জীবনের একটা মুহূর্ত পার হয়ে যাওয়ার পর আমরা সেই মুহূর্তটাকে উপলব্ধি করি। আসলে সময় চলে যাওয়ার পর আমরা তার মূল্য বুঝতে পারি, কিন্তু সময়টা যখন আমাদের জীবনে অব্যাহত থাকে। তখন আমরা তার মূল্য দিতে পারি না এটাই বাস্তবতা। আমার ক্ষেত্রে যেমন হয় ঠিক তেমনি আমি মনে করি সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তার পরেও সবার কাছেই বলবো সময়ের মূল্য দিতে শিখুন জীবন সুন্দর হয়ে যাবে।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে, শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। এরপরে ছেলেদেরকে রাতে রান্না করা খাবার খাইয়ে সোজা মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মাদ্রাসায় আসলে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হচ্ছে নতুন করে। যার কারণে একটু ঝামেলা হচ্ছে, তারপরে ওদেরকে মাদ্রাসায় রেখে ওদেরকে একটু খাতা পত্র লাগবে, সেগুলো কিনে দিয়ে আমি সোজা বাসায় চলে আসলাম।
তাড়াতাড়ি করে রান্নাবান্না শেষ করতে হবে। কেননা ওদের জন্য আবার খাবার নিয়ে যেতে হবে। তাই ঊ রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। তবে গ্যাস না থাকার কারণে অনেক বেশি খারাপ লাগছিল, একটু পরে দেখলাম গ্যাস চলে আসলো। তাই তাড়াতাড়ি করে রান্নাবান্না শেষ করে নিলাম। এরপর নিজে গোসল করে নিলাম তারপর ওদেরকে খাওয়ানোর জন্য খাবার নিয়ে, সোজা মাদ্রাসায় চলে গেলাম।
ওদেরকে খাবার-দাবার খাইয়ে আমি আমার বাসায় চলে আসলাম। এসে দেখলাম সাহেব উঠে গিয়েছে অনেক আগেই, খাবার খেয়ে ঘর মুছে বের হয়ে গেছে। আসলে ঘর মোছার কাজ এই কয়েকদিন ও নিজেই করছে, কেননা আমার প্রচন্ড জ্বর তার উপরে কাশি। তাই আমি করতে পারছি না। ঘর মোছার কাজ দেখে আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম, কেননা এই ঠান্ডার কাজটা আমি বর্তমান সময়ে করতে পারিনা।
এরপর নিজে কিছুক্ষণ প্যানের নিচে বসে শরীরের ঘাম শুকিয়ে নিলাম, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে আমার কাশির পরিমাণটা একেবারেই কমছে না। ডাক্তার বলেছে যেন ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে নেই। তা নাহলে আমার সমস্যা হবে। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার জন্য শুয়ে পড়লাম। শরীরটা এত বেশি ক্লান্ত লাগছিল কখন ঘুমিয়ে পড়ছিলাম বুঝতেই পারিনি।
আমার ঘুম ভেঙে গেল আসরের নামাজের আযানের ধ্বনি শুনে। তাড়াতাড়ি করে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম তারপর ওদেরকে নিয়ে আসলাম। আজকে বড় ছেলের ছুটি হবে রাতে, তাই আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে আসলাম এবং নদীর পাড়ে ওকে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। ওর শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই। তাই ওর মন ভালো করার জন্য কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। ওর জন্য ঝাল মুড়ি কিনলাম, ও নদীর পাড়ে বসে সেটা খেলো এবং সূর্যাস্ত দেখার মুহূর্ত উপভোগ করলাম।
এরপর বাসায় এসে নিজের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে, সামান্য পরিমাণে একটু রান্না করে নিলাম। একটু পরে দেখলাম বড় ছেলে চলে এসেছে এরপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি নিজেও শুয়ে পড়েছিলাম। আসলে কাশির ঔষধ খাওয়ার কারণে শরীর আরো বেশি ক্লান্ত লাগে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আসলে সময়ের মূল্য প্রত্যেকটা মানুষের দিতে হবে এবং যে সময়ের মূল্য দিতে জানে তার জীবন অনেক সুন্দর হয় যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেদের নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন মাদ্রাসায় নতুন নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে আসলে যখন মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে তখন তাদের গার্জিয়ান সেখানে থাকে এবং তারা সবাই একটু ঝামেলার মধ্য দিয়ে যায় যাই হোক আপনি আপনার ছেলেদেরকে কিছু খাতা কিনে দিয়ে আবার বাসায় চলে গিয়েছেন।