আলহামদুলিল্লাহ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রয়োজনীয় কাজগুলো প্রথমত শেষ করলাম। আজকে রান্নাবান্নার কাজ একটু তাড়াতাড়ি করব, কেননা মোটামুটি ঘরের সব কাজ গুছিয়ে নিয়েছি। আজকে বাবার বাড়িতে যাব। তাই শ্বশুর-শাশুড়িকে রান্না করে দিয়ে যাব।তার আগে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিলাম। সকালবেলা ঠান্ডা হাওয়ায় শরীরটা একেবারে জুড়িয়ে গেল। আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। বাগান বিলাস ফুল ফুটে আছে পাশের বাড়ির ছাদে। ওখান গিয়ে ভাবীর সাথে গল্প করতে করতে ছবি তুলে নিলাম।
প্রথমত সকাল বেলার নাস্তার জন্য মুড়ি মাখা তৈরি করেছিলাম, এরপর সবাই মিলে মুড়ি মাখা এবং চা দিয়ে সকাল বেলার নাস্তা শেষ করলাম। এরপর আমি রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছি। ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি এবং বলেছি দুপুর বেলা চলে আসার জন্য, এর মাঝেই হুজুরের কাছে কল করে বলে দিয়েছি। যাতে ওকে দুপুরবেলা ছুটি দিয়ে দেয়।
ও চলে যাওয়ার পর আমি রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রায় সকাল এগারোটার সময় আমার রান্নাবান্না শেষ হলো। এরপর আমি গোসল করে রেডি হয়ে নিলাম, আমার ভাগ্নি আমার সাথে যাবে, ও নিজেও রেডি হল। এরপর ছোট ছেলেকে রেডি করালাম। একটু পরেই দেখলাম বড় ছেলে চলে এসেছে, আমি কল করার পর হুজুর ওকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এরপর ওকে গোসল করিয়ে তারপর রেডি করে নিলাম।গাড়ি খবর দিয়েছিলাম কিন্তু আসতে একটু দেরি হবে বলল। তাই আমি সবকিছু রেডি করে দরজার মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম। একটু পরে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি চলে এসেছে। শশুর শাশুড়ির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাবার বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পথের মধ্যে কিছু জিনিস নিয়েছিলাম মা-বাবার জন্য। তাই একটা দোকানে ঢুকলাম কিছু জিনিস পত্র কিনলাম।
সমস্ত জিনিস কিনে আবার গাড়িতে উঠে বাবার বাড়ি চলে আসলাম। আস্তে আস্তে দুপুর হয়ে গেল, তাই সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আসলে অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে এসেছি, তাই বেশ ভালই লাগছে। মায়ের শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই, উনাকে দেখতে এসেছি।
এত পরিমানে গরম লাগছিল একটু পর কোমল পানীয় পান করলাম একটু স্বস্তি পাওয়া গেছে।
এরপর মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। ছোট ভাই কল করলো তার সাথে কথা বললাম। বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে কিছুটা সময় আরো ব্যয় করলাম। একটু পরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম, এরপর আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম কমেন্ট করার পর, একটু বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কেমন যেন অন্যরকম লাগছিল ঘুম আসছিল না।
তখন হঠাৎ করেই মনে পড়ল, এই সময়টাতে আমি অন্য একটা কাজ করতাম, যেটা বর্তমান সময়ে করছি না। তাই হয়তোবা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে, অনেক চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারলাম না। এরপর উঠে গিয়ে বাড়ির সবার সাথে দেখা করে আসলাম, এবং সবার সাথে কিছুটা গল্প করলাম। ওখান থেকে এসে আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
বিকেলবেলা বাবা আমাকে কল করলো, নাস্তা কি নিয়ে আসবো। আমি ওনাকে বললাম চিকেন ফ্রাই নিয়ে আসার জন্য। কেননা আমার ভাগ্নি এবং আমার ছেলেরা চিকেন ফ্রাই অনেক বেশি পছন্দ করে, তার সাথে তন্দুর রুটি নিয়ে আসলো।
এরপর আমরা সবাই মিলে সন্ধ্যা বেলা চিকেন ফ্রাই এবং তন্দুর রুটি দিয়ে সন্ধ্যা বেলার নাস্তা করে নিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার ভাগ্নি সহ একটা নাটক দেখলাম। নাটক দেখার পর এশার আজান দিলে নামাজ পড়ে সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। অনেকদিন পর বাবা মায়ের সাথে সময় কাটাতে পেরে নিজের কাছে এত পরিমানে ভালো লাগছিল, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে
এরপর অনেকক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু ঘুম আসছিল না। তারপর একটা মুভি দেখলাম আমি আর আমার ভাগ্নি। মুভিটা দেখার পর আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রতিটা মেয়েরই বিয়ের পর বাবার বাড়ি হয়ে যায় ঘুরতে যাওয়ার জায়গা। বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য সকাল থেকে সব কাজ গুছিয়ে নিয়েছেন। যাতে শ্বশুর শাশুড়ির কষ্ট না হয়। খুবই ভালো কাজ করেছেন।
আপনার মা অসুস্থ শুনে একটু খারাপ লাগলো। দোয়া করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
নাটক আর মুভি দেখে অনেক সময় পার করেছেন। আসলে বিনোদন আমাদের অবসর সময় পার করতে সাহায্য করে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে মেয়েরা বাপের বাড়িতে ঘুরতে যায় না। বাপের বাড়িতে মেয়েরা মেহমান হয়ে যায়। বিয়ের পরে কয়েক দিনের জন্য গিয়ে আবার চলে আসতে হয়। মেয়েদের আসল ঠিকানা হচ্ছে শ্বশুরবাড়ি।আপনাকে ধন্যবাদ আমার মায়ের জন্য দোয়া করার জন্য। আসলে কিছু কাজ করতে করতে যখন একটা মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন সেই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসার জন্য অবশ্যই অন্য উপায় অবলম্বন করতে হয়। তাই নাটক সিনেমার মাধ্যমে নিজের সময়টাকে পার করার চেষ্টা করেছি। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই হাটাহাটি করেছেন। আপনার বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
বাবার বাড়ি যাবেন এজন্য বাড়ির সব কাজ গুছিয়ে নিয়েছেন। বাবার বাড়ি যাবেন এজন্য ছেলেকে তাড়াতাড়ি মাদ্রাসা থেকে আসতে বলেছেন।
সত্যিই এরকম অনেকদিন পর পর বাড়ি গেলে খুব ভালো লাগে। আপনার মায়ের শরীরটা বেশি একটা ভালো নেই জেনে খুব খারাপ লাগলো।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগে থেকেই সবকিছু গুছিয়ে রেখে ছিলাম যেহেতু যাবো, তাই রান্নাবান্নার কাজটা করে দিয়ে যাব এমনটাই চিন্তাভাবনা করেছিলাম। তাই রান্নাবান্নার কাজ করে ছেলে এবং ভাগ্নিকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসলাম। অনেকদিন পর আসার কারণে আসলে বেশ ভালই লাগছিল। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা উঠলেই দেখবেন মেয়েদের মধ্যে একটা এনার্জির ভাব কাজ করে। বাগান বিলাস নামটাও যেমন সুন্দর দেখতেও ঠিক ততটাই সুন্দর। আমার আবার চিকেন ফ্রাই শুধু শুধু খেতে ভালো লাগে। তন্দুরি রুটির সাথে আমার চিলি চিকেন বা ডিম তরকা খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ঠিক বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা মনে হলে, মনে হয় শরীরের মধ্যে কাজ করার অন্যরকম একটা এনার্জি পাওয়া যায়। কাজগুলো যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই যেন ভালো লাগে। তন্দুর রুটি দিয়ে চিকেন চিলি, ডিম তরকারি খেতে বেশ ভালো লাগে আমার জানা ছিল না। একদিন খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপু বাবার বাড়িতে যাওয়ার আনন্দ সত্যি অন্যরকম। তা হয়তো আমরা বুজবো না। কিন্তু আমি কিছুটা হলেও বুজতে পারি। কেননা আমার সহধর্মিনী যখন বাড়িতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় তখন তার চোখে মুখে অন্যরকম একটা বিষয় দেখতে পাই। এক কথায় হাসি খুশি মুখ। আজ আপনার লিখনি পড়েও আমার এমনটা মনে হলো।
যাইহোক বাবার বাড়িতে গিয়ে আনন্দ করুন। সবার সাথে সময়গুলো উপভোগ করুন দারুণ ভাবে সেই কামনা থাকলো। ভালো থাকবেন আপু।
প্রতিটা মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাসায় যেতে একটু বেশি আনন্দ পায়।। বাবার বাসায় যাবেন জন্য শ্বশুরবাড়িতে রান্নাবান্না করে দিয়ে যাচ্ছেন যাতে ওনাদের কষ্ট কম হয় জেনে ভালো লাগলো।।
আর হ্যাঁ এতদিন পর যেহেতু যাচ্ছেন কিছু তো অবশ্যই নিতে হয় তাই বাবা মার জন্য একটু কেনাকাটা করেছেন।। আর মানুষ হলো অভ্যাসের দাস যেটা প্রতিনিয়ত করে ঠিক সময় হলে সেটার কথাই মনে পড়ে যেমন আপনার হয়েছে।।
আমি সব সময় চেষ্টা করি, আমি যখন আমার বাবার বাড়িতে যাব তখন তাদেরকে রান্না করে দিয়ে যাওয়ার জন্য। এতে করে আমার মনে হয় অন্তত তারা আমার প্রতি অনেক বেশি খুশি হয়। আসলে অনেকদিন বাদে যাব তাই বাবা-মার জন্য কিছু ফল এবং বিস্কিট কিনে নিয়েছিলাম। যাতে করে তারা খেতে পারে। একদমই ঠিক বলেছেন, একটা অভ্যেস যখন নিজের মধ্যে চলে আসে তখন সেটা পরিত্যাগ করতে অনেক সময় লাগে। আশা করি আমি খুব দ্রুত সেটা পরিত্যাগ করতে পারব। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার মনে হয় এই জিনিসটা অনেক মেয়ে বোঝেনা যে বাবার বাসায় যাওয়ার সময় রান্না করে দিলে ভালো হয়।। এখান থেকে বোঝা যায় আপনি অনেক দায়িত্বশীল একজন বউ।। আর হ্যাঁ যেহেতু অনেকদিন পর যাচ্ছেন ফল নেওয়া আপনার দায়িত্ব।। আর হ্যাঁ খুব শীঘ্রই আপনার অভ্যাসটা পরিবর্তন হবে।।
আমি সর্বদাই চেষ্টা করি যখন এই বাড়িতে আসবো, তখনই তাদের কিছু কাজ এগিয়ে দিয়ে আসার জন্য। এতে করে আমার মনে হয় তারা অন্ততপক্ষে একটা দিন রান্না না করে খেতে পারবে। যতটুকু আমি রান্না করে দিয়ে আসি, আর বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব থাকে অন্যরকম। তারা যখন একটু বয়স্ক হয়ে যায়। তখন অবশ্যই সন্তানের উচিত বাবা মা যার খায় যে খাবারগুলো খেতে চায়, সেগুলো তাদের জন্য নিয়ে আসার জন্য। অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি, নিশ্চয়ই আল্লাহতালা আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন। অবশ্যই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আমি দেখেছি অনেক মেয়ে এটা বোঝেনা বাবার বাড়ির কথা শুনলে সব কাজ ফেলে দিয়ে বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়।।
আমি মনে করি বাবা মাকে যে রকম শ্রদ্ধা করা হয় ঠিক সেরকম শ্বশুর-শাশুড়িকেও শ্রদ্ধা করা উচিত।।
আমি যতটুকু জানি যে মানুষ যতটুকু পানিতে নামবে। সে ঠিক ততটুকুই ভিজবে। এ কথাটার অর্থ হচ্ছে আমরা আমাদের শশুর শাশুড়িকে যতটুকু সম্মান করব। আমরা নিজেরাও ঠিক ততটুকুই সম্মান পাবো এবং আমাদের বাবা-মা আমাদের ভাইয়ের বউয়ের কাছ থেকে, ঠিক ততটুকুই আদর স্নেহ মায়া মমতা পাবে। একথা মাথায় রেখে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। বাকিটা আল্লাহতালার ইচ্ছা। তিনি যা করবেন হয়তো আমাদের ভালোর জন্য।