Better Life With Steem || The Diary game || 20 November
প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। ওঠার পর নামাজ আদায় করে নিয়ে, নিজের সংসারের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করলাম। আজকে একটু তাড়াতাড়ি কাজ করতে হয়েছে। কেননা আজকে বাবার বাড়িতে যাব সেজন্য।
বাবার বাড়ি যাওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। কারণ আমার ছোট মামাতো বোনকে দেখতে আসবে। তাই তাড়াতাড়ি করে রান্না করে নিয়েছিলাম। আমার ছোট ননদ আমাদের বাসায় থাকার কারণে একটু লেট হয়েছিল। কেননা ওদের জন্য নাস্তা বানাতে গিয়ে আমার প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ওখানে ব্যয় হয়ে গেল। যাইহোক এরপরে নাস্তা বানিয়ে ওদেরকে খাইয়ে দিয়ে। আমি আমার রান্না শেষ করতে করতে প্রায় সকাল দশটা।
এদিকে আমার মোবাইলে চার্জ নেই, বারবার আমার শাশুড়ির মোবাইলে কল করা হচ্ছে। আমি কেন তাড়াতাড়ি বাবার বাড়িতে পৌঁছায়নি। সব কাজ সম্পূর্ণ করে রেডি হয়ে ঘর থেকে বের হলাম। তখন এগারোটা বাজে। রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। প্রায় আধা ঘন্টার মত অবশেষে গাড়ি পেলাম।
গাড়িতে দুই ছেলেকে তুলে দিলাম, আমি নিজে উঠে মামাকে বললাম, একটু তাড়াতাড়ি গাড়ি চালানোর জন্য। মামা তাড়াতাড়ি গাড়ি চালালো, এবং আমরা আধা ঘন্টার মধ্যে বাড়ি এসে পৌছালাম।
পৌঁছানোর পর আমি প্রথমত বোরখা খুলে নিয়েছিলাম।কারণ এখন আমাকে নানুর বাড়ি যেতে হবে। আমার মা আগে থেকেই চলে গিয়েছে। আপনাদের সাথে আগেও শেয়ার করেছিলাম। আমার নানু বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশেই। আমার ছেলেদেরকে পাঠিয়ে দিয়েছি, আমি আমার সবকিছু গুছিয়ে রেখে দিয়েছে। এরপর আমি আমার নানু বাড়ি চলে গিয়েছে।
ওখানে গিয়ে দেখলাম আলহামদুলিল্লাহ ওনারা সব আয়োজন করে ফেলেছে। জাস্ট রান্নাটা একটু বাকি আছে। এরপর আমি ভাবলাম যে আমি যেহেতু পরে এসেছি তাই রান্নাটা আমি শেষ করি। এরপর আমি বসে বাকি রান্নাটা শেষ করলাম। এবং মেহমানদের সাথে কুশল বিনিময় করলাম।
উনাদের সাথে কথাবার্তা শেষ করে উনাদেরকে নাস্তা দিলাম। এরপর আরো অনেক গল্প করলাম গল্প করার পর দুপুরের খাবার সময় হয়ে গিয়েছিল। এরপর আমরা যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম, উনাদেরকে দুপুরের খাবার দিয়ে দিলাম।
দুপুরের খাবার খেয়ে ওনারা একটু রেস্ট করল। আমরা এদিকে বিকেলের নাস্তার জন্য কিছু নাস্তা তৈরি করলাম। কেননা বারবার তো এক রকম নাস্তা দেয়া যায় না। তাই আরো হরেক রকম পিঠা তৈরি করে নিলাম।
পিঠা তৈরি করতে করতে আমাদের আসরের আযান দিয়ে দিল। সবাই মিলে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। এদিকে ছেলেটা আমাদের কাছে কল দিয়েছে, কারণ ছেলেটার সাথে আমার বোনের আগে থেকে একটা রিলেশন ছিল। সে কারণে আমাদের মধ্যে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল।
অনেকক্ষণ ওর সাথে কথা বললাম এবং আমার বোনকে নিয়ে অনেক কথা বলল। এরপর আমরা ওর মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। এবং ওর দুইজন ভাবি এসেছে তাদের সাথে গল্প করলাম। গল্পের ছলে উনারা আমাদেরকে জানিয়ে দিল যে মেয়ে উনাদের পছন্দ হয়েছে। যেহেতু উনাদের ছেলে মেয়েকে লাভ করে, তাই উনারা তেমন কিছুই বলেনি।
যাওয়ার সময় উনার বলেছিল আমার মামাতো বোনকে রিং পরিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা বারণ করেছিলাম কেননা আমার মামাতো ভাই বাহিরে আছে। তাই আমরা এখন এসব করতে চাচ্ছি না। সবাই একসাথে আসুক তারপরে বাকি কাজ করব।
সবকিছু সম্পন্ন করে আসরের নামাজের একদম শেষ পর্যায়ে আমরা উনাদেরকে বিদায় দিলাম। উনারা ওনাদের বাড়িতে চলে গেল। এরপর আমি মামিদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। কারণ আমার ছেলের জন্য একটা জুতা কিনতে হবে। এরপর আমার বড় মামাতো বোন আমার সাথে গিয়েছিল। ও বলল আইসক্রিম খাবে কিন্তু কারেন্ট না থাকার কারণে, আইসক্রিম কিনতে পারেন।
এরপরও ওর কিছু জিনিস কিনে নিল, আমি আমার কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। ও বাড়িতে চলে গেল সন্ধ্যায় এসে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর ছেলেদের জন্য বিস্কিট নিয়ে এসেছিলাম ওরা বিস্কিট খেয়েছে। আজকে তেমন পড়াশোনা হয়নি। নানা বাড়িতে এসেছে খাওয়া দাওয়া করে ওরা ঘুমিয়ে পড়েছে।
আমি অধীর আগ্রহে কারেন্টের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু একটু পরেই কারেন্ট চলে আসলো। এবং আমি আমার কমিউনিটির কিছু কাজ করলাম, এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। আমি কয়েকটা দিন কমিউনিটির কাজ করতে পারেনি। সেজন্য আমার কাছে খুব খারাপ লাগতেছিল। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
meraindia |
---|
খুব ভালোভাবে আপনি আপনার দিনটা বর্ণনা করেছেন। খুবই ব্যাস্তময় দিন ছিলো গতকাল আপনার কাছে। তার মধ্যেও কমিউনিটির কাজ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে সকালে অনেক দ্রুত আপনি আপনার সংসারের সকল কাজ শেষ করে আপনার নানুর বাড়ি গিয়েছেন,কারণ আপনাার মামাতো বোনকে দেখতে এসেছে,,সেখানে গিয়ে রান্না করেছেন।। আসলে এইসব কাছের মাঝে অন্য রকম এক আনন্দ কাজ করে।।
শুনে খুবই ভালো লাগলো যে পাত্র পক্ষের আপনার মামাতো বোনকে পছন্দ হয়েছে।
সারাদিনের সকল কাজ শেষ করে আপনি কমিউনিটির কাজ করেছেন,,পোস্ট করেছেন।। সত্যিই অনেক ব্যস্তময় একটি দিন ছিল আপনার,, তবু্ও বাবার বাড়িতে শত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কাটলেও দিন শেষে অনেক শান্তি অনুভব হয়।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি সকালে সবার জন্য নাস্তা তৈরি করে দ্রুত মামার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কারন আপনার মামাতো বোনকে দেখতে আসবে। কোন বাড়িতে মেয়েকে দেখতে আসলে মেয়ের বাড়ির ওপর কাজের চাপ বেড়ে যায়। অবশ্য এর মাঝেও একটা উৎসবের আমেজ কাজ করে।
আপনার মামাতো বোনকে ছেলের বাড়ির লোকজন এর পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
চমৎকার ভাবে আপনি আপনার এই ব্যাস্ত দিনের কার্যাবলী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনার পোস্ট পড়ে যেটা বুঝতে পারলাম, খুব তাড়াতাড়ি আবার একটা বিয়ের নিমন্ত্রণ পেতে চলেছে। সাংসারিক কাজের চাপে আমরা যখন বাড়ি থেকে বেরোবো প্ল্যান করি, কখনোই সেই টাইমে বেরোনো সম্ভব হয় না। ঠিক যেমনটা আপনার সাথে হয়েছে। তবুও ভালো যে আপনি আপনার মামা বাড়িতে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। কর্মব্যস্ততার মধ্যেও নিজের মানুষের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ায় আপনার দিনটি বেশ ভালই কেটেছে। আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যাবলী খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন,তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিনটি কাটিয়েছেন। আপনার মামাতো বোনের জন্যে শুভকামনা। পাশাপাশি আপনার জন্যেও। ভালো থাকবেন।
আমাদের সাথে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আপনার দিনের কার্যক্রম এবং আনন্দের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন।এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।