Better Life With Steem || The Diary game || 12 August 2024||
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। আজকে বাইরে তেমন একটা হাঁটাহাঁটি করার সময় পাইনি। কেননা ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ ছিল। তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আগে সেই কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর নাস্তা তৈরি করার জন্য রান্না করে বেরিয়ে পড়লাম। একটু পরে বৃষ্টি শুরু হল। রান্নাঘরে বসেই সম্পূর্ণ করে নিয়েছিলাম সকালের নাস্তা তৈরি করা।
তারপর ঘরে এসে সবাইকে নাস্তা দিলাম নাস্তা খেয়ে নিলাম। তারপর ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম ও মাদ্রাসায়।ও চলে যাওয়ার পর আমি রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। কালকে অনেক কিছুই রান্না করেছি যার কারণে আমার একটু দেরি হয়েছিল। তাই রান্নাবান্না শেষ করতে আমার প্রায় দুপুরে একটা বেজে গেল।
এরপর এক এক করে সবকিছু ঘরে গুছিয়ে নিয়েছিলাম।তারপর গিয়ে গোসল করে নিয়েছিলাম, তারপর ঘরে এসে, দেখলাম ছোট ছেলে মসজিদে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করছে। তারপর তাকে রেডি করে মসজিদে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আমি যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর সবাইকে দুপুরের খাবার দিয়ে দিলাম। সবাই খুব মজা করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিল গল্প করতে করতে। এরপর গাছে পেঁপে পেকে আছে ওটা গাছ থেকে নামিয়ে নিলাম তারপর সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছিলাম।
অতিরিক্ত গরমে থাকার কারণে আমার মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছিল। তাই একটু শুয়ে পড়লাম কিন্তু ছেলেদের গল্প করার কারণে নিজেই ঘুমাতে পারছি না। তার আমার পাশে শুয়ে দুই ভাই গল্প করতে লাগলো তাদের ফুফাতো বোনদের সাথে। তাই নিজে চুপচাপ শুয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। তারপর উঠে গেলাম ঘরে আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করার জন্য।
কাজগুলো করতে গিয়ে আবারো বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টিতে ভিজে এই কয়েকদিন কাজ করার কারণে আমার শরীরের অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই। কিছুক্ষণ পর পর মাথা ব্যথা করে। ঘরে এসে মাথা ব্যাথার ঔষধ খেয়ে নিলাম কিন্তু মাথা ব্যথা কমার কোন নাম নেই। কি আর করব কাজগুলো তো করতেই হবে। তাই সবকিছু সম্পূর্ণ করে ঘরে চলে আসলাম। একটু পরেই আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়ে ঘরে বসেই সবার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। ওদের মাদ্রাসা কবে খোলা হবে আবার ওদের সামনে পরীক্ষা আছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করলাম। একটু পরেই দেখলাম মাগরিবের আযান দিয়ে দিছে। ছেলের কালকে হাদিস পরীক্ষা তাই নামাজ পড়ে আগে ওকে নিয়ে পড়তে বসলাম। নিজে থেকে এখন পড়তে বসতে চায়না। জোর করে পড়তে বসালে কান্নাকাটি করে। কেননা এখন বাসা মেহমান রয়েছে তাই ও মনে করে সবার সাথে গল্প করলে ওর কাছে বেশ ভালো লাগবে। কিন্তু পড়াশোনাটা প্রয়োজন কেননা ওর পরীক্ষা চলতেছে।
এরপর অনেকক্ষণ ওকে পাড়ালাম তারপর সবাইকে রাতের খাবার দিয়ে, আমি এসে এশার নামাজ পড়ে নিলাম। এশার নামাজ পড়ার পর নিজেও রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর ভাগ্নি দের সাথে একজন নাটক দেখলাম তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম আমার পোষ্টের যথার্থ মূল্যায়ন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অতিরিক্ত কাজ থাকায় আমরা অনেক সময় অনেক কিছু করতে পারি না।। আর হ্যাঁ আপনার রান্না বেশ লবণীয় লাগবে এছাড়াও ছেলের হাসি মাশাআল্লাহ।। আর বাসার মেহমান থাকলে কাজ একটু বেশি পড়তে হয় তারপর সব মিলিয়ে সুন্দরভাবেই সবকিছু করেছেন।।