Better Life With Steem || The Diary game || 10 July 2024||
খুব ভোরবেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কেননা আজকে ঘরের কাজ আগেই শেষ করতে হবে। নয় টা থেকে ছেলের মাদ্রাসায় মিটিং রয়েছে। তাই দেরি না করেই নামাজ পড়ে সমস্ত কাজ গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলাম। কাজ গোছাতে গিয়ে দেখলাম সাড়ে আটটা। এরপর আর কি করবো তাড়াতাড়ি ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিলাম। নিজের সামান্য পরিমাণে বিস্কুট খেয়ে রওনা করলাম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে।
ওখানে গিয়ে দেখলাম আমি আসার আগেই মিটিং শুরু হয়ে গেছে। তাই গিয়ে চুপচাপ পেছনে বসে পড়লাম।আসলে অভিভাবকদের ডাকা হয়েছে, তারা এখন বর্তমান সময়ে বোর্ডের আওতাভুক্ত হবে। আগে তারা নিজেদের মতো করেই মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের তারা অর্ধেকটা সরকারি এবং অর্ধেকটা বেসরকারি হওয়ার একটা চেষ্টা চালাচ্ছে। সেজন্য তারা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের মাদ্রাসাটা রাখার চেষ্টা করছে। আগে তারা যেটা করত রমজান মাস থেকে রমজান মাস পর্যন্ত তাদের মাদ্রাসা একটা নিয়ম ছিল।
তবে বর্তমান সময়ে তারা সরকারি আওতাভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। সেটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। এরপর আমাদের মিটিং সম্পূর্ণ হতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল। ওখান থেকে আসার সময় আমাদেরকে একটা সিঙ্গারা একটা সমুচা এবং এক বোতল পানি দিয়েছিল।আমি আসার সময় সেগুলো ছেলেকে দিয়ে আসলাম এবং তার হাতে ২০ টাকা দিয়েছিলাম। কেননা দুপুরবেলা যাওয়ার সময় তার টাকা লাগবে।
ওখান থেকে সোজা বাজারের ভেতরে গেলাম। আমার একটা চিরুনি লাগবে নিলাম তারপরে নিলাম হচ্ছে ঘরে যাবতীয় কিছু জিনিস এবং পাঁচটা সমুচা। এর পরে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে দেখলাম সবকিছু এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যায়নি সেটা দাদার সাথে বসে গল্প করছিল। তারপরে সবকিছু ঠিকঠাক করতেই যোহরের আযান দিয়ে দিল। তাড়াতাড়ি গিয়ে গোসল করে নিলাম। এরপর নামাজ পড়ে খাবার খেয়ে নিলাম। ছেলে আসার পর তাকে খাবার খাইয়া আবারো মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম।
আসলে তেমন কোন কিছুই ভালো লাগছে না। চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মন-মানসিকতা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। কমিউনিটিতে ও তেমন একটা সময় দিতে পারছি না।বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার কারণে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলতে হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুতই ঝামেলা গুলো সমাধান হবে। বাকিটা একমাত্র আল্লাহতালার ইচ্ছে। এর পরে মায়ের সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম।
কথা বলতে বলতে প্রায় আসরের আযান দিয়ে দিল। তারপর ওখান থেকে এসে আমি অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম। এরপরে ছেলেরা আমার কাছে আবদার করল আজকে তাদেরকে একটু অন্যরকম ভাবে কিছু খাওয়াতে হবে। আসলে ওরা আমার কাছে তেমন একটা আবদার করে না। কিন্তু যখন আবদার করে আমি তাদের ইচ্ছাটা পূরণ করার চেষ্টা করি।
তখন আমি ওদেরকে জিজ্ঞেস করলাম কি খাবে। বলল ওরা গিয়ার খাবে কোন আইসক্রিম খাবে এবং ঝাল চিপস খাবে। তাই আমি বড় ছেলের হাতে টাকা দিলাম এবং বললাম সবকিছু তিনটি করে নিয়ে আসতে। এরপর আমরা মা ছেলে মিলে বলতে পারেন ছোট্ট একটা পার্টি মত কিছুটা সময় কাটিয়ে ছিলাম গল্প করেছিলাম। এরপর মাগরিবের পরে ছেলেদেরকে পড়তে বসালাম। কিছুক্ষণ পড়ার পর ওরা রাতের খাবার খেলো। তারপর ঘুমিয়ে পড়ল। আমিও কিছুক্ষণ পরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আজকে আপনার ছেলের মাদ্রসায় প্যারেন্টস -টিচার মিটিং থাকার কারণে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সব কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করেছেন। আমার কাছে মনে হয় এই ধরণের মিটিং ক্লাস শেষে করলেই বেশি ভালো হয়। তাহলে আপনাদের এতো তাড়াহুড়া লাগবে না।
এই বিষয়ে আপনারা মাদ্রাসায় কথা বলে দেখতে পারেন।
বাচ্চারা মাঝে মাঝে আবদার করে । বোরো হওয়ার সাথে সাথে আবদারও বাড়তে থাকে। আমিও আপনার মতোই চেষ্টা করি ওদের আব্দারগুলি পূরণ করতে। যদিও সব সম্ভব হয়ে উঠে না।
আসলে বিকেলে যায় মাদ্রাসায় অন্যরকম একটা আয়োজন থাকে। সেজন্য তারা সকালবেলায় মিটিং এর ব্যবস্থা করে থাকে। তাই যাই কিছু হোক না কেন ওখানে গিয়ে উপস্থিত হতেই হয়। অনেকটা ব্যস্ততার মধ্যেই দিনটা পার করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ছেলের মাদ্রাসায় মিটিং থাকায় তাড়াহুড়া করেই সকালের কাজ করেছেন তারপরও সময় মত যেতে পারেননি।। আর হ্যাঁ এটা একদম ভালো উদ্যোগ নিচ্ছে সরকারি অন্তর্ভুক্ত করার।। মা তো এমনই হয় সন্তানের প্রতিটা চাহিদা পূরণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।।
মিটিং এ সময় মত উপস্থিত হতে পারিনি সেজন্য আসলে আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। কেননা অনেক কথা আমি সঠিকভাবে শুনতে পারিনি পেছনে বসার কারণে। চেষ্টা করি তাদের ইচ্ছে গুলো প্রতিনিয়ত পূরণ করার জন্য। বাকিটা আল্লাহতালার ইচ্ছা। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি তো ইচ্ছা করে এরকমটা করেননি বাসায় কাজের জন্য আর হ্যাঁ যে কোন মিটিং এই পড়ে গেলে কথা শোনার এলোমেলো হয়ে যায় আর বুঝতেও পারা যায় না।।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে আপনি শেয়ার করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, এবং আপনি যে আইসক্রিমের ছবিটি এখানে শেয়ার করেছেন সেটা দেখলে আমারও এখনই আইসক্রিম খাওয়ার মন উঠে গিয়েছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।