Better Life With Steem || The Diary game || 01 January 2024

in Incredible India8 months ago
Picsart_24-01-02_19-21-28-680.jpg

ভোর ৫ঃ০৮ মিনিটে ঘুম ভেঙে গেল ঘুম থেকে উঠেই ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। ভাবলাম আর একটু ঘুমিয়ে পড়বো, কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি শশুরের ইনজেকশন দেয়ার সময় হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি করে উনাকে ঘুম থেকে তুলে নামাজ পড়ালাম এরপর ইনজেকশন দিলাম। ইনজেকশন দেয়ার পর উনাকে চা এবং বিস্কিট দিয়েছি। কেননা কিছুক্ষণ পরেই উনাকে ব্যথার ওষুধ খাওয়াতে হবে। আমি চা বানাতে বানাতে আমার শাশুড়ি উনার জন্য ওষুধ রেডি করতে লাগলো। ঔষধ খাওয়ানোর পর আমি বললাম, একটু ঘুমিয়ে থাকুন কেননা আমার শরীরটা এখনো ভালো হয়নি।

IMG_20240101_192031_187.jpg
IMG_20240101_192031_208.jpg

এরপর আমি এক এক করে নিজের ঘরের যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করলাম। সম্পন্ন করতে করতে আমার প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেল। ঘরে এসে ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে প্রাইভেটে পাঠিয়ে দিলাম। এদিকে আমি নাস্তা বানানোর জন্য সব কিছু রেডি করে নিলাম। এবং আমার ছোট ননদ আমাকে রুটি করে দিয়েছিল। আমি বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করে সবাইকে নাস্তা দিলাম। এবং ছেলে প্রাইভেট থেকে আসার পর, ওকে নাস্তা খাইয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম।

IMG_20240101_192023_932.jpg
IMG_20240101_192023_643.jpg

মাদ্রাসায় পাঠানোর পর আমি সবজি বাগানে গিয়েছিলাম। ওখানে পানি দেয়ার জন্য। পানি দিয়ে এসে আমি রান্নাবান্নার কাজ সম্পন্ন করলাম। রান্নাবান্নার কাজ সম্পন্ন করতে করতে আমার প্রায় যোহরের আযান দিয়ে দিয়েছে। এসে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। তারপর ছেলে আসার পর ওকে ভাত খাইয়া, আবার মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম। নিজেও ভাত খেয়ে নিলাম, এদিকে আজকে আমার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেজন্য নিজের রিপোর্ট লেখা শুরু করলাম, লিখতে লিখতে প্রায় তিনটা বেজে গেল।

IMG_20240101_192024_259.jpg
IMG_20240101_192024_166.jpg
IMG_20240101_192023_935.jpg

যাইহোক সবকিছু রেডি করে নিয়েছি রেডি করে নেয়া হয়ে গেলে পোস্ট করেছি। এরপর আমি কিছু কমেন্ট করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি শশুরের ইনজেকশন দিতে হবে, তাড়াতাড়ি করে শাশুড়িকে বললাম উনি উঠে আমাকে সবকিছু রেডি করে দিল। আমি ইনজেকশন দিয়ে শ্বশুরের শরীর মুছে দিয়েছি। কেননা ওনার অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে, অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে যার কারণে আরো সমস্যা হচ্ছে।

IMG_20240101_192024_003.jpg

এরপর একটু ঘুমিয়ে পড়ল, আমি এসে এই ঘরের বাকি কাজ সম্পূর্ণ করলাম। তাকিয়ে দেখি আমার বড় ননদ চলে এসেছে। আসার পর বলতেছে হাঁস জবাই করার জন্য। জবাই করে হাঁস পরিষ্কার করতে করতে প্রায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। এরপর সব কিছু রেডি করে নামাজ পড়ে এসে হাঁসের মাংস রান্না করলাম। রান্না করার পর সবাই মিলে বসে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছে। এরপর আমি ভেরিফিকেশন শুরু করেছি, করতে করতে প্রায় দশটা বেজে গেল।

এদিকে শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত, কেননা অনেকদিন রাতে ঘুম হয় না। বিভিন্ন ধরনের টেনশনে ভালো লাগেনা, চোখে প্রচুর পরিমাণে ঘুম থাকার কারণে আমি ভেরিফিকেশন শেষ করে, কিছুক্ষণ কমেন্ট করলাম এরপর ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 8 months ago 

আপনি সারাদিনের ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন। সকাল ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করেন তারপর ভাবলেন একটু ঘুমাবেন কিন্তু সেটা হলো না। তারপর শশুরকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নামাজ পড়ালেন তারপর ইনজেকশন দিলেন দেওয়ার পর সকালে নাস্তা খেতে দিলেন। আপনার বড় ননদ আসার পর হাঁস জবাই দিতে বলল তারপর দুজনে কেটে কুটে সবকিছু রান্না করে নিলে। শীতের দিনের মাংস খেতে খুব স্বাদ লাগে। থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনে ডেইরি গেম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

 8 months ago 

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে। ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠালেন। তারপর শশুরকে ইনজেকশন দিলেন। লাগা মুছে দিলেন। মাত্র অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক খাচ্ছে তাই উনি প্রচণ্ড ঘামছেন। এদিকে দুপুরে রান্না সময় হয়ে গিয়েছে আপনার বড় ননদ এসে বলল হাঁসের মাংস রান্না করতে
তাই আপনার সবকিছু রেডি করে হাঁসের মাংস রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার একটু ফাঁকে মুড়ি মাখাও খেলেন। আমার মনে হয় আপনি চানাচুর খুব পছন্দ করেন। যেহেতু বাসায় অসুস্থ রোগী। সবই ভাবি আপনি একটু ব্যস্ততম দিন কাটাচ্ছেন। তারপর আপনি অনেক ধৈর্যশীল একজন মেয়ে। সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ ভালো মতো সামলাচ্ছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। নতুন বছরের শুভেচ্ছা হেপি নিউ ইয়ার।

Loading...

আপনাকে সারা দিনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। একদিকে সংসারের কাজ আরেকদিকে আমাদের কমিউনিটির কাজ দুটোই সমান ভাবে দেখতে হয়। তার সাথে প্রত্যেক দিন পোস্ট লেখা তো আছেই। আপনাদের ওখানে হাঁসের মাংস বেশ সহজলভ্য কিন্তু আমাদের এখানে সহজে পাওয়া যায় না। বহু যুগ হয়ে গেছে আমি হাঁসের মাংস খাইনি। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেলো।

 8 months ago 

আসলে সহজে পাওয়া যায় বলতে আমরা হাঁস পালন করে থাকি। এবং সেই হাঁস আমরা জবাই করে নিজেরা খাই। যদি হাঁস পালন না করা হয় তাহলে হাঁসের মাংস খাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। কেননা হাঁসের প্রচুর পরিমাণে দাম আমাদের এখানে। আপনি অবশ্যই বাংলাদেশে আসেন আপনাকে মন ভরে হাঁসের মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা করব। পরিবারের দায়িত্ব ও কমিউনিটির দায়িত্ব সবটাই আমাকে সঠিকভাবে পালন করতে হবে, এবং সেটাই করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

 8 months ago 

নতুন বছর এর শুভেচ্ছা রইলো।
ভোরে উঠে নামাজ পড়ে নিয়ে আরেকটু ঘুমি নিতে চাইলেও পারেন নাই কারন আপনার শশুর এর ইনজেকশন এর সময় হয়ে গিয়েছিল।
এরপর তাকে ঘুম থেকে তুলে নামাজ পরিয়ে ইনজেকশন দিয়ে দিলেন।
এরপর ঘরের কাজ শেষ করার পাশাপাশি সবজি বাগানেও পানি দেন।
বাচচাদের খাইয়ে মাদ্রাসায় পাঠানো আাবার বিকেলে হাসের মাংস রান্না, পাশাপাশি কমিউনিটির কাজ করেছেন।এককথায় একজন পরিশ্রমী মানুষের প্রতিচ্ছবি।
নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

যদিও রিপ্লাই করতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে। তারপরেও আপনাকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আসলে সংসারের কাজগুলো প্রতিনিয়ত করতে করতে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। তাই এখন আর কষ্ট হয় না। সবকিছুই সামলে নিতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন।

আপনার সারাদিনের ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সকালে আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নেন । ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠান। অনেক দায়িত্ব নিয়ে আপনি প্রত্যেকদিন কাজ করে যাচ্ছেন।সারাদিন আপনি অনেক পরিশ্রম করেন নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।হাঁসের মাংসের কালারটা কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে খেতেও সুস্বাদু হবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। নতুন বছরের শুভেচ্ছা হেপি নিউ ইয়ার

 8 months ago 

শীতের সময় হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আপনি একদম ঠিক বলেছেন খেতে অনেক বেশি মজা হয়েছে, কালার দেখে নিশ্চয়ই আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। হ্যাঁ নিজের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবো, ধন্যবাদ আপনাকে পরামর্শ দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।

 8 months ago 

একটার পর একটা সংসারের কাজ করতে করতে আপনার সারাদিনটি কেটে গেল। এদিকে আপনার শশুর অসুস্থ তাকে সময় করে ঔষধ ও খাবার দিতে হয়। এই ফাঁকে আবার বিকেলে হাঁস রান্না। হাঁস রান্না করতে যেমন সময় লাগে পরিষ্কার করতে তার থেকে দ্বিগুণ তিনগুণ সময় বেশি লাগে। তারপরও আপনি ধৈর্য সহকারে সব কাজই করে গেলেন। এছাড়া আপনার কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতা তো আছেই। সবচেয়ে ভালো এটি যে আপনি কোন দায়িত্বেই অবহেলা করেন
না। আপনি নিজের প্রতি যত্ন নিন,সুস্থ থাকুন।

 8 months ago 

হাঁস বাছাই করা খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার কেননা রান্না করতে তেমন একটা সময় লাগে না। কিন্তু বাছাই করতে প্রচুর পরিমাণে সময় লাগে। ঐদিন আমার প্রচুর পরিমাণে সময় লেগেছে, আসলে কমিউনিটির দায়িত্ব গুলো কাঁধে নিয়েছি, যখন তখন অবশ্যই পালন করতেই হবে। এটা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

 8 months ago 
  • সত্যি প্রতিবার আপনার পোস্ট পড়ি এবং অবাক হয়ে, কিভাবে পারেন এত কিছু সামলাতে সত্যি আমি বলবো আপনি একজন ধৈর্যবান নারী,
  • পরিবারের প্রতিটি সদস্য খুব সুন্দর ভাবে নেন, তার উপরে আবার আপনার শ্বশুরের অসুস্থ তার সেবাযত্ন আপনি খুব সুন্দর ভাবে,সারাদিন মোটামুটি নিজেকে অনেক কাজের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যান,
  • আজ বাসাতে আপনার বড় ননদ এসেছে সেই কারণেই হাঁস রান্নার আয়োজন চলছে,সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59185.02
ETH 2522.04
USDT 1.00
SBD 2.47