Better Life With Steem || The Diary game || 07 October
প্রতিদিনের দিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। এরপর ছাতা নিয়ে কলপাড়ে গেলাম। কারণ প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। ওখানে গিয়ে অজু করে এসে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। নতুন একটা সকালের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলাম। নামাজের বিছানায় কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। এরপরে বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। মনটা তেমন একটা ভালো লাগছে না।
আজকে পান্তা ভাত ছিল। তাই আর নাস্তা বানানো হয়নি। ডিম ভাজি করে সবাই মিলে পান্তা ভাত দিয়ে সকালের খাবারটা সেরে নিলাম। খাবার খাওয়ার পর আমি রান্নাবান্না করার জন্য, রান্নাঘরে চলে গেলাম। এর ফাঁকে ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম।
হঠাৎ করে ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখি। আমাদের বড় পেঁপে গাছের মধ্যে একটা পাখি বসে পাকা পেঁপে খাচ্ছে। এরপর আমি বড় একটা লাঠি নিয়ে ছাদে গেলাম পেঁপে পেড়ে আনার জন্য। ওখানে গিয়ে দেখি একটা নয় মোটামুটি পাঁচটা পেঁপে পেকে আছে। এরপর আমি একটা একটা করে প্রত্যেকটা পেঁপে পেড়ে নিলাম। নিচে এসে সুন্দরভাবে কেটে, আমি নিজে খেলাম এবং বাড়ির সবাইকে দিলাম।
রান্নাঘরে যাওয়া মাত্রই বৃষ্টির পরিমাণটা আরো বেশি বৃদ্ধি পেল। বৃষ্টির কারণে চারপাশ অন্ধকার হয়ে আছে। কোনমতে রান্নাটা সেরে নিলাম। রান্না করতে করতে আমার প্রায় 11:30 টার মত বেজে গেল। এরপর সব কিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম। একটু পরে দেখলাম বৃষ্টি কমে গেছে।
তাড়াতাড়ি করে ছোট ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। এবং নিজেও গোসল সেরে নিলাম। এরপর এসে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। ছোট ছেলেকে আগে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি নিজেও খাবার খেয়ে, ওকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ও ঘুমালো না।
ও নিজের খেলনা গুলো নিয়ে খেলতে শুরু করল। আমি আমার কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম। এরপরে দুপুর তিনটা নাগাদ একটু ঘুমিয়ে পড়লাম। চারটার সময় ঘুম থেকে উঠে, আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
বিকেলে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। ওই দিন গিয়েছিলাম কিন্তু আমি আমার ঔষধ আনতে ভুলে গিয়েছি। তাই আবার বিকেলে বাজারে গিয়ে, আমার ওষুধ নিয়ে আসলাম। এবং ওখান থেকে আসার সময়, পরোটা এবং গরুর কলিজা ভুনা নিয়ে এসেছিলাম।
সন্ধ্যায় ছেলেদেরকে পরোটা এবং গরুর কলিজা ভুনা খেতে দিয়েছিলেন। এরপর আমি ওদেরকে পড়াতে বসলাম। পড়ানো শেষ হলে ওদেরকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলাম। নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করতে করতে, প্রায় রাত বারোটা বেজে গেল।
এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল। জানিনা কতটুকু ভালো কাজ করতে পেরেছি। কিন্তু একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা বেশ ভালো বুঝতে পারছি। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
meraindia
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এখন আমাদের দেশে সব জাগাতে বৃষ্টি হচ্ছে আর এই বৃষ্টির কারণে, আমরা যারা গ্রামে থাকি তাদের বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সকালে ঘুম থেকে ওঠে যা নামাজ পড়েছেন ,
এরপরে রান্না শেষ করেছেন, আপনার ছোট ছেলেকে খাইয়ে দিয়েছেন নিজে খাবার খেয়ে নিলেন। এরপরে কমিউনিটির কাজ করলেন বিকেলে বাহিরে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে এসে ছেলেদেরকে খাইয়ে পড়তে বসিয়েছেন, এর পরে তাদের ঘুম পাড়িয়ে নিজে কাজে লেগে পড়েছেন । আপনার আজকের দিনের কার্যকর শুনে খুব ভালো লেগেছে এবং আপনিও খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনার দিনটি শুভ হোক সেই প্রার্থনা করি ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সাবধানে থাকুন।
আমি প্রায় দিনই রান্না করি আর ভাবি যে এই খাওয়া জিনিসটা না থাকলে কত ভালো হতো।রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবি কি রাননা করবো।আমি যদি একা বাসায় থাকি তাহলে আমি অবশ্য রান্না ঘরে ঢুকি না।বিরক্তকর একটা কাজ।
যাই হোক আপনি আপানর সারা দিনের কার্যাবলী খুব চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে।এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
TEAM 1
Congratulations! This comment has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার আমার পোস্ট পরিদর্শন করে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
আপনার পোস্টে আজ ও অনেক প্রকৃতির ছবি দেখে মন জুড়িয়ে গেল। আপনি আজ অনেক রান্না করেছেন কাঠের উনুনে। কাঠের রান্নার স্বাদ খুব উত্তম। কিন্তু কাঠের উনুনের ধোঁয়া খুব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ধোঁয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলবেন। আমার মা কয়লার উনানে রান্না করেছে আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে আর তার কুফল ভোগ করছে এখন। আপনাদের মঙ্গল কামনা করি।
আপনি খুব সুন্দর একটি দিন অতিক্রম করেছে যা দেখে অনেক ভালো লাগলো আর বেশি ভালো লেগেছে আমাদের সাথে আপনার দিনের মূহুর্ত গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য।আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
লাকড়ির চুলায় রান্না করা খাবারের স্বাদ আলাদা হয়।যে কোন ধরনের খাবার ই খেতে খুব ভালো লাগে।ডিমের সাথে শুকনো মরিচ ভাজা।খেতে দারুন লেগেছিল মনে হচ্ছে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।