Better Life With Steem || The Diary game || 03 June 2024 ||

প্রথমত ঘুম থেকে উঠে চারপাশ অন্ধকার। তাই পরিবেশটা কিছুক্ষণ উপভোগ করলাম। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম চুপচাপ, বেশ ভালই লাগছিল।চারপাশের পরিবেশের নীরবতায় শুধুমাত্র পাখির ডাক ছাড়া, আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না। তারপরে তাড়াতাড়ি করে এসে অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম।

নামাজ পড়া শেষ হয়ে গেলে কিছুক্ষণ নামাজের বিছানায় বসে রইলাম। এরপরে মা বলল আজকে নাস্তার জন্য মিষ্টি আলু সিদ্ধ করবে। মিষ্টি আলু দিয়ে মুড়ি নারিকেল চিনি এবং দুধের গুড়া দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খাবে। যেটা আমি নিজেও বেশ পছন্দ করি। তাই মায়ের কথা অনুযায়ী প্রথমত রান্না করে গিয়ে, মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

আলু সিদ্ধ করা হয়ে গেলে, মা নারিকেল ভেঙে রেখেছিল। আমি ওখান থেকে নারিকেল নিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর মা'কে সবকিছু রেডি করে দিয়েছিলাম। মা সুন্দরভাবে মিষ্টি আলু দিয়ে মুড়ি মাখা তৈরি করে নিয়েছিল, খেতে বেশ ভালই লেগেছে।

সকালের নাস্তা শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি না করলে ভালো লাগে না। তাই বাইরে গিয়েছিলাম হাঁটাহাঁটি করার জন্য, অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর বাড়িতে আসার সময়, রাস্তার পাশে এই বন্য ফুল গুলো দেখতে পেলাম। ওখান থেকে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম। এর পরে ঘরে এসে দেখলাম ছেলের জ্বরের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তাই চিন্তা করলাম একটু পরেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।

যেহেতু একটু পরেই ডাক্তারের কাছে যাবো। তাই রান্না করার জন্য মা'কে সবকিছু রেডি করে দিয়েছিলাম। এরপরে আমি ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে গেলাম। ডাক্তার জ্বর মেপে দেখল 102 ডিগ্রী, সাপোজিটার দিয়েছে, তার সাথে ঔষধ। বাড়ি আসার সময় ছেলের জন্য সিঙ্গারা নিয়েছিলাম, সাথে নিয়েছিলাম ঝালমুড়ি এবং কোমল পানীয় ডিংকু।

বাড়িতে এসে গরম গরম সিঙ্গারা ছেলেকে খেতে দিয়েছিলাম। ওর সিঙ্গারা খাওয়া হয়ে গেলে প্রথমত ওকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি মা সবাই মিলে ঝাল মুড়ি খেয়ে নিলাম। ঝালমুড়ি খেতে বেশ ভালোই লেগেছে। এরপরে মা যখন সবকিছু রান্না করা শেষ করল। আমি এক এক করে ঘরে নিয়ে আসলাম এদিকে যোহরের আজান দিয়ে দিয়েছে।

তাড়াতাড়ি করে গোসল করে ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খাওয়া অবস্থায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেল। বুঝতে আর বাকি রইল না কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি শুরু হবে।

তাড়াতাড়ি বাহির থেকে সমস্ত জামা কাপড় ঘরে নিয়ে আসলাম, এবং মায়ের আচার আমসত্ত্ব সবকিছু ঘরে নিয়ে আসার, কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেক জোরে বৃষ্টি শুরু হল।এই গরমের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশটা একেবারেই শান্ত হয়ে গেল।

দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা বৃষ্টি হলো, এরপরে আমি তাড়াতাড়ি করে আসরের নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। কেননা নামাজের সময় অল্প পরিমানে ছিল। এরপরে কিছু পোস্টে কমেন্ট করে ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম।এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম।

মাগরিবের নামাজের পর ছেলেকে নিয়ে একটু শুয়ে থাকলাম। কেননা ওর শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই। গলা কিছুটা পরিষ্কার হলেও জ্বরের পরিমাণটা এখনো কমেনি। আমি ফ্রিজ থেকে কোমল পানীয় বের করে খেয়ে নিলাম। ছেলেকে দিলাম না কেননা ওর গলার অবস্থা ভালো না।

এরপরে এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। দুই তিনটা কমেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।