আলহামদুলিল্লাহ নতুন আরেকটা সকাল পেয়ে অনেক বেশি খুশি, আজকের সকালটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। সকালে তেমন একটা বৃষ্টি ছিল না যার কারণে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালই লেগেছে। আজকে অনেকদিন বাদে সবজি বাগানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম কুমড়ো শাক দেখা যাচ্ছে। যেটা দেখে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম অনেকদিন পর দেখতে পেয়েছি।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে সবাই মিলে বাসায় চলে আসলাম। যে যার মত করে নাস্তা খেয়ে নিয়েছে আমি মুড়ি এবং বিস্কুট খেয়ে নিলাম। কোন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না তার পরেও ওষুধ খেতে হবে তাই। তারপর রান্না বান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে রান্না করে রেখে এসে, ছেলেকে আগে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম আজকে তার পরীক্ষা আছে।
ও মাদ্রাসায় চলে যাওয়ার পর আমি ঘরে আসলাম। এরপর আমার ভাগ্নি দের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আজকের দিনটা আমরা কিভাবে কাটাব কি কি গল্প করবো এ বিষয় নিয়ে। তাদের গল্পের কোন শেষ নেই তারপর আমি ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলাম।
রান্নাবান্না শেষ করে ঘরে আসব এমন সময় বৃষ্টি শুরু হল। আসলে বর্ষার সময় কখন বৃষ্টি আসে কিছুই বোঝা যায় না। তারপরে ভিজে ভিজে সব কাজ করতে হবে কিছুই করার নেই। সবকিছু ঘরে নিয়ে আসার পর আমি কল পাড়ে গোসল করেছিলাম। আজকে আর ছোট ছেলেকে গোসল করাই নি, কেননা বৃষ্টিতে ভিজে এমনিতেই তার অবস্থা অনেক বেশি খারাপ।
তারপর ঘরে এসে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।খাবার খেতে বসে সবাই মিলে অনেকক্ষণ গল্প করলাম। যদিও খাবার খাওয়ার সময় কথা বলাটা আমাদের ধর্মে নিষেধ, কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করতে করতে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ভেবেছিলাম একটু ঘুমাবো কিন্তু তাদের গল্প শেষ হচ্ছে না, যার কারণে আমিও ঘুমাতে পারলাম না। অনেকক্ষণ গল্প করার পর আসরের আযান দিলো।
তারপর ওরা সহ গিয়ে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর আমরা বাহিরে একটু হাটাহাটি করার জন্য বের হয়েছিলাম। আসলে সারাক্ষণ ঘরে থাকতে তেমন একটা ভালো লাগে না। আর কালকে বিকেলবেলা তেমন একটা বৃষ্টি ছিল না। যার কারণে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালোই লেগেছিল। রাস্তার পাশে দেখলাম সুন্দর একটা ফুল যেটাকে আমরা হাতির সুড় বলে থাকি, দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
আমি ওখান থেকে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম। এরপর আরো কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে আসলাম। একটু পরে দেখলাম আমার ছেলে চলে এসেছে, জিজ্ঞেস করলাম তার পরীক্ষা কেমন হয়েছে বলল বেশ ভালই হয়েছে। এটা শুনে আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। মাগরিবের পর তাকে নিয়ে আবারো পড়তে বসলাম কালকে ওর আরবি পরীক্ষা।
যেহেতু মুখস্থ লিখতে হবে তাই আমি ওকে নিয়ে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। কেননা এই লেখাগুলো একটু ভুল হলেই অনেক সমস্যা। তারপর এশার নামাজ পড়ে সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই আজকে আর গল্প করার মন-মানসিকতা ছিল না। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে এখন মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাজের অনেকেই অসুবিধা হচ্ছে। আপনার খেতে কুমড়ো শাক গুলো দেখতে ভালোই লাগছে ।আমাদের বাড়িতেও কুমড়ো শাক খাওয়া হয়। আপনার সুন্দর পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
সবজি বাগানে শাকগুলো দেখতে আসলেই সুন্দর লাগছে।। এরকম নিজের বাগান থাকলে অনেক সবজি কিনতে হয় না।। সকালে নাস্তা করার পর ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।। আর হ্যাঁ আপনাদের ওখানে মাটির চুলা একটু অন্যরকম আমাদের এখানে প্রায় মাটির চুলা সিঙ্গেল হয়ে থাকে।। আপনার ছেলের আরবি হাতের লেখা বেশ সুন্দর।।