"Better Life With Steem || The Diary game || 05 December "
![]() |
---|
আজকে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। ফজরের নামাজ আদায় করতে পারিনি। ঘুম থেকে উঠে দেখি চারপাশ আলো হয়ে গেছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ কুয়াশায় ঘিরে আছে। মনে হচ্ছে একটু পরেই বৃষ্টি হবে। সূর্য মামার দেখা আজকে প্রায় তিন দিন পাইনি। যাদের শিশু বাচ্চা আছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।
আমি উঠে দেখি আমার দুই ছেলে কেক খাচ্ছে বসে বসে। ওদেরকে খাওয়া দেখে নিজের কাছেও ভালো লাগছে। কেননা আমার ছোট ছেলে অনেক বেশি অসুস্থ থাকার কারণে, খাওয়া-দাওয়া রুচি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকমতো খাবার খায় না, খাবার খাওয়াতে গেলে অনেক জোর করা লাগে। কিন্তু আজকে দেখলাম নিজে ভাইয়ের সাথে বসে বসে কেক খাচ্ছে দুধ দিয়ে। আমার মা ওদেরকে দুধ বানিয়ে দিয়েছে।
![]() |
---|
আমি ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা খেয়েছি, প্রচন্ড মাথা ব্যথা তার সাথে দাঁতের ব্যথা। এত খারাপ লাগতেছে যেটা হয়তোবা বলে বোঝাতে পারবো না। দাঁতের ব্যাথা খুবই জঘন্য একটা ব্যথা। যার হয় একমাত্র সেই বুঝতে পারে। মা বলছে লবণ দিয়ে গরম পানি করে কুলি করার জন্য।
আমি গরম পানি করে নিয়েছি এবং কুলি করে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলাম। কথা বলতে পারতেছি না এমন অবস্থা। যাইহোক অবশেষে মা বলল আজকের রান্নাটা আমাকে করার জন্য। কি আর করব কারণ মায়ের গায়েও প্রচন্ড জ্বর। রান্না করার জন্য সব কিছু গুছিয়ে রান্নাঘরে চলে আসলাম। আর মাকে বললাম আজকে একটু ভর্তা তৈরি করব। শীতের সময় ভর্তা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কেননা এই সময় ধনিয়া পাতা পাওয়া যায়। আর ভর্তার মধ্যে ধনিয়া পাতা দিলে অনেক বেশি মজা লাগে।
রান্না করতে করতে আমার প্রায় বারোটা বেজে গেল। মা সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে এসেছে। এদিকে আমার বড় ছেলে ডাকাডাকি করছিল ও ভাত খাবে। তাই ওদের দুজনকে একসাথে দুপুরের ভাত দিয়ে দিয়েছি। দুই ভাই বসে কাটুন দেখছে আর দুপুরের ভাত খাচ্ছে।
![]() |
---|
আমি গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর দুপুরের ভাত খেয়ে নিলাম, দুপুরের ভাত খাওয়ার পর ভেবেছিলাম একটু ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু দাঁতের ব্যথা প্রচণ্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘুমাতে পারছি না। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম এরপর কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম।
এরপরেই আমার খালাতো বোন কল করলো। ওর ননদের ছেলে হয়েছে ওর ননদের ছেলেকে দেখতে যেতে হবে। নিজের শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ, তারপরেও ওর কথাটা রাখতে হল। তাড়াতাড়ি করে ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হসপিটাল চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে ওর সাথে দেখা করলাম। এবং ওর ননদের ছেলেকে দেখে আসলাম, বাড়ি আসার একটু পরেই।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আসরের আযান দিয়ে দিল। আসরের নামাজ পড়ে নিয়ে আমি ছেলেদের জন্য একটু চা করলাম। ওরা চা দিয়ে বিস্কুট খেল। খাওয়ার পর আমি বড় ছেলেকে একটু পড়তে বসলাম। কারণ ওর কিছু পড়া এখনো বাকি রয়ে গেছে। সেগুলো শেষ করতে হবে। যদিও মাদ্রাসা এখন বন্ধ, কিন্তু পড়তে হবে কারণ সামনে আবার পরীক্ষা।
ওর হাতের লেখা শেষ করতে করতে প্রায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। নামাজ পড়ে আমি কিছুক্ষণ বসে থাকলাম চুপচাপ। কেননা প্রচন্ড দাঁতের ব্যথার কারণে মাথা ব্যথাটা অনেক বেড়ে গেছে। কি করব বুঝতে পারছি না। মা বারবার বলছিল ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য। মায়ের উপর বিরক্ত হয়ে, ডাক্তারের কাছে চলে গেলাম। খুব খারাপ লাগছিল। মা আমার উপর রেগে গিয়েছি, সকাল থেকে অনেক বার বলেছে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি যাইনি তাই সন্ধ্যার পরে গিয়েছি।
![]() |
---|
ডাক্তার ঔষধ দিয়েছে বাড়ি এসে ওষুধ খেয়েছি, কিন্তু দাঁতের ব্যথা কমার কোন উপায় আমি দেখতে পাচ্ছি না। বরঞ্চ মাথা ব্যাথা টা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এরপর আমি কিছু পোস্ট ভেরিফিকেশন করলাম। ভেরিফিকেশন করার পর আবার গরম পানি খেয়েছিলাম, কারণ গলা ব্যথাও করছিল। রাতের খাবার ছেলেদেরকে দিয়ে দিয়েছি। তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে ঘুমিয়ে পড়েছি। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। যদিও খুব কষ্টে পার করেছি, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ।
meraindia |
---|
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি দাঁতের ব্যথায় অত্যাধিক কাতর। সেইসঙ্গে মাথা ব্যথা। যার কারণে আপনার শরীর বেশ খারাপ হয়ে গেছে।এ কারণে আপনি ঠিকমতো কোন কাজও করতে পারছেন না। দাঁতের ব্যথাটা আসলে এমনই হয়।এত কষ্টকর ব্যথা আসলে খুব কমই আছে।যার দাঁতের ব্যথা সে কখনোই ব্যথা বুঝতে পারবে না।তারপরও আপনাকে রান্না করতে হয়েছে ,বাচ্চাদের জন্য আপনি সময় বের করে করছেন।
আপনি দাঁতের ব্যথায় ডাক্তারের কাছ থেকে সঠিক চিকিৎসা নিন। কারণ নইলে এই যন্ত্রণা সহজে ছাড়ে না। আর নিজের শরীরের প্রতিও যত্ন নিন ।আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।ভালো থাকবেন।
আপনার ছোট সন্তান সুস্থ আছে এট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনি অসুস্থ আপনি নিজের যত্ন নিবেন। ঠিক বলেছেন গত কয়েকদিন টানা রোদে দেখা মিলছে না। সারাদিন এর কর্মব্যস্ততা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি আবহাওয়া টা এরকম থমকে থাকার কারণে একটু খুব ভালো লাগছে না। আপনার ছেলে অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিল তবে এখন সুস্থ বোধ করছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এখন আবার আপনার দাঁতে ব্যথা করছে। এই দাঁতে ব্যথার কারণে গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথা হয়েছে। আসলে দাঁতে ব্যথা কি একটা জিনিস এটা আমি জানি কারণ আমারও হয়েছিল একবার। এই দাঁতে ব্যথার কারণে মনে হয় নিজের শরীরটা নিজের ছিড়ে ফেলি এমন অবস্থা হয়ে যায়।
আপনি অসুস্থ থাকার পরও আপনার খালাতো বোনের ননদের ছেলে হয়েছে হসপিটালে তার কথা রাখার জন্য সে হসপিটালে গেলেন। আপনার জন্য দোয়া রইল আপনার দাঁতে ব্যথার জন্য অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আজকে ডেইরি গেমটা আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনি ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন আপনার দুই ছেলে কেক খাচ্ছে।আপনার ছেলেটা এখন সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কিছুই ভালো লাগে না।
আপনার দাতে ব্যাথা আর এর কারনে মাথা ব্যাথা।তবে যেকোনো অসুখকেই খুব বেশি বাড়তে দিতে হয় না।শুরু থেকেই চিকিৎসা করলে কস্ট কম হয়।এরপরও আপনি চিকিৎসক এর কাছে গিয়েছেন শুনে খুশি হলাম।
আপনার খালাতো বোনের ননদের ছেলেটা কিউট হয়েছে মাশাল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
Congratulations! This post has been upvoted through Curation Team#2. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.
Curated by : @fombae
Thank you so much sir 💕
আমাদের সাথে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আপনার দিনের কার্যক্রম এবং আনন্দের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। আপনি আজ ঘুম থেকে উঠেই দেখেছেন আপনার ছেলেরা খাবার খাচ্ছে নিজেদের মতো করে,একজন মায়ের কাছে এটা অনেক আনন্দের। এরপর খালাতো বোনের ননদের ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে নিজের শরীরের ব্যাপারে একটু কেয়ার নিলেন,কমিউনিটির কিছু কাজ সারলেন।সব মিলিয়ে ভালো খারাপের মধ্যে আপনার দিনটি কেটেছে মনে হলো। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপু দাঁতের ব্যথা যে কি যন্ত্রনা এটা যার হয় একমাত্র ঐ ব্যক্তি বুঝতে পারে, যদিও বেশ কিছুদিন ধরে দাঁত নিয়ে ভোগতে হচ্ছে না আমাকে কিন্তুু ,,এর আগে আমি দাঁতের যন্ত্রণায় অনেক ভুগেছি ডাক্তার দেখানোর পরেও।
আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা যদি হাত দিয়ে কিছু খায়, এটা দেখলে মায়েদের যে কি একটা শান্তি লাগে এটা বলে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাছাড়া আপনার ছোট ছেলে অসুস্থ তাই বড় ভাইয়ের সাথে হাত দিয়ে কেক খাচ্ছে এটা দেখলে ভালো লাগারই কথা।
আপনি নিজেই একজন অসুস্থ রোগী হয়ে পড়েছেন দাঁতে ব্যাথার কারণে, কিন্তুু তবু ও খালাতো বোনের কথা রাখার জন্য আপনাকে তার ননদের ছেলে হয়েছে তাই দেখতে হসপিটালে যেতে হচ্ছে, মাঝে মাঝে এমনটাই হয় নিজের শরীর যতটাই খারাপ থাকুক না কেন, কিন্তুু প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানো বা তাদের কথা রাখার জন্য আমাদের অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও সে কাজটাই করা লাগে। যাইহোক এরপরে আপনি তার বাচ্চাকে দেখে আসলেন ,,,
যাই হোক সব মিলিয়ে পোস্টে বেশ ভালো লেগেছে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং সাবধানে থাকুন।