Better Life With Steem || The Diary game || 24 October 2024 ||

in Incredible India10 months ago
Picsart_24-10-25_21-04-53-253.jpg

আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখাবে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম, সৃষ্টিকর্তার কাছে। আসলে দিন দিন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। জীবন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছিনা, কাছের মানুষগুলো এমন কিছু আচরণ করছে যেটা কখনো প্রত্যাশা করা হয়নি। তাদের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে এসেও তাদের কটু কথা থেকে আমি বাঁচতে পারি না। জানিনা তারা কেন এমন করছে, তার পরেও আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি তারা সর্বদা ভালো থাকুক।

আজকে সকাল বেলা নামাজ পড়ে তাড়াতাড়ি করে গ্যাস আছে কিনা চেক করে নিয়েছিলাম। দেখলাম মোটামুটি পরিমাণের আছে। তাই ডিম সিদ্ধ বসিয়ে দিয়ে আমি ঘরের কিছু কাজ সেরে নিয়েছিলাম। আজকে সকাল বেলার জন্য ডিম ভুনা তৈরি করব, এরপর ডিম ভুনা তৈরি করে আমি ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে, ওদেরকে নিয়ে সোজা মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

IMG_20241024_210342_885.jpg
IMG_20241024_210343_451.jpg

রাস্তার মধ্যে মোটামুটি মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। যারা হাঁটতে বের হয়েছে তারা হাঁটাহাঁটি করছে। আমিও মোটামুটি তাদেরকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিতে অনেকটা সময় লেগে গেল। এরপর বাসায় না এসে সোজা বাজারে চলে গেলাম। আসলে কাঁচা বাজারের দাম এত পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। মনে হচ্ছে কিনে খাওয়াটা মুশকিল হয়ে যাবে। প্রতিদিন কাঁচাবাজারের সবজি গুলোর দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমান সময়ে এই অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে আশা করি খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে।

IMG_20241024_210342_724.jpg

বাজার সম্পন্ন করে বাসায় আসতে আমার সাড়ে নয়টা বেজে গেল। এরপরে নিজে সকালের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম এর ফাঁকে চেক করে দেখলাম গ্যাস আছে নাকি চলে গেছে। দেখলাম একেবারেই চুলা বন্ধ হয়ে আছে,তাই রান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে প্রথমত ঘর মুছে নিয়েছিলাম। বেশ কয়েকদিন যাবত ঠান্ডার কারণে বেশ খারাপ লাগছিল। আসলে কাশির পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে কাজ করতে অনেক বেশি ঝামেলা হচ্ছে কিন্তু কাজ না করে কোন উপায় নেই।

IMG_20241024_210343_170.jpg

একটু পরেই দেখলাম গ্যাস চলে এসেছে, তাই তাড়াতাড়ি করে রান্না বসিয়ে দিলাম। এক এক করে সমস্ত রান্না শেষ করে নিলাম। তারপর গোসল করে নিয়েছিলাম নামাজ পড়ে খাবার নিয়ে সোজা চলে গেলাম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে। ওদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে বাসায় এসে দেখি সাহেব খাবার খেয়ে অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে। আমি এসে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে পড়েছিলাম।

IMG_20241024_210342_597.jpg

এত পরিমানে ক্লান্ত লাগছিল কি বলব, কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেও পারিনি। হঠাৎ করেই ঘুম ভাঙলো আসরের নামাজের আজানের শব্দে। তাড়াতাড়ি করে উঠে নামাজ পড়ে সোজা মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ওদেরকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসার সময় মুড়ি মাখা নিয়ে এসেছিলাম, এরপর ওরা দুই ভাই মুড়ি মাখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল। আমি আমার ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিলাম।

IMG_20241024_210342_572.jpg

সন্ধ্যার জন্য শুধুমাত্র ভাত রান্না করবো তাই চেক করে নিয়েছিলাম গ্যাস রয়েছে কিনা? কিন্তু দেখলাম গ্যাস নেই তাই ওদেরকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়তে বসলাম! ওদের পড়া শেষ হলে আমি ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর দেখলাম মোটামুটি ক্যাশ চলে এসেছে ভাত বসিয়ে দিয়ে ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, ভাত রান্না করে সোজা গিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  

image.png

Curated by : @lirvic
 10 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য।

Loading...
 10 months ago 

পোস্টটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো এবং বুঝতে পারলাম আপনি অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাচ্চাদের নিয়ে, সেই সাথে সংসারের অনেক কাজ তো রয়েছেই,,,
আমাদের সমাজে প্রত্যেকটা পরিবারের এমন কিছু ব্যক্তি থাকে যাদের কথা আমাদের অন্তরের অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়।।
এ নিয়ে আমি আগে চিন্তা করলেও এখন মোটেও ভাবি না কারণ এটাই দুনিয়ার নিয়ম।। তাই আপনিও নিজেকে বুঝিয়ে নেবেন।।
আর হ্যাঁ একদম ঠিক কথা বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা তাতে আমাদের মত পরিবারের কাঁচা বাজার টাও কিনে খেতে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে অসংখ্য ধন্যবাদ।।।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 112037.89
ETH 4314.86
SBD 0.85