Better Life With Steem || The Diary game || 10 May 2024||
প্রতিদিনের মতোই আযানের শব্দ পেয়ে তাড়াতাড়ি করে নামাজ পড়ার জন্য উঠে পড়লাম। অজু করে এসে ফজরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ জিকির করে নিলাম। আজকে সকালবেলা কাজ করার তেমন একটা প্রয়োজন ছিল না। কেননা গতকালকেই আমি ধান সিদ্ধ করে রেখে দিয়েছিলাম। আজকে শুধুমাত্র ধানগুলো ছাদে তুলে তারপর মেলে দিতে হবে। এটাও কিন্তু কম কাজ নয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে কাজ অনেকটাই কমে গেছে।তাই সবজি বাগানে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসলাম।
ঘরের কাজ সম্পন্ন করে সকালবেলা পিঠা তৈরি করেছিলাম। সবাই মিলে পিঠা খেয়েছিলাম এবং সবার জন্য আমি চা তৈরি করেছিলাম। সবাই চা খেয়ে যে যার মত করে কাজে লেগে পড়লো। আমি রান্নাবান্না করার জন্য সবকিছু রেডি করে রেখে দিয়েছিলাম, এরপর ছাদের উপরে প্রথমত ধানগুলো তুলে নিয়েছিলাম।
ধান ভালোভাবে ছাদের মধ্যে মেলে তারপরে আমি রান্না করার জন্য চলে এসেছি। রান্নাবান্না শেষ করতে আমার প্রায় দশটা বেজে গেল, তাড়াতাড়ি করে সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে এসেছি, কেননা সকালবেলা রোদ থাকলেও বর্তমান সময়ে বৃষ্টির আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। একটু পর পর আকাশের মধ্যে বৃষ্টির গর্জন শোনা যাচ্ছে।
মনের মধ্যে অনেকটা ভয় ছিল, কেননা ধান সিদ্ধ করেছি, যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আরো সমস্যা। রোদ না হলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। সবকিছু গুছিয়ে ঘরে রেখে ছাদে চলে গেলাম। যাওয়ার পর দেখলাম চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেছে, বুঝতে আর বাকি রইল না একটু পরেই বৃষ্টি নামবে।
তাড়াতাড়ি করে সবাই মিলে সমস্ত ধান এক জায়গায় জড়ো করে নিলাম। এরপর ধীরে ধীরে ধান নিচে নামাতে লাগলাম, কেননা বৃষ্টি পড়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা সমস্ত ধান নিচের নিয়ে আসার আগেই বৃষ্টি অনেক জোরে চলে আসলো, প্রায় অর্ধেকের বেশি ধান ভিজে একাকার হয়ে গেল, টেনশন আরো বেশি বেড়ে গেল।
অন্যান্য দিন বৃষ্টি আকাশে দেখার পরে প্রায় এক দেড় ঘন্টা পর বৃষ্টি পড়ে। কিন্তু আজকে হঠাৎ করেই আকাশে বৃষ্টি উঠল আর বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গেল, বিষয়টা একটু অবাক করার মত। কিন্তু কিছুই করার নেই। সৃষ্টিকর্তার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকৃতির এই নিয়মগুলো চলতে থাকে। এরপর ভেজা ধান গুলো এক এক করে নিচে নিয়ে আসলাম, পানি জরার জন্য রেখে দিলাম।
প্রায় ঘন্টাখানেক পর আবার রোদের দেখা পেলাম, কিন্তু ছাদ একেবারেই ভিজে গেছে। তাড়াতাড়ি করে গিয়ে ছাদ ভালো ঝাড়ু দিয়ে দিলাম। যাতে করে পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। আধা ঘন্টা পর ছাদ শুকিয়ে গেল, রোদের তাপমাত্রা মোটামুটি ভালই ছিল। তাই আবার ভেজা ধানগুলো ছাদের উপর তুলে দিলাম।
রোদের তাপমাত্রা ভালো হওয়ার কারণে কোন মতে ধান নষ্ট আমার হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এরপরে নামাজ পড়ে নিলাম। আজকে যোহরের নামাজ পড়তে প্রায় অনেক দেরি হয়ে গেল। কেননা ধান উঠানো আবার নামানো এটা নিয়ে অনেকটা ঝামেলায় পড়ে গেলাম। এদিকে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার কারণে শরীর একেবারেই ভিজে একাকার হয়েছিল, তাই নামাজ পড়তে দেরি হয়ে গেল।
নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি নিজেও দুপুরের খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিলাম। এরপর আবার ধানের কাছে গেলাম, দেখলাম মোটামুটি রোদের অবস্থা ভালো আছে। তাই আবার ধান উলটপালট করে ওখানেই বসে রইলাম। একটু পরে ছেলেকে দোকানে পাঠিয়ে ঝাল চিপস নিয়ে আসলাম এবং বসে বসে খেলাম।
এভাবেই প্রায় বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ধানের কাছে ছিলাম। এরপর সমস্ত ধান এক জায়গায় নিয়ে আসলাম এবং বস্তায় ভরে নিচে নিয়ে আসলাম। কেননা আকাশের অবস্থা এখনো তেমন একটা ভালো নেই। যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে। এরপরে সমস্ত ঘর মুছে নিয়েছিলাম, তারপর গোসল করে আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম, এরপর আমার ভেরিফিকেশন শুরু করলাম।
কিছু পোস্ট ভেরিফিকেশন করার পর আমার ঘরে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করলাম। এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করে ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসলাম। তাদের পড়া হয়ে গেলে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি আবার ভেরিফিকেশন শুরু করলাম।
তবে পোস্টের পরিমাণ একটু কম থাকার কারণে এত বেশি কষ্ট হয়নি। ভেরিফিকেশন শেষ হলে, প্রায় বারোটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধান শুকানো নিয়ে ছোট বেলার অনেক স্মৃতি জমা আছে, আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে সেগুলো মনে নাড়া দিল। এরকম প্রায়ই হতো, ধান শুকাতে দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই আকাশে মেঘ জমতো, আবার ধান জড়ানো নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু হতো।
ছোটবেলার স্মৃতি গুলো অনেক বেশি স্মৃতি মধুর। যেটা কখনো ভুলে থাকা সম্ভব না। আসলে বড় হয়ে বুঝতে পেরেছি ধান শুকানোর কাজটা কতটা কঠিন। ছোটবেলায় হয়তোবা মজার ছলে মাঝে মাঝে করতাম, কিন্তু এখন নিজেকেই সবকিছু সামলে নিতে হয়। আসলে হঠাৎ বৃষ্টি ধান একেবারেই ভিজিয়ে দেয়। যার কারণে হয়তোবা এক জায়গায় জড়ো করার জন্য দৌড়া দৌড়ই শুরু করে। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে মনে হল বেশ ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। পরে সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য পিঠা বানিয়েছেন।
আসলে ধান শুকানোর আগে এরকম মেঘলা আকাশ দেখলে অনেক ভয় লাগে। আপনার ও ঠিক এমনই মনে হয়েছে।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধান ছাদে দেয়ার পর যদি আকাশটা অনেক বেশি মেঘলা হয়ে যায়। তখন মনটা এমনিতেই ভয়ে ছোট হয়ে যায়। সেই দিনটা আমার খুব খারাপ গিয়েছিল। কেননা হঠাৎ করেই বৃষ্টি চলে আসে আর আমার বেশির ভাগ একেবারেই ভিজে একাকার হয়ে যায়। যার কারণে আমার অতিরিক্ত কষ্ট করতে হয়েছিল এবং মনটাও খুব খারাপ হয়ে গেল। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি তো সারাদিন বাড়িতে পরিশ্রম করেন। আমি মাকে ছোটবেলায় দেখতাম ধান রোদে দিয়ে বসে থাকতে।যদি বৃষ্টি চলে আসে তার জন্য। আপনার ও তাই বৃষ্টি এলে সব শুকনো ধান ভিজে যাবে। আমি ও দেখেছি বৃষ্টি এলে কীভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সারাদিনের মূহূর্ত গুলি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আসলে মনের মধ্যে অন্যরকম এক ভয় কাজ করে। শুকনো ধান যদি বেশি আসলে ভিজে যায়। তবে আমার ভাগ্যটাই খারাপ ছিল ভিজেও গেল অনেকগুলো ধান। তারপরেও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি, পরবর্তীতে সঠিকভাবে শুকিয়ে নিতে পেরেছি। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।