Better Life With Steem || The Diary game || 18 August 2024 ||

আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের জন্য আবারো শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম, সৃষ্টিকর্তার কাছে। সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ে চারপাশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, দিনের বেলায়ও সন্ধ্যার মত মনে হয়। অর্থাৎ বৃষ্টির কারণে চারপাশ অন্ধকার কোন কিছুই সঠিকভাবে দেখা যায় না। বৃষ্টি অনর্গল হচ্ছে রাত্রি বেলা বৃষ্টির শব্দে ঠিকমতো ঘুমানো সম্ভব হয় না।

আজকে নামাজ পড়ে বাহিরে হাঁটাহাঁটি করার সৌভাগ্য হয়নি। কেননা প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঘরের মধ্যে বসেই কিছুক্ষণ নিজের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিলাম। বাহিরে বের হওয়ার কোন পরিস্থিতি আমি দেখতে পেলাম না। এই বৃষ্টির মধ্যে বাহিরে বের হলে ভিজা একেবারে একাকার হতে হবে। কিন্তু সংসারের কাজগুলো তো সম্পূর্ণ করতে হবে।

মোটামুটি সকালবেলা ভিজে ভিজে নিজের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে ঘরে আসলাম। তারপর এক কাপ চা তৈরি করে খেয়ে নিলাম। কেননা মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছে, এরপর ছেলেদেরকে বিস্কুট খাইয়ে দিলাম। আমি রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে রান্নাঘরে চলে গেলাম। বৃষ্টির কমতি নেই হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এত জোরে চমকাচ্ছে এত জোরে শব্দ হচ্ছে কি আর বলব ভয় পাওয়ার মত অবস্থা।

রান্নাবান্না শেষ করতে বারোটা বেজে গেল সবকিছু ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম। তারপর সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে গোসল করতে চলে গেলাম। বৃষ্টি পড়ছে আমি গোসল করে ঘরে আসলাম একেবারেই ভিজে একাকার। নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে আগে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে, তারপর নিজে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো কারেন্ট থাকে না। যার কারণে নেটওয়ার্ক প্রচুর পরিমাণ সমস্যা করে। কিছু কাজ করার ছিল সেগুলোও করতে পারলাম না। চুপচাপ ছেলেদের সাথে শুয়ে পড়লাম কখন ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানিনা। আসরের আযান দিলে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর ছেলেদের নিয়ে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। বড় ছেলে ছাতা নিয়ে দোকানে গেল ঝাল চিপস নিয়ে আসার জন্য তারপর আমরা তিনজন মিলে মজা করে জাল চিপস খেলাম।

এরপর দেখলাম একটু বৃষ্টি কমে গেছে, তারপর শাশুড়ি বলল কালকে রান্না করার জন্য সবজি বাগান থেকে বেগুন নিয়ে আসার জন্য। তারপর আমি সবজি বাগানে গেলাম, সবকিছু ভিজিয়ে একেবারে একাকার হয়ে আছে। ওখান থেকে বেগুন নিয়ে আসলাম।

কারেন্ট ছিল না যার কারণে প্রচুর পরিমাণে মশা এত অবস্থা খারাপ কি আর বলবো। এরপর দুই তিনটা পোস্ট ভেরিফাই করে নিয়েছিলাম। তারপর মাগরিবের আযান দিল নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর ছোট ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়তে বসলাম। বড় ছেলে তার দাদার কাছে কোরআন পড়তে গেছে। ওর কোরআন পড়া হলে, আমার কাছে এসে কিছুক্ষণ নামতা পড়ল। তারপর আমি ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম।

এরপর আমি উঠে গিয়ে এশার নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খাওয়ার পর দেখলাম কারেন্ট চলে এসেছে, কারেন্ট আসার সাথে সাথে মোবাইলে নেটওয়ার্ক ও দেখতে পেলাম। তারপর আমার কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিয়েছিলাম।

তারপর দেখলাম বাহিরে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, আকাশের গর্জনে অনেক বেশি ভয় পাওয়ার মত অবস্থা। জানালা খুলে বাইরে দেখলাম এত পরিমানে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, মনে হচ্ছে দিনের আলো দেখা যাচ্ছে। অনেকটা ভয় পেয়ে জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।