Better Life With Steem || The Diary game || "03 February 2024"
আসলে আমাদের অনিশ্চিত জীবন নিয়ে, আমরা অনেক বেশি অহংকার করে থাকি। কিন্তু আমাদের এই জীবনের আদৌও কোন মূল্য আছে কিনা আমার জানা নেই। কেননা প্রত্যেকটা সেকেন্ড মরণ আমাদেরকে আহ্বান জানায়। আমরা একটু একটু করে মরনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
কালকে সকালে আমাদের বাড়ির একজন কাকা, তার সাথে অনেকক্ষণ বসে গল্প করেছিলাম মজা করেছিলাম। বুঝতেও পারেনি রাতের বেলায়, সেই মানুষটা আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে। আর এখান থেকেই বোঝা যায় মরণ আমাদের কত নিকটে।
প্রতিদিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। এরপর বসে কিছুক্ষণ জিকির করলাম। আবার গিয়ে শুয়ে পড়লাম। সকাল আটটার সময় উঠলাম। শরীরের অবস্থা আগের চাইতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো।
উঠে দেখি মা লং এলাচ দিয়ে চা তৈরি করেছে। সেখান থেকে এক কাপ চা খেয়ে নিলাম একটা বিস্কুট দিয়ে। চা খেয়ে কিছুক্ষণ রোদে গিয়ে বসে রইলাম। দেখলাম ফুল গাছে খুব সুন্দর ফুল ফুটে আছে। ওখান থেকে একটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম। এবং রোদে বসে সবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম।
ঘরে আসার পর মা আমাদের ঘরের একটা মুরগি জবাই দিয়েছে। আমাকে বলেছে সেটা রান্না করার জন্য। কারণ আমার ফুফুরা বর্তমানে আমাদের ঘরে আছে। তাই আমি তাড়াতাড়ি রান্নার কাজ সম্পন্ন করলাম।
রান্নার কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি গিয়ে গোসল করে আসলাম। গোসল করে এসে ফুফুদের সাথে কিছুক্ষণ তফসি পড়লাম। পড়া শেষ করে তাদেরকে দুপুরের খাবার দিলাম। সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ল।
আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। এরপরে আমি চুপচাপ কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। বারবার প্রিয় মানুষ গুলোর কথা মনে পড়ছিল। তবে সবাইকেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে। এটা ভেবেই আবার নিশ্চুপ হয়ে গেলাম।
ভাইয়াদের ঘরের কাজ চলছে ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম।
আসরের নামাজ পড়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। ওখানে গিয়ে ঘরের জন্য কিছু বাজার কিনে নিয়ে এসেছিলাম। এবং তার সাথে ভাপা পিঠা তৈরি করা হচ্ছে দেখলাম। ওখান থেকে ১০ টা পিঠা নিয়েছি। একটা পিঠা আমার কাছ থেকে ১০ টাকা করে রেখেছে।
পিঠা গুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। এসে দেখলাম ফুফুরা বসে আছেন, এরপর কিছুক্ষন তাদের সাথে কথা বলে মাগরিবের নামাজ আজান হয়ে গেলে, নামাজ পড়ে নিয়েছি। সন্ধ্যা চা বানিয়ে ফুফুদের কে ভাপা পিঠা খেতে দিয়েছি। ভাপা পিঠা খাওয়া হয়ে গেলে, আমি ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম।
এশার নামাজ পড়ে সবাইকে রাতের খাবার দেয়া হয়ে গেলে, আমি বসে ভেরিফিকেশন করছিলাম। এর পরেই আমি আবার হ্যাংআউটে জয়েন হয়েছি। হ্যাংআউটের মধ্যে সবাই অনেক বেশি আনন্দ করছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমি শুনতে পেলাম, আমাদের বাড়ির পূর্ব পাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
তাড়াতাড়ি করে ঘর থেকে বের হলাম। কোন দিক থেকে আওয়াজ আসছে সেটা বোঝার চেষ্টা করলাম। তারপর আমাদের বাড়ির আরো আমার ছোট ভাই, ওরাও আমার কাছে আসলো। এবং বুঝতে পারলাম কোন দিক থেকে আওয়াজ আসছে। তারপর আমরা সবাই মিলে ওই বাড়িতে গেলাম। এবং গিয়ে জানতে পারলাম ওই বাড়ির যে কাকা সকাল বেলা, আমাদের সাথে কথা বলেছিল। সেই কাকা আর এই পৃথিবীতে নেই।
খুব খারাপ লাগা কাজ করছিল। তখন ওই মানুষের জন্য কেমন যেন লাগছিল। আসলে এভাবেই হয়তোবা মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। তাই অনিশ্চিত জীবন নিয়ে কখনো অহংকার করা ঠিক না। কখন আপনি আমি চলে যাব সেটা আমরা বলতেও পারবো না। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। আমাদের এই অনুষ্ঠিত জীবনের কোন মূল্য নেই। আমরা এই আছি আবার এই নেই। তারপরেও এই অনিশ্চিত জীবন নিয়ে আমাদের কত রকমের অহংকার । আপনার পোষ্টের ভাবা পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিকই আমাদের এই অনিশ্চিত জীবন নিয়ে আমরা অনেক অহংকার করি। কিন্তু কখন এখান থেকে চলে যাব। সেটা ভাবতেও পারবো না তাই যেটুকু সময় পাই। অবশ্যই উপভোগ করা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
অন্যান্য পিঠা আমার খেতে তেমন একটা ইচ্ছে করে না তবে ভাপা পিঠা আমার খুব প্রিয়। একটা কথা ঠিকই বলেছেন, আমাদের জীবনের কোনো মানে নাই। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শীতের সময় গরম গরম ধোঁয়া উড়া ভাপা পিঠা বেশ ভালই লাগে। যেটা আপনারা একদম প্রিয়, ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
যে কখন মারা যাব তার কোন ঠিক নেই, কার যে কখন সময় শেষ হয়ে যাবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। গতকালকে খালুকে নিয়ে লিখেছিলাম।রাতে খবর আসলো সে মারা গেছে। মনটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। চারপাশ একের পর এক মৃত্যুর সংবাদ পাচ্ছি।
আপনার পোস্টে ভাপা পিঠার ছবি দেখে লোভ লাগতেছে। এ বছর এই ভাপা পিঠা তেমন একটা খাওয়া হয়নি।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।নিজের প্রতি যত্ন নিবেন। আর ভালো থাকবেন সব সময় শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।
আমাদের জীবনের পরবর্তী সেকেন্ডের ই কোনো ভরসা নেই। কিন্তু তারপরও মানুষের জীবনে রেষা রেষারেষির শেষ নেই। সৃষ্টিকর্তা উনাকে বেহেশত নসিব করুন সেই দোয়া করি।
বাড়িতে আত্নীয় থাকলে রান্না বান্না একদম সময় মতো করতে হয়।
সন্ধ্যা নাস্তায়,ভাপা পিঠা খেতে ভালোই লাগে।
আমাদের জীবনটা ক্ষণিকের এই ক্ষণিকের জীবন নিয়ে মানুষ এত বড়াই করে। যেটা দেখে অনেক সময় অবাক লাগে। এত রেষারেষি করে কি হবে! একটা সময় তো চলে যেতেই হবে! ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
লং এলাচ দিয়ে চা তৈরি করে খেলে বেশ ভালই লাগে।। আর হ্যাঁ এই পৃথিবীতে অহংকার করে কোন মানুষ কখনো বড় হতে পারে না। আর মৃত্যু কতটা কাছে এটা আমরা আশেপাশের তাকালেই বুঝতে পারি।।। যে মানুষটা সকালে আপনাদের সাথে মজা করলো রাতেই সে চলে গেল না ফেরার দেশে।। এই মৃত্যুগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়।।
আমার কাছে তো মনে হয় মৃত্যু যে কোন মুহূর্তে হতে পারে। এক সেকেন্ডের ভরসা নেই আমাদের, আর তাই অবশ্যই আল্লাহর আনুগত্য হয়ে চলা উচিত। তাতে আমরা অন্ততপক্ষে সৃষ্টিকর্তার খুব কাছাকাছি থাকতে পারবো। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।