে মাথাব্যথা কেমন যেন ছাড়তে চায় না। তাই সমস্ত কিছু ঠিক করে নিয়ে আবারও রান্নাবান্নার জন্য রেডি হয়ে গেলাম! রান্নাবান্না শেষ করে নিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম, নিজে আর না খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম! আসলে অতিরিক্ত সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে দুপুরবেলা মনে হয়, মাথা একেবারে ফেটে যাবে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা।
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে চলে গিয়েছিলাম বাজারে!কেননা বাজারে আনতে হবে ঘরে তেমন কিছুই নেই! তারপর বাজারে গিয়ে বাজার করলাম এবং নিজের পছন্দের দুইটা জিনিস নিয়েছিলাম! একটা আমার পছন্দের একটা ছেলেদের পছন্দের! ছেলেদের পছন্দের মিষ্টি আর আমার পছন্দের শন পাপড়ি যেটা আমি ছোটবেলায় ও খেতে অনেক বেশি পছন্দ করতাম, এখনো আমার পছন্দের কোন ব্যতিক্রম হয়নি! এর পরে বাজার থেকে এসে ভর্তা করার জন্য মাছ ভেজে নিয়েছিলাম! এরপরে মাগরিবের আজান দিলে নামাজ পড়ে নিলাম।
ছেলেদেরকে কিছুক্ষণ পড়াশোনা করালাম তারপর নিজে গিয়ে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, ভর্তা করে সবাইকে রাতের খাবার দিলাম আমি ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিলাম! তারপর নিজেও অল্প পরিমাণে ভাত খেয়ে নিয়েছিলাম! দুপুরে খাবার না খাওয়ার কারণে খুব ক্ষুধা হয়ে গেছিল, তবে অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরে আর খেতে ইচ্ছে করছিল না! এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম! সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায়! নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আপনার দিনটি যে কীভাবে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে, তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর! সংসারের কাজগুলো করতে করতে নিজের প্রিয় মুহূর্তগুলোকে খুঁজে পেতে পারেন, এটা অসাধারণ। যে মানসিক শান্তি আপনি পান, তা যে সত্যিই মূল্যবান, তা আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনুভব করা যায়। আপনার জীবনের এই ছোট ছোট আনন্দগুলোই তো আসলে বড় সুখের কারণ। আল্লাহ আপনার জীবন আরও সুন্দর করুন এবং সবসময় সুস্থ ও সুখী রাখুন!
জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকেই উপভোগ করা প্রয়োজন কেননা আমাদের জীবনের মুহূর্তগুলোর একটু একটু করে পার হয়ে যাচ্ছে তাই সেগুলোকে আমাদের কাজের মাধ্যমে হোক কিংবা আনন্দের মাধ্যমে উপভোগ করাটা আমাদের সবারই প্রয়োজন ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
মেয়েদের জীবন একটু অন্যরকম কিন্তু সবার সাথে একই রকম ঘটে না।। আনন্দের সাথে অনেক অন্যায় হয়ে থাকে আবার অনেকের সাথে নয়।। কিন্তু একটা জিনিস মানতে হবে বাবার বাড়ির মত শ্বশুরবাড়িতে থাকার সৌভাগ্য সব মেয়ের হয় না।। আর হ্যাঁ নোয়াখালী সনপাপরী দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।।
আসলে এই ধরনের অন্যায় করার কথাটা যুক্তিপূর্ণ, সেটা আমার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় আমি আমার মেয়েটাকে যতটা যত্ন করে বড় করে তুলে অন্যের বাড়িতে পাঠিয়ে তাদেরকে বলি আমার মেয়েটাকে যত্ন রাখবেন। সেই রকম ভাবে অন্যের একটা মেয়েকে যখন আমার বাড়িতে নিয়ে আসি, তাকেও ঠিক ওইভাবে যত্ন রাখা উচিত। এটা অনেক ক্ষেত্রে সবাই ভুলে যায় তবে এটা করার মোটেও ঠিক না। শন পাপড়ি আমি অনেক বেশি পছন্দ করি, কেননা এটা আমার ছোটবেলা থেকে অনেকটা খাবার। ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
সত্যি কথা বলতে মানুষ যদি তার মুখের কথা রাখতো তাহলে আজ অনেক মেয়ে অনেক সুখে থাকতো ভালো থাকতো অনেকে অনেক কিছু পেতাম।। আসলে প্রতিটি মানুষের ছোটবেলা থেকেই কোন না কোন পছন্দ থাকে যেমন আপনার সন পাপড়ি পছন্দ।।
এজন্য হয়তোবা একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে মানুষটা বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে তাকে অনেক বেশি সম্মান করা উচিত যে মানুষটা কথা দিয়ে কথাটাকে তাকে মাথার শিরোমণি করে রাখতেও কিন্তু মেয়েরা কখনো দ্বিধাবোধ করে না এটা খুব কম মানুষ করে থাকে আর সমাজের মধ্যে যে মানুষগুলো রয়েছে তারা কিন্তু সবার সামনে এক কথা বলে পেছনে অনেক কথা বলে এজন্য সংসারের মধ্যে অনেক বেশি ঝামেলা সৃষ্টি হয়।