Better Life With Steem || The Diary game || 06 October 2024 ||

in Incredible Indialast month
Picsart_24-10-07_19-23-22-479.jpg

সবকিছুর জন্যই অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। কেননা আমরা যেমন আছি যেভাবে আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড় কথা, কিন্তু আজকাল কিছু মানুষকে ভালো আছেন এটা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে তারা মোটেও ভালো নেই। কিন্তু আমি মনে করি যতটুকু ভালো আছি, অবশ্যই আমাদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তার ওপরে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। হয়তোবা আমরা এর চাইতে আরো খারাপ হতে পারতাম।

চারপাশের পরিবেশ সবকিছু মানিয়ে নিতে হয়তো বা অনেকটা দিন সময় লেগে যাবে। কিন্তু মানিয়ে নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক, আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। তারপর নামাজ পড়ে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে ভেরিফিকেশন করে নিয়েছিলাম। তারপর রান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম।

IMG_20241006_185855_771.jpg
IMG_20241006_185855_784.jpg

ভাত রান্না করার পর আমি সোজা চলে গেলাম বাজারে। ওখানে গিয়ে বাজার করে নিয়ে আসলাম, তার সাথে কলা নিয়ে আসলাম। এরপর ছেলেদেরকে কলা খেতে দিয়ে আমি তরকারি রান্না করার জন্য সোজা চলে গেলাম রান্না ঘরে। রান্না শেষ করতেই আমার বারোটা বেজে গেল, ওখান থেকে এসে ঘর মুছে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে গোসল করালাম, আমি নিজে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।

IMG_20241006_185855_401.jpg

নামাজ পড়ার পর পরিবারের সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ওর বাবা কাজে বেরিয়ে গেল, আমরা একটু শুয়ে পড়লাম, কিন্তু ঘুম আসছিল না প্রচন্ড গরম। গরমের মধ্যে ঘুমানো একেবারেই অসম্ভব। তারপরেও কিছু করার নেই, কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর উঠে নিজের কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিলাম।

IMG_20241006_185855_165.jpg

একটু পরেই আসরের আযান দিল, তারপর নামাজ পড়ে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে নিয়ে বাহিরে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম, বাসায় এসে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করতেই মাগরিবের আজান দিল। নামাজ পড়ে ছেলেদের কে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া নিয়ে অনেক বেশি টেনশন বর্তমান সময়ে, কেননা নতুন জায়গায় ওদেরকে ভর্তি করানোর সবকিছু নিয়ে অনেকে ঝামেলার মধ্যেই আছি।

IMG_20241006_185854_887.jpg

সবকিছু সামলে নিতে হবে এটাই মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না, আশা করি আল্লাহ তায়ালা খুব দ্রুত সবকিছু ঠিক করে দেবেন। ওদের পড়া শেষ হলে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম।

IMG_20241006_185854_876.jpg

এরপর ওদেরকে ঘুমাতে বললাম, কিন্তু ওরা মোবাইলে গেমস খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। যার কারণে আমি আর কিছুই করতে পারলাম না। আমার ঘরের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিলাম, ওরা যখন ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন একটু অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। তারপর নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...
 last month 

পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো এবং জানতে পারলাম আপনি আপনার গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছেন নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ কিছুটা মানিয়ে নিতে অবশ্যই সবাই লাগবে।

আমি যখন প্রথম ঢাকায় এসেছিলাম আমার খুবই খারাপ লাগতো সময়ের সাথে সাথে নিজেকে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছি।

আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা দিনগুলো ভালো কাটুক সেই প্রার্থনা করছি

 last month 

আপনি সংসারের কাজের পাশাপাশি কমিউনিটিতে খুব ভালো সময় দিয়ে থাকেন সেটা আমরা অনেকেই জানি তবে এর পাশাপাশি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 80986.05
ETH 3142.29
USDT 1.00
SBD 2.74