খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। উঠেই তাড়াতাড়ি করে নামাজ পড়ে নিলাম। কিন্তু শরীরটা তেমন একটা ভালো লাগছে না। আবার মনে হচ্ছে জ্বর জ্বর ভাব, শরীর প্রচন্ড ব্যথা তাই আবার শুয়ে পড়লাম। এরপর যে আমি আবার উঠব তার কোন শক্তি পাচ্ছিলাম না শরীরের মধ্যে। কোনমতে উঠে ছেলেকে সকালের নাস্তা খাইয়ে দিলাম। মা নাস্তা তৈরি করেছে, আজকে আমি মাকে কোনভাবে হেল্প করতে পারলাম না, আমি নিজে অনেক অসুস্থ।
এরপর মা রান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিলেন। আমি ভেবেছিলাম বসে রান্না করবো। কিন্তু প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল তারপর আবার শুয়ে পড়লাম। মা কষ্ট করে রান্না করে নিল। মনে মনে চিন্তা করলাম যদি শ্বশুর বাড়িতে থাকতাম, তাহলে এই মাথাব্যথা জ্বর নিয়ে আমাকে রান্না করতে হতো। যাই হোক সবকিছু চিন্তা করে জ্বরের ঔষধ ছিল আগের,আর তাই সামান্য পরিমাণে ভাত খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম।
এরপর আবার শুয়ে পড়লাম কিন্তু শুয়ে থাকলে হবে না। আজকে মাকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তাই মা রান্না বান্না শেষ হওয়ার পর উনাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম দেখার। সমস্ত রিপোর্ট দেখালাম কেননা আগেই উনাকে বড় ডাক্তার দেখানো হয়েছে। এখন আবার ওষুধ আনতে হবে, এরপর সমস্ত ওষুধ কিনে ঘরের জন্য কিছু বাজার করে নিলাম।
এই সমস্ত কিছু করতে করতেই বিকাল তিনটা বেজে গেল। এরপর একটা গাড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। আসার পর আমার শরীরে এত পরিমাণে খারাপ লাগছিল যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। অতিরিক্ত জ্বরের কারণে ডাক্তার আমাকে সাপোজিটার দিয়েছিল। এরপর আমি বাসায় এসে ওষুধ খেলাম এবং সাপোজিটার দিয়েছিলাম। জ্বর একটু কমে ছিল। কিন্তু কিছুই ভালো লাগছে না মাথা ব্যথা অতিরিক্ত।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম কিন্তু শরীর সায় দিচ্ছিল না। তারপর এসে আবার শুয়ে পড়লাম, এত পরিমানে খারাপ লাগছিল কি আর বলব, তার উপরে অতিরিক্ত গরম। তাই হয়তোবা আরো বেশি খারাপ লাগছিল।
বিকেলের দিকে মায়ের বানানো একটা পিঠা খেয়েছিলাম আর একটু চা বিস্কিট। আজকে কেন জানি চা খেতে খুব ইচ্ছে করছিল। তাই নিজে উঠে চা তৈরি করলাম। মা তো অসুস্থ তাই ওনাকে আর কিছু বললাম না, উনি ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন।
চা খাওয়ার পর একটু ভালো লাগছিল মাথা ব্যাথা একটু কমে গেল। কিন্তু সন্ধ্যার পর আবারো জ্বর এসে গেল। এরপর আর কিছুই ভালো লাগছিল না তাই শুয়ে পড়েছিলাম। একটু পরে উঠে মা অনেক জোরাজুরি করার পর রাতের খাবার খেয়ে নিলাম, ছেলে কেউ খাইয়ে দিলাম। এবং নিজে ওষুধ খেয়ে নিলাম। এরপর নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। নিজের অসুস্থতার কারণে কালকের ক্লাসেও যুক্ত হতে পারলাম না। সেজন্য অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল, এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রথমে দোয়া করি যাতে আপনি এবং আপনার মা তাড়াতাড়ি সুস্থতা কামনা করুন। শশুর বাড়িতে থাকলে যদি জ্বর মাথা ব্যাথা হোক না কেন রান্না ও সংসারী কাজ করতেই হবে। কিন্তু আপনার নিজের বাড়িতে আছেন এজন্য আপনার মা কাজগুলো করছে । জ্বর মাথা ব্যাথা থাকলে কি খেতে মন চায় না। আর পিঠাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে সুস্থতা দান করুন
আমার বড় ছেলের এই পিঠাগুলো খুব পছন্দ। তাই ও আসবে বলে মা আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিল। আমি নিজেও পছন্দ করি তবে তেমন একটা না। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। আপনি অবশ্যই সব সময় ভালো থাকবেন। আসলে শ্বশুরবাড়ি এমন একটা জায়গা যেখানে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা না করে, পরিবারের কথা চিন্তা করতে হয়, এবং চিন্তা করতে হয় যদি রান্না করা না হয়। তাহলে পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ খেয়ে থাকবে। আর বাবার বাড়ি থাকলে মা সবকিছু দায়িত্ব নেয়। এটাই হয়তোবা সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা।
এটা জানতে পেরে অনেক খারাপ লাগছে যে আপনার এবং আপনার আম্মার শরীর অনেক খারাপ, আপনি অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনার আম্মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার ওপরে দেখলাম আপনার আম্মা অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনার জন্য খাবার তৈরি করেছিল। আসলে সন্তান যখন অসুস্থ থাকে মা অসুস্থ হলেও সন্তানের যত্ন নিতে ভুলে যায় না তারা। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা-মা।
যাই হোক ঠিকভাবে ঔষধ সেবন করুন দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মা শব্দটা খুব ছোট্ট কিন্তু এর মাঝে কতটা ভালোবাসা আছে। সেটা হয়তোবা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। একটা জিনিস একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারি। এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার পরে যদি কেউ আমাদেরকে অতিরিক্ত ভালোবেসে থাকে। সেটা হচ্ছে আমাদের মা, আসলে আমি আমার মায়ের জন্য কিছুই করতে পারছি না, কেননা নিজেও অসুস্থ। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। দোয়া করবেন যেন আমরা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। ভালো থাকবেন।
আপনি এবং আপনার মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। তাও ভালো যে আপনি এখন বাপের বাড়িতে আছেন। শ্বশুরবাড়িতে থাকলে জ্বর থাকা সত্ত্বেও আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হতো। টিউটোরিয়াল ক্লাসে আমিও গতকাল যুক্ত হতে পারিনি ব্যক্তিগত কিছু কাজ ছিল সেই কারণে।
আপনার আর আমার সমস্যা দেখছি একই রকম। ব্যক্তিগত কারণে ক্লাসে যুক্ত হতে পারেনি। তবে হয়তোবা ক্লাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেটা আমরা মিস করে গেছি। আসলে ঠিক বলেছেন, শ্বশুরবাড়িতে যতই অসুস্থতা থাকুক না কেন? দিন শেষে পরিবারের সকল কাজ খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হয়! তা না হলেই শুরু হয়ে যায় সমস্যা। আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাক। ভালো থাকবেন।
শশুরবাড়িতে থাকলে শত অসুস্থতা নিয়েও নিজপর দায়িত্ব থেকে পিছুপা হওয়া সম্ভব হয় না। তবে নিজের বাবা মায়ের সাথে সেটা করা যায়। আপনার জ্বর হয়েছে এজন্য খাওয়ার পর ঔষধ খেয়েছিলেন, যেটা অবশ্যই সনয় মত করা উচিত। জ্বর কমে গেলেও মাথা ব্যথার কারনে বেশ ভোগান্তিতে রয়েছেন আপপনি। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে তো মাঝে মাঝে মনে হয় মাথা ব্যথা এই পৃথিবীর সবচাইতে জঘন্যতম একটা অসুখ। যেটা হলে মানুষ খুব সহজে স্বস্তি লাভ করতে পারে না। বিশেষ করে আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়ে থাকে, মাথা ব্যথা হলে আমি তো মাথা তুলে কোন কিছু করব, সেটাও করতে পারিনা। আসলে শ্বশুরবাড়ির দায়িত্ব থাকে অন্যরকম। আবার বাবার বাড়িতে এলে সন্তানের প্রতি একটা অন্যরকম ভালোবাসা থাকার কারণেই হয়তো বা, মা প্রত্যেকটা সন্তানকে ভালো রাখার জন্য। নিজের যতই কষ্ট হোক না কেন নিজেই কাজগুলো সম্পন্ন করে। আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই মাথা ব্যথা অনেক বাজে একটা জিনিস। মাথা ব্যথা হলে আমি সেটা সহ্য করতে পারি না, তখন মাথা তোলার ক্ষমতা থাকে না। এখানেই তো শশুরবাড়ি আর বাবার বাড়ির পার্থক্য। একমাত্র মা বাবাই বোঝে সন্তানের অসুবিধা। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।
অসুস্থতা এখন যেন নিত্য দিনের সংগী হয়ে গিয়েছে। ঘরে ঘরে অসুখ। সুস্থ থাকতে আমরা অনেক সময় আল্লাহর নিয়ামত গুলো বুঝি না, এক মাত্র অসুস্থ হলেই বুঝা যায় সুস্থতা কত বড় নিয়ামিত। দোয়া করি যেন আওনার মা দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়, আপনি ও আপনার পরিবার সুস্থ থাকে।
আমার কাছে তো মনে হয় অসুস্থ তাও আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে পাওয়া এটা নেয়ামত। আর সেই নেয়ামত আমরা যখন ভোগ করি। তখন আমরা সুস্থতার মূল্য বুঝতে পারি। তবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত, আমরা যখন সুস্থ থাকি তখন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা। তাহলেই হয়তোবা আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি খুশি হয়ে, আমাদের অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে। আপনিও ভালো থাকবেন।
আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ দেখতেছি, অবশ্য দেখতেছি বলাটা ভুল হবে আপনার লেখা পড়েই জানতে পেরেছি এ বিষয়টা। আর এই অসুস্থ শরীরে আপনি প্রচুর পরিশ্রম করেন।
আপনি একজন ভালো ডাক্তার দেখান।প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো করে জানেন সমস্যা কোথায়।
আমার ছোট ছেলে অনেক দিন ধরেই আপনার মতো কাশি, জর, মাথাব্যাথায় ভুগতেছিলো।টেস্ট করার পরে ওর সমস্যা ধরা পরেছে এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ খাচ্ছে।এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ ও।
আপনার মা'ও অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। এটা একদমই ঠিক কথা যে, মায়ের বাড়িতে অসুস্থ হলে কাজ না করলেও চলে কিন্তু শশুর বাড়িতে কাজ করতেই হয়।
দোয়া করি আপনারা দুজনেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে ডাক্তার দেখানোর পরিকল্পনা করে নিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু সমস্যার কারণে সমস্ত টাকা ওখানে ব্যয় করে দিয়েছি। তাই আর ডাক্তার দেখানো হয়নি। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আবার টাকা ম্যানেজ করে ভালো ডাক্তার দেখাবো। এবং টেস্ট করাব। আমার মনে হচ্ছে ভেতরে কোন সমস্যা হয়েছে। ভালোভাবে টেস্ট করে তারপরে ওই অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। কেননা ওষুধ খাচ্ছি কিন্তু কাশির পরিমাণ কমছে না। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার পরামর্শ দেয়ার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন।
শুনে খারাপ লাগলো আপনি বেশ অসুস্থ আর এই অসুস্থ শরীর নিয়েও মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন।। আপনি অনেক দায়িত্ব মান একটি মানুষ যেটা আপনার পোস্ট পড়লেই বোঝা যায়।। বাইরে থেকে আসার পথে বেশ বাজারও করেছেন।। দোয়া রইল পরিবারের সকলের জন্য সৃষ্টিকর্তা যেন খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সুস্থতা দান করে।।
বিগত পোস্টটে আমরা অবগত হয়েছি আপনি নিজের বাবার বাড়িতে রয়েছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর শরীরটা খারাপ লেগেছে।
একটা কথা হয়তো আপনি ঠিকই বলেছেন, যদি আপনার শরীর খারাপ শ্বশুরবাড়িতে থাকলে ঠিকই তারপরও কাজ করতে হত।
কিন্তু মায়ের বাড়িতে থাকার কারণে আপনার মা আপনাকে কষ্ট করতে দেয়নি। তাই নিজেই কষ্ট করে রান্না করেছে।
সারাদিনের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।