আজ আমার বিয়ে//( দ্বিতীয় পর্ব)
কি অবস্থা সবার কেমন আছেন। আশা করি মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে। আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়, এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
আজ আমার বিয়ে//( দ্বিতীয় পর্ব)
!!!! আপনি ছাড়া এখানে আর কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না।
____ জি বলুন কি বলবেন
__ না মানে আমি বলছিলাম কি, আপনি কি চুল ঝাড়ছেন, নাকি কাপড় চোপড় ঝাড়ছেন, সেটাই জিজ্ঞেস করলাম।
!!! একটু করুন সুরে বলে উঠলাম, কেন কি হয়েছে.....
.... কি হয়েছে মানে কি, আপনি কি কিছু বুঝতে পারছেন না। দুটো চোখ তো লাগিয়েছেন তাও বুঝতে পারছেন না।
... কি হচ্ছেটা কি,আমি তো কিছুই বুঝতে পারছেনা। আপনি একটু ক্লিয়ার করে বলবেন, আপনার সমস্যাটা কি।
_____ এই যে মিস শুনুন সমস্যাটা মোটেও আমার নয়। সমস্যাটা তো আপনার,দু দুটো চোখ লাগিয়েছেন এর পরেও দেখতে পাচ্ছেন না। এত বড় একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সেই তো দিব্যি তখন থেকে আমার উপর চুল ঝেড়েই যাচ্ছেন ঝেড়েই যাচ্ছেন।
____ আরে কি মহা ঝামেলায় পড়লাম তো, আমি যখন এখানে এসেছিলাম তখন তো আপনি ছিলেন না। আর আপনি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি কি করে বলব? যে আপনি আমার পেছনে আছেন।
____ শুনুন মিস আমি আমার জায়গাতে ঠিকভাবেই দাঁড়িয়ে আছি। আপনি চুল ঝাড়তে ঝাড়তে আমার কাছে চলে এসেছেন।
দেখুন আপনি কিন্তু এখন আমার সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া করছেন।
আরে বাহ কি বলছেন এসব, আপনি আমি আপনার সাথে ঝগড়া করতে যাব কোন দুঃখে শুনি।
আর আমি যতদূর জানি ঝগড়া তো করে মেয়েরা। আমার বাসার কাজের বুয়া অর্থাৎ খালা যখন প্রায় আমাদের বাসায় আসে। তখন দেখি তার চুলগুলো এলোমেলো।
যখন খালাকে জিজ্ঞেস করি কিগো খালা তোমার চুল এমন কেন। খালা বলে তার বস্তির কোন এক মহিলার সাথে ঝগড়া করেছে। তাই ঝগড়া করতে করতে তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে।
এই যে শুনুন যত্তসব, আপনার এসব আজেবাজে কথা শোনার মত সময় আমার নেই।
যাক বাবা অনেকটা রাগ দেখি সেখান থেকে গদ গদ করে নিজের ক্লাস খোঁজার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। অনেকটা খুঁজতে খুঁজতে নিজের ক্লাস টা খুঁজে বের করলাম, ও মা ক্লাসে ঢুকে দেখি ক্লাসের কোনায় কোনায় ছেলে মেয়ে বসে আছে। যাক বাবা একটা টেবিলেও খালি নেই খুঁজতে খুঁজতে যাই হোক একটা টেবিল পাওয়া গেল। খালি টেবিলটা জানালার পাশেই ,কিছু না ভেবেই বসে পড়লাম।বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে খুব ভালো একটা ওয়েধার উপভোগ করতে পারবো। এ কথা চিন্তা করতেই টেবিলের মধ্যে বসে পড়লাম।
যেহেতু নতুন কলেজ নতুন দিন, তাই সবার সাথে এত সকাল বন্ধুত্ব হয়ে উঠবে না। যাইহোক নিজের মত আনমনা হয়ে বসে আছি। হঠাৎ করেই ক্লাসরুমের স্যার প্রবেশ করলেন। স্যার আমাদেরকে ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করছিলেন। হঠাৎ করেই দরজার ওপাশ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো।
May I come in sir
দরজার দিকে তাকিয়ে অনেকটা ভয় পেয়ে গেলাম উফ এটা তো সেই ঝগড়াটে ছেলেটা, ও এখানে কি করছে ওর এখানে কি কাজ।
স্যার ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বলল
Yes coming. যাও তাড়াতাড়ি গিয়ে বসে পড়ো
ছেলেটা এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর বসার জন্য বেঞ্চ খুজতে লাগলো।
আমি তখন ঠিক কি করবো বুঝতে পারছি না।হঠাৎ করে মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। আমার ব্যাগটা টেবিলের অন্য পাশে রাখলাম। এবং আরেক পাশে আমার ওড়না টা সুন্দরভাবে মেলে দিলাম, যাতে ছেলেটা আমার পাশে বসতে না পারে।
হঠাৎ করে এই ছেলেটা আমার সামনে এসে বলল, এই যে চশমিস আপনার ব্যাগটা এবং ওড়নাটা অন্য সাইডে রাখুন। আমি এখন এখানে বসবো বুঝলেন তো।
চলবে...........
গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। গল্পের পরবর্তী অংশ পাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করবেন, তাহলেই গল্পের বাকি অংশ লিখব।
আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। এই কামনা করি আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
একদম মজার গল্প লিখেছেন আপনি। বিষয়টা আসলে তা নয়, বিষয়টা হচ্ছে এটা একটা গল্প। বৃষ্টির দিনে এক ছাউনিতে একটা ছেলে ও একটা মেয়ে। এমনিতেই ওয়েদারটা রোমান্টিক ওয়েদার৷ তার মধ্যে ছেলেমেয়ে এক জায়গায়, চারিদিকে বৃষ্টি। উঞ্চতা অনুভব। আমি হলে ঝগড়াতো দুরের কথা। রোমান্টিকতার বন্যা বয়ে দিতাম।
ছেলেটা একদম বোকা, আনরোমান্টিক বয়, মেয়েদের কখনো এভাবে বলতে হয়?? এভাবে বলতে হবে...! একদম করুন স্বুরে। হ্যালো আপু। আপনার ভেজা চুলের সুভাষে আমি জ্ঞানহারা। রোমান্টিকতার সাগরে যেন হাবুডুবু খাচ্ছি। দয়াকরে আপনার চুলগুলো নিজের সযত্নে সংরক্ষণ করুন। না হলে আমি ব্যকুল হয়ে হন্য হয়ে যাবো।
তখন ঐ মেয়েটা ঝগড়া তো দুরের কথা, লজ্জামাখা মুখ নিয়ে সুন্দর করে ভদ্র মেয়ের মত চলে যাবে। আবার যখন কলেজে একই বেঞ্চে বসবে। তখন দুজনের মধ্যে চলবে ভালোবাসার এক তুমুলযুদ্ধ। যাইহোক আমি একটু বেশি আবেগী তো তাই লিখে ফেললাম। ভালো লাগলো আপনার গল্প পড়ে। ভালো থাকবেন। পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আরে বাহ আপনার কমেন্টস পড়ে মনে হচ্ছে তো আপনি নিজেই একটু অল্প লিখতে শুরু করে দিয়েছেন। তো চলুন আপনিও নতুন একটা গল্প লিখে আমাদেরকে উপহার দিন।
গল্পটা পড়ে খুবই আনন্দ উপভোগ করেছি আপনার কাছ থেকে আরও ভালো ভালো গল্পের আশা বসে থাকলাম আশা করি আপনি আমাদের মাঝে নতুন কোন গল্প নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হবেন এত সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আজকে পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ
গল্পগুলি আপনি খুবই মনোযোগ সহকারে লিখেছেন এবং আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে আশা করব পরবর্তী গল্প আরো অনেক সুন্দর সুন্দর হবে পরবর্তী গল্পের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম অনেক ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব এই ধরনের নতুন নতুন গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।