কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়ের( দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে,আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়ের,দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা করব।আশা করছি আপনারা প্রথম পর্বে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন বুঝতে পেরেছেন। আর তাই দ্বিতীয় পর্ব নিয়েই আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম।
আমার ছোট হোক কিংবা বড় সেটা হোক আমাদের নিজস্ব কাজ সব কিছুর জন্যই আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আর সেই কঠোর পরিশ্রমের পেছনের উপায় গুলো,যদি বেশ ভালোভাবে আয়ত্ত করা যায় তাহলে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করা খুবই সহজ হয়।
০৩ আপনি একটি কাজের প্রতি মনোযোগ দিন মাল্টিপল করা থেকে বিরত থাকুন।
![]() |
---|
আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা কাজ করে কাজ নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তাদের এই ব্যস্ততার পেছনের কারণটা জানতে গেলে বোঝা যায় তারা অনেকেই অনেক ভাবেই ফেক কাজ করে, ভুল কাজ করে। যার কারণে তারা তাদের সঠিক যে কাজগুলো সেগুলো সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে পারে না।
- আমাদের কাজ করতেই হবে আমাদের জীবিকার তাগিদে অনেক কিছুই করতে হয়। তার জন্য ধরুন আমি একটা ফেসবুক আইডি ব্যবহার করি। বা আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে। এখন অনেকেই বলে যে আপনি চাইলেই অনেকগুলো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেকেই বলে আপনি চাইলে অনেকগুলো ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু আমি আপনাকে বলব আপনি কখনোই
মাল্টিপল কাজ করবেন না।
![]() |
---|
এখন হয়তো বা আপনার আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন অনেকেই। অনেকেই তো বলে যে একজনে একের অধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারে। তারা তো বলে তাতে কোন সমস্যা হয় না। তাহলে আপনি কেন বলছেন একজন একের অধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। তাদের উদ্দেশ্যেই এখন কিছু কথা বলব।
আপনি বা আমাদের কাছে যখন একটা কাজ থাকে। আমরা সেই কাজকেই বড় হোক কিংবা ছোট সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করি। সর্বদাই চেষ্টা করি কাজের মধ্যে যেন কোন ভুল না থাকে। নিখুঁতভাবে ওই কাজটাকে বারবার বারবার রিপিট করি আমরা। কারণ আমাদের কাছে একটাই কাজ আর সেই কাজকে ভালোভাবে উপস্থাপন করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। কারণ আমরা যখন একটা কাজ হাতে নেই। আমাদের হাতে অনেক সময় থাকে যার কারণে আমরা, ওই কাজকে উপস্থাপন করার আগে আমরা অনেক ভাবে ওই কাজের সকল বিষয়গুলো জেনে শুনে নিতে পারি।
আর ওই জায়গা থেকেই যদি আপনি মাল্টিপল অনেকগুলো কাজ করার চেষ্টা করেন। তখন কিন্তু আপনি সঠিকভাবে কোন কাজ করতে পারবেন না। আপনার হাতে অনেকগুলো কাজ থাকবে।আপনি সেই কাজগুলোকে কিভাবে সম্পূর্ণ করবেন ।আপনি সেই প্রচেষ্টা চালাবেন কিন্তু কখনোই সেই কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হবে না।
![]() |
---|
- আর তাই আমি বলব আপনি শুধু একটি কাজের প্রতি ফোকাস দিন। যে কাজ করা শুরু করেছেন সেই কাজকে ভালোভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার লাইফে কোন সমস্যা তেমন একটা হবে না। আপনি সেই কাজকে ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
০৪ খাওয়া-দাওয়ার প্রতি মনোযোগ দিন সঠিক খাবার নিজের জন্য গ্রহণ করুন
জীবন বাঁচানোর জন্য আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া করি।কিন্তু আমাদের কঠোর পরিশ্রম করার পেছনে খাওয়া দাওয়ার বিষয়টা অন্যরকম ভাবেই আমাদের দেখতে হয়। কারণ আমরা যখন কঠোর পরিশ্রম করি তখন, আমাদের শরীরের জন্য খাবারটা খুবই পুষ্টিকর হওয়া প্রয়োজন।
![]() |
---|
একজন মানুষ যখন কোন কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ওনার কাজ করার পেছনের যেই অনুভূতি বা কাজ করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন। তা কিন্তু সাধারণ খাবারের মধ্যে তেমন একটা পুষ্টি থাকেনা। যদি আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকে তাহলে কিন্তু আপনি এই কঠোর পরিশ্রম করেন, বা আপনি যাই করো না কেন আপনার লাইফে সবকিছু কিন্তু সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।
এখন হয়তো বা অনেকেই বলবে যে আমি কাজ করি। আমি সঠিকভাবে খাবার খাই তাও কেন জানি আমার সব কাজ গুলিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলব আপনাকে অবশ্যই পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে হবে। আপনার শরীরের জন্য যে খাবারটা প্রয়োজন। আপনাকে সেই খাবারের একটা তালিকা করতে হবে। আপনি নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে। আপনি অনিমে খাবার খেলে আপনার স্বাস্থ্য যেমন খারাপ হবে। আপনার বুদ্ধির বিকাশ মোটেও ঘটবে না।
![]() |
---|
আমরা যখন কঠোর পরিশ্রম করার সিদ্ধান্ত নেই। তখন আমাদের শরীরটাকে অবশ্যই চাঙ্গা রাখতে হয়। আর যার জন্য আমাদের চর্বিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হয়। এর কারণটা হচ্ছে সর্বযুক্ত খাবার ভালো হলেও, কিন্তু এটা আমাদের শরীরটাকে অনেকটা অলস বানিয়ে ফেলে।
আমরা অনেকেই বাহিরের খাবার খেতে পছন্দ করি। আবার অনেকেই বাইরের বিভিন্ন জাতীয় পানীয় যে খাবারগুলো রয়েছে। সেগুলো খেয়ে থাকি আপনি কি জানেন এই খাবারগুলো আপনাকে অল্প পরিশ্রমে অনেক বেশি ক্লান্ত বানিয়ে দেয়।
![]() |
---|
আমাদের উচিত আমরা যখন কঠোর পরিশ্রম করব।আমাদের শরীরটাকে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উপযোগী করে তুলবো। তখন এই ফাস্টফুড এবং বাহিরের পানি জাতীয় খাবার থেকে, নিজেদেরকে বিরত রাখা।
আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা নিজেদের শরীর চাঙ্গা করার জন্য চা-কফি অনেক বেশি খায়। আপনার এই অল্প সময়ের জন্য যদি চা কপি আপনাকে চাঙ্গা করে তোলে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক ক্ষতি করে। তাই আমি আপনাদেরকে বলবো আপনারা চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনারা চাইলে গ্রিন টি খেতে পারেন এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
![]() |
---|
- আমাদের যেমন সমাজে চলার জন্য একটা নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি আমাদের কঠোর পরিশ্রম করার পেছনে, যদি আমাদের শরীরটাকে তৈরি করা যায়।তার জন্য খুবই ভালোভাবে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চালাও আমাদের খুব দরকার। তাই একটা কথাই বলবো কঠোর পরিশ্রম করবেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু অবশ্যই সেটাকে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে করার চেষ্টা করবেন।
- সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। এই কামনা করি আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্থতা কামনা করছি আল্লাহ হাফেজ।