Better Life With Steem || The Diary game || 13 August 2024||

সব সময় ভালো থাকার প্রত্যাশা করা মানুষটা কখনোই ভালো থাকতে পারে না। জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমরা সুখ দুঃখ হাসি কান্না নিয়ে বেঁচে থাকি সব সময় ভালো থাকবো এটা কখনো আশা করা ঠিক না। জীবনে সব সময় দুঃখ থাকবে এটাও আমরা কখনো মেনে নিতে পারব না। তাই সবকিছু মিলিয়ে আমাদেরকে চলতে হবে ভালো থাকতে হবে।

ভালো থাকার প্রত্যাশা নিয়ে আরো একটা দিন শুরু করলাম। প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। তারপর সকাল থেকেই নিজের সংসারে যাবতীয় কাজ শুরু করে দিলাম। বিগত কয়েকদিনে যারা আমার পোস্ট পরিদর্শন করেছেন তারা অবশ্যই জানেন। বর্তমান সময়ে আমার বাসায় প্রচন্ড পরিমাণে মেহমান রয়েছে। যার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে তবে আলহামদুলিল্লাহ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে এর জন্য অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করে নিচ্ছি সৃষ্টিকর্তার কাছে।

আজকের দিনটা আলহামদুলিল্লাহ সকাল থেকেই বেশ ভালো ছিল। আকাশে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে যেটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে। কেননা বৃষ্টি হলে চারপাশ একেবারেই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। যার কারণে হাঁটাচলা করতে অনেক বেশি সমস্যা হয়। তবে আলহামদুলিল্লাহ আজকের দিনের রোদের কারণে, অনেকটাই শুকিয়ে গেছে চারপাশ। যার কারণে বেশ ভালই লাগছে।

সকালের নাস্তা হিসেবে নুডুলস রান্না করেছিলাম। তারপর সবাই মিলে নুডুলস খেয়ে বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করলাম। বাইরের পরিবেশটা এতটাই সুন্দর যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর ঘরে চলে আসলাম। তারপর ঘরে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে সোজা চলে গেলাম রান্না করার জন্য।

এরপর রান্না শেষ করে এসে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজের বিছানায় বসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম তারপর সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খেয়ে ভেবেছিলাম একটু ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু কথায় আছে না আমরা যা চিন্তা করি সেটা কখনো হয়না। আমার চিন্তা করা জিনিসগুলো কখনোই আমার সাথে ঘটে না। এটা এখন না আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে জিনিসটা বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি। যে আমি কোন কিছু চিন্তা করব এভাবে করব। কিন্তু আমি সঠিকভাবে সেই কাজটা করতে পারি না, যাইহোক তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ।

এরপর বিকেলের দিকে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ঘরে চলে আসলাম। তারপর ঘরে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে আসরের নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। নামাজ পড়ার পর সবাই মিলে কিছুক্ষণ বসে গল্প করলাম। কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের আযান দিল তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে, ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসলাম। আগামীকাল ছেলের অংক পরীক্ষা। তাই ওকে নামতা গুলো ভালোভাবে আবারও পড়ানোর এবং লেখানোর চেষ্টা করলাম।

ওর পড়া শেষ করতেই এশার আজান দিয়ে দিল। তারপর সবাই মিলে নামাজ পড়ে রাতে খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর কিছুটা সময় অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। তারপর মনে হচ্ছে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।