Better Life With Steem || The Diary game || 14 November
পরিবারের সদস্য গুলো অসুস্থ থাকলে আসলেই মন মানসিকতা কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আপনাদের সাথে আগেও হয়তো বা শেয়ার করেছিলাম। আমার ছোট ছেলের অসুস্থতার ব্যাপারে। মাঝে কয়েক দিন সে ভালো ছিল কিন্তু বর্তমানে এসে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড জ্বর এবং তার আগের অসুখটা তার শরীরটা পুরা আক্রান্ত করে ফেলেছেন। খুব ভয়ের মধ্যে দিন কেটে যাচ্ছে।
এদিকে মামাতো বোনের বিয়ে শেষ করে এসেছিলাম। অনেক দৌড়াদৌড়ির কারণে নিজের শরীরটাও অসুস্থ হয়ে গেছে। শাশুড়ি অসুস্থ উনার জ্বর মাথাব্যথা। উনি একটু সামান্য অসুস্থ হলেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। ওনার চিৎকার চেঁচামেচির কারণে ঘরে থাকা যায় না।
সকাল বেলা |
---|
প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠেছিলাম ভোর পাঁচটায়। ওঠে নামাজ পড়ে নিয়েছি। এরপর শাশুড়ির কাছে গিয়ে দেখে নিয়েছি ওনার শরীরে জ্বর আছে কিনা। দেখলাম জ্বরের পরিমাণটা কিছুটা কম, কিন্তু উনি ঘুমিয়ে আছে। আমি যাওয়ার সাথে সাথেই উঠে গিয়েছে। এরপর উঠে নামাজ পড়ে নিয়েছেন। আমি বললাম যে আপনি কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন হয়তো বা ভালো লাগবে।
আমি নিজের সংসারে যাবতীয় কাজগুলো সম্পন্ন করে নিলাম। এরপর বড় ছেলের পরীক্ষা চলতেছে। ওকে নিয়ে একটু বেশি টেনশন এ আছি। কারণ ওকে আমি যা মুখস্ত করাই মুখস্ত হয়। কিন্তু লিখতে গেলে বানানে অনেক ভুল করে। যার কারণে ওকে নিয়ে আবার একটু বসেছিলাম। যে ভুলগুলো হচ্ছিল, সেগুলো শুধরে দেয়ার চেষ্টা করছিলাম।
ওর মাদ্রাসার সময় হয়ে গেলে, আমি ওকে নাস্তা খাইয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে। দেই এরপর আমি রান্নাবান্নার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আজকের সব কাজ নিজেকেই করতে হবে। কেননা শাশুড়ি অসুস্থ। উনি যদি অসুস্থ না থাকতো তাহলে উনি কিছু কাজে আমাকে সাহায্য করতে পারত। একটা একটা করে সবকিছু গুছিয়ে নিতে, আমার প্রায় এগারোটা বেজে গেল।
দুপুর বেলা |
---|
তার পরেও রান্নাবান্নার পরিমাণ কম থাকার কারণে, খুব তাড়াতাড়ি রান্নাটা হয়ে গেছে। রান্না শেষ করে ছোট ছেলেকে গরম পানি দিয়ে ওর শরীর মুছে দিয়েছি। এবং ওকে রেডি করে নিজেও রেডি হয়ে নিয়েছি কারণ ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলাম। এরপর গাড়ি দিয়ে বাজারে গেলাম ডাক্তারের দোকানে। ডাক্তার ওকে দেখে বলল সমস্যা নাই ঠিক হয়ে যাবে। আবার ওষুধ চেঞ্জ করে দিলো। এবং আবার নতুন করে দুইটা ক্রিম ওকে দিল।
এরপর বাড়িতে এসে প্রথম কাজ আমার ছিল ওর শরীরে ক্রিম মালিশ করা। এরপর আমি ওকে অনেক জোর করে অল্প কয়টা ভাত খাইয়েছি। এবং ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। বাজারে গিয়েছিলাম যখন, তখন ও বায়না করেছিল ওর জন্য চটপটি নিতে। এরপর আমি ওকে ভাত খাওয়ানোর খানিক বাদে, চটপটি দিয়েছি ও নিজের মত করে একটু খেয়েছে।
বিকেল বেলা |
---|
বিকেলবেলা ওরা নিজেদের মত খেলা করছিল। আমি আমার নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করলাম। এরপর নিজের পোস্ট লেখা শুরু করলাম। পোস্ট লেখা হলে পোস্ট করে আমি ছেলেদেরকে হালকা নাস্তা দিয়েছি। ওরা নাস্তা খেয়ে নিয়েছে। এরপর বড় ছেলে পড়তে বসেছে। ছোট ছেলে শুয়ে ছিল, কারণ ওর শরীরটা অনেক বেশি খারাপ।
এরপর আমি মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। এবং বড় ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়ালাম, এরপর ওদেরকে ভাত খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি রাত 9 টার সময় হ্যাংআউটে উপস্থিত হয়েছি। আসলে গতকালকের হ্যাংআউট অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং এবং মজার ছিল। আমাদের ম্যাম অনেক মজার মজার অনেক বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল।
অসুস্থতা ও কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পাওয়া একটা নেয়ামত। কখনোই অসুস্থ হলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলা যাবে না। অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধারণ করে। অসুস্থতার সময় পার করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে আমি ঠিক একই কাজ করে যাচ্ছি। কেননা আমি নিজেও প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত। বিভিন্ন জায়গার পানি দিয়ে গোসল করার কারণে আমার নিজের শরীরটা অনেক বেশি অসুস্থ। তারপরেও পরিবারের প্রত্যেকটা কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করে, একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি। সবার সুস্থতা কামনা করে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
meraindia |
---|
কালকে হ্যাংআউট আসলেই অনেক বেশি মজার ছিল। যদিও আমার বাসার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লেগেছে।
আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছেলে ও শাশুরীর জন্য দোয়া করছি আপু যেন ওনারা খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে ওঠে। সে সাথে আপনার জন্যও দোয়া করি যাতে আপনিও সুস্থ হন। আপনার লিখাটি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই খারাপ লাগছে। কারণ আপনার বাচ্চার চর্মরোগটি এখনো ঠিক নি। তারপর আপনি সহ আপনার শাশুড়ি অসুস্থ। আসলে বর্তমান সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তন বর্তমান হওয়ার কারণে সবাই কম বেশি অসুস্থ হচ্ছে।
আপনাকে একটা কথা বলি আপনার দুয়া করি আপনার ছোট ছেলের চর্মরোগটি তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাক। আর যদি না ঠিক হয় তবে ওকে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান। আশা করি ভালো একটা ফল পাবেন।
যাইহোক আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার শাশুড়ির খবর নিছেন নিজে নামাজ পড়েছেন। তারপর আপনার বড় ছেলে পড়িয়েছেন। তারপর ওকে খাওয়া দাওয়া করে মাদ্রাসায় পাঠিয়েছেন। তারপর আপনি সকালে রান্না একা একা করেছেন।
আপনার ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিছেন। সকল কাজ তাড়াতাড়ি সেরে রাতে হ্যাংআউট ক্লাস যুক্ত হয়েছেন। যাইহোক আপু আপনার দিনলিপি খুবই ভালো আপনার সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন।
আপনি যেমন বলেছেন ঘরের কেউ অসুস্থ হলে আর কিছু ভালো লাগে না। বিশেষ করে মা যখন অসুস্থ হয় তখন পুরো ঘরকেই অসুস্থ মনে হয়। আপনি নিজে অসুস্থ আপনার শাশুড়ী সন্তান অসুস্থ এর পরেও সংসারের যাবতীয় কাজ ও নিজের ব্যাক্তিগত কাজ সকল কিছু সম্পন্ন করতে কোন ছাড় দেন নি। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে দ্রুত সুস্থতা দান করুক।
খুব ব্যস্তময় একটি দিন পার করেছেন,, সংসারে সমস্ত কাজ গুছিয়ে রান্না সেরে এরপর আপনার ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন,, এবং ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ কিনে নিয়ে এসেছেন।
একটা মা কত কষ্ট করে, তার সন্তানের দেখাশোনা সংসার দেখাশোনা, সবকিছু যেন একদম নিখুঁত ভাবে গুছায়। এত এত কাজকর্ম করার পরে রাতে আপনি চুপ থাকেনি কমিউনিটির কাজে যোগ দিয়েছেন এবং ক্লাস জয়েন্ট হয়েছেন। আপনার জন্য হলে অনেক অনেক শুভকামনা।
আসলে ছোটবেলার একটা সন্তানের জন্য একজন মা যতটা কষ্ট করে। সেই পরিমাণ কষ্ট যদি একটা সন্তান তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য করতো। তাহলে হয়তো বা বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশে এত বেশি বৃদ্ধাশ্রম থাকত না। নিজের দায়িত্ব গুলো যখন নিজেই নিয়েছি। তখন সেগুলোকে সঠিকভাবে পালন করা আমার নিজের দায়িত্ব। তাই সর্বদাই চেষ্টা করি সবকিছু সঠিকভাবে সামলে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।