"Better Life With Steem || The Diary game || 13 January 2024"
![]() |
---|
আবারো নতুন একটা ভোরের জন্য শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহতালার কাছে। এখনো বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ। একটা একটা করে দিন আমাদের জীবন থেকে পার হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। একটা সময় আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। যতটুকু সময় বেঁচে আছি। অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
সকাল বেলা |
---|
প্রতিদিনের মতোই সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে অজু করে এসে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা। বাহিরে বের হওয়া একেবারেই অসম্ভব, কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে নামাজের বিছানায় বসে থাকতে পারলাম না। তাড়াতাড়ি উঠে আবার কম্বলের ভেতর ঢুকে পড়লাম, ভাবলাম একটু ঘুমিয়ে পড়বো।
![]() |
---|
কিন্তু ঘুমানোর কোন সময় নেই। ঘরে প্রচুর পরিমাণে কাজ মেহমান এর সংখ্যা যদিও কিছু কমে গেছে। তারপরেও এখনো ঘরের মোটামুটি অনেক মেহমান আছে। তাই তাড়াতাড়ি করে সকালবেলা ভাত রান্না করার জন্য বসিয়ে দিলাম। আমার শাশুড়ি সকাল বেলা বলেছিল রুটি করতে অনেক বেশি দেরি হয়। তাই ভাত এবং আলু দিয়ে মাছ দিয়ে টমেটোর ঝোল রান্না করবে, এবং ডিম ভাজি করবে।
![]() |
---|
যে কথা সেই কাজ ঘরের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে, আমি গিয়ে ভাত রান্না করে নিলাম। ভাত রান্না করার পর ছেলেকে গরম গরম ভাত খাইয়ে প্রাইভেটে পাঠিয়ে দিলাম। ওকে পাঠিয়ে দেয়ার পর আমি আগে চলে গেলাম সবজি বাগানে। ওখানে গিয়ে সবজি বাগানের মধ্যে পানি দেয়া শেষ করলাম। এবং বাসায় এসে দেখলাম আরো অনেক কাজ পড়ে আছে।
কাজ করব এমন সময় আমার শাশুড়ি আমাকে বলল এসব কাজ আমি করে নেব। তুমি আগে গিয়ে কাঁচকলা ছড়াটা কেটে নিয়ে আসো। আমি দেরি না করে দা নিয়ে ওখানে চলে গেলাম। এবং কাঁচকলার ছড়া কলার মোছা নিয়ে আসলাম বাসায়।
![]() |
---|
এরপর আমি কলা কেটে নিলাম রান্না করার জন্য। শীতের দিনে নারিকেল শিল পাটার মধ্যে বেঁটে নেয়া অনেক বেশি কষ্টকর। নারিকেল পিসতে গিয়ে আমার অবস্থা একেবারে খারাপ। একেবারেই অসহনীয় অবস্থা হয়ে গেছেন। তার পরেও অনেক কষ্ট করে নারিকেল বেঁটে নিয়েছিলাম।
এরপর এক এক করে রান্না করতে শুরু করলাম। যাক অবশেষে একটা একটা করে রান্নার আমার শেষ হয়ে গেল। রান্না করতে করতে প্রায় বারোটা বেজে গেল। সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিতে নিতে একটা বেজে গেল।
দুপুর বেলা |
---|
গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ পড়ার একটু পরে দেখি ছেলে চলে এসেছে। তাই তাকে আগে দুপুরের ভাত খাইয়ে আবার মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আমি নিজে দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে। সবাইকে দুপুরের খাবার রেডি করে দিলাম। সবাই যে যার মত করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিল।
![]() |
---|
সবার খাবার শেষ হলে আমি আমার নিজের খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। কমেন্ট করতে করতে আসরের নামাজের আজান দিয়ে দিল। ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করলাম।
এরপর আসরের নামাজের অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর সবাই বলল বিকেলবেলা একটু হাঁটতে বের হবে। কিন্তু আমার কাছে এত পরিমাণে ঠান্ডা লাগছিল। আমি আর হাঁটতে বের হইনি এমনিতেই কাশ দিতে দিতে আমার অবস্থা খারাপ। তাই ঘরের মধ্যে নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিলাম।
রাত |
---|
আমার শাশুড়ি বিকেলবেলা বাজারে গিয়েছিল। বাজার থেকে আসার সময় পেঁয়াজু আলুর সব বেগুনি এবং বুট নিয়ে এসেছিল। সন্ধ্যার পর সবাইকে বুট মুড়ি বানিয়ে দিয়েছিলাম। আমি আসলে বুঝতে পারিনি বুটের মধ্যে এত পরিমানে ঝাল ছিল। আমিও কাঁচামরিচ দিয়ে দিয়েছিলাম😜। সবাই খেয়ে একেবারেই অবস্থা খারাপ।
![]() |
---|
সবার খাওয়া শেষ হয়ে গেলে আমি দুইটা পোস্ট ভেরিফিকেশন করেছিলাম। এর মাঝে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসিয়ে ছিলাম, একটু পড়ানোর পর আমার শ্বশুরমশাই ডাক দিল উনার জন্য রুটি তৈরি করার জন্য। তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে উনার জন্য রুটি তৈরি করে নিলাম। উনাকে রুটি খাইয়ে আবার রাতের ঔষধ খাইয়ে দিলাম।
![]() |
---|
এরপর এশার নামাজ পড়ে সবাইকে রাতের খাবার দিয়ে দিলাম। এবং ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুমাতে বললাম। কেননা ঘরের ভেতরে এত পরিমাণে ঠান্ডা যেটা বলে আমি বোঝাতে পারবো না। ঠান্ডায় নিজের অবস্থা একেবারে খারাপ, নিশ্বাস নিতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।
এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল।
উপসংহার |
---|
আজকের দিনটা থেকে আমি বুঝতে পারলাম। যতই ঠান্ডা হোক না কেন ঘরের বউ কিংবা ঘরের মেয়েরা কখনো চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। তবে বাবার ঘরে বসে থাকতে পারে, এটা বেশ ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারলাম।
কেউ কেউ হয়তো বা মেয়েদেরকে গুরুত্ব দিতে চায় না। আবার অনেকেই আবার প্রশ্ন করে তোমাদের কোন বাড়ি নেই। আসলে মেয়েদেরকে ছাড়া কোন বাড়ি পরিপূর্ণ হয় কিনা, সেটা আমার জানা নেই। যদি কারো জানা থাকে অবশ্যই আমাকে জানাবেন🙏। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঘুম থেকে উঠে অজু করে ভেবেছিলেন কিছুটা সময় কম্বলের নিচে থাকবেন তবে সেটা আর হলো কই।
আমরা যারা গৃহিণী ভাবলেও একটু শুয়ে থাকা যায় না। কাজের তাগিদে উঠতেই হয় তাছাড়া আপনার বাসায় আর মেহমান রয়েছে তাই উঠে ভাত বসিয়ে দিলেন। আলু দিয়ে টমেটোর ঝোল অসম্ভব মজাদার একটি খাবার।
এরপর আপনার শাশুড়ি আপনার কথা অনুযায়ী কলা মোচা সহ কলা কেটে নিয়ে আসলাম। এরপরে দুপুর রান্না শেষ করলেন।
বিকেলে আপনার শাশুড়ি আম্মা বাজারে গিয়েছিলাম এবং অনেক ভাজাপোড়া কিনে নিয়ে এসেছে। বুটের ডালে এমনিতেই জাল ছিল আপনি আরো বেশি ঝাল দিয়েছেন। মন্দ নয় শীতের দিনে শরীর গরম করা উচিত। যাইহোক সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে। আসলে এত পরিমাণ মেহমান এসেছে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে ঝালের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে। আমার বড় ছেলে ঝাল খেয়ে বমি করে দিয়েছে। আমি তখন অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম। পরে চিনি লবণ দিয়ে শরবত বানিয়ে দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
কলার মোচা অনেক মজার একটা তরকারি। খুব ই টেস্টি হয়ম তবে আপনি এটার রেসিপি দিলে আরো ভালো হতো।
ঠান্ডার দিনে ছোলা মাখায় ঝালের উপর আরো কাচা মরিচ দেয়ায় অনেক অনেক বেশি ঝাল হলেও আমার মনে হয় সবাই মজা করে খেয়েছে। অনেক বেশি ঝাল খেলে এই ঠান্ডায় কান মাথা গরম হয়ে যায়। আমি মাঝে মদ্ধ্যে ইচ্ছে করে বেশি ঝাল খাই শীতের মধ্যে।
অবশ্যই আমি আপনাদের সাথে কলার মোচা তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করব। আসলে আমাদের জন্য ঝাল ঠিক ছিল। কিন্তু ছোট বাচ্চা যারা রয়েছে তাদের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে গেছে। ঝাল খেয়ে বমি করা শুরু করে দিয়েছে। তাই একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
করার জন্য।
কলার মোচা খুবই মজার একটা খাবার। যেটা আমার শাশুড়ি এবং আমি যখনই রান্না করি শিং মাছ নারিকেল দিয়ে রান্না করার চেষ্টা করি। তখন খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। আমার একটা দিনের কার্যক্রম করার পর আপনার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। সৃষ্টিকর্তা আপনার মাকে পরকালে ভালো রাখুক। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।