Better Life With Steem || The Diary game || 24 September 2024||
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো নতুন সকালের দেখা পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। সকালবেলা মোটামুটি বেশ ভালই ছিল, আকাশে মেঘলা ছিল কিন্তু বৃষ্টি হবে এটার সম্ভাবনা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। তারপর দেখলাম হালকা পরিমাণ একটু রোদ উঠলো, অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। কেননা রাতেও অনেক পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে চারপাশ একেবারেই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে।
বৃষ্টি আসবে এটা ভেবেই তাড়াতাড়ি করে ঘরে সমস্ত কাজ করে নিয়েছিলাম। তারপর নুডুলস রান্না করার জন্য রান্না ঘরে চলে গেলাম। সেই সাথে ছোট ছেলে বলল নুডুলস এর সাথে সেটা ডিম খাবে। তাই তার জন্য একটা ডিম ভেজে নিয়েছিলাম। দুই ভাইকে নুডুলস খাইয়ে আমি বড় ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম। ও গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর বাড়িতে এসে সমস্ত রান্না করার জন্য সব কিছু রেডি করে নিলাম।
সবকিছু রেডি করে নিয়ে তারপর আমি রান্না করে চলে গেলাম। রান্না শুরু করে দিলাম বৃষ্টি খুব জোরে শুরু হয়ে গেল, প্রচন্ড পরিমাণে বাতাস। রান্না করতে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছিল। বাতাসের কারণে আগুন বারবার নিভে যাচ্ছিল। যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগছিল, এক ঘন্টা সময় নিয়ে যে রান্নাটা আমি করতে পারতাম, আজকে প্রায় দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা সময় নিয়ে আমি সেই রান্নাটা করেছি। কেননা অতিরিক্ত বাতাসের কারণে আগুন নিভে গেলে আর ধরে উঠতে চায় না, যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগে।
রান্নাবান্না শেষ করে ঘরে এসে জোহরের নামাজ আদায় করতেই দুপুর আড়াইটা বেজে গেল। তারপর তাড়াতাড়ি করে ছোট ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিলাম এবং ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। এরপর আমি নিজের দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। এই আশা নিয়ে যে কারেন্ট আসলে মোবাইলটা চার্জ করব, কিন্তু কারেন্টের দেখা নেই। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে কারেন্ট আর আসে না দেখা পাওয়াটা খুব মুশকিল হয়ে যায়।
আসরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম, একটু পরে দেখলাম কারেন্ট আসলো ছিল মাত্র 5 মিনিট। মোবাইল চার্জে লাগানোর সাথে সাথে আবার কারেন্ট চলে গেল। খুব বিরক্ত লাগছিল সারাদিন অতিরিক্ত মেঘের কারণে এমনিতেই অবস্থা খারাপ। তার ওপরে কারেন্ট যদি এমন করে তাহলে তো আরো বেশি খারাপ লাগে।
কি আর করব কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আজান দিল। নামাজ পড়ে নিলাম নামাজ পড়ে ছেলেকে কিছুক্ষণ পাড়ালাম। তারপর একটু চিকেন তাদেরকে দিলাম খাওয়ার জন্য। তাদের খাওয়ার শেষ হলে আমি আবার তাদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম, নিজে এশার নামাজ পড়ে খাবার না খেয়ে, ঘরে মিষ্টি ছিল তাই দুইটা মিষ্টি খেয়ে সাথে একটু কোমল পানীয় খেয়ে নিলাম। এরপর নিজের কিছু কাজ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
এখন বর্ষাকালের মত যখন তখন বৃষ্টি চলে আসছে। সারাদিন মেঘলা স্যাঁতস্যাঁতে সত্যি আর ভালো লাগছে না। আমাদের কাছে রান্না করাটা সত্যি খুব কষ্টের ব্যাপার। সারাক্ষণ আগুনের ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রান্না করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।