"গার্লস মার্কেট নাটকের:- রিভিউ"
আমরা গ্রাম অঞ্চলে যারা বসবাস করি। তারা প্রায়শই ভাবি যে একটা মেয়ে যদি কখনো কিছু করতে যায় বা মার্কেটে তার একটা দোকান থাকে, বা সে নিজের উদ্যোগে কোন কাজ করে। তাহলে সমাজ কি বলবে, এ প্রশ্নটা সবার মনে জেগে ওঠে। কিন্তু একটা কথা আমরা হয়তোবা ভুলে যাই। আপনি যদি ১০ দিন না খেয়ে থাকেন। তাহলে সমাজ আপনাকে প্রশ্ন করবে না, আপনি খাবার খেয়েছেন তো?
আপনার পরিবার পরিচালনা করার দায়িত্ব একান্তই আপনার। আপনার পরিবারের ভরণ পোষণ আপনার পরিবারের খাবার দাবার কিভাবে জোগাড় করবেন, সেটার দায়িত্ব আপনার। কিন্তু সমাজে চলার জন্য অবশ্যই সমাজের নিয়ম-কানুন সবকিছু মেনে চলতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিজে কিছু করা থেকে বিরত থাকবো, এটা করা মোটেও ঠিক না।
আজকে আমি আপনাদের সাথে গার্লস মার্কেট নাটকটা রিভিউ করার জন্য চলে এসেছি। নাটকের মধ্যে যে বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে। সেটা গ্রাম অঞ্চলের মেয়েদের জন্য। কেননা বর্তমান সময়ে এমন হাজার হাজার মেয়ে রয়েছে। যারা কিনা প্রতিনিয়ত সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে, নিজেদের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারে না। নিজেদের ছেলেমেয়েকে ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারে না। কিছু পুরুষের বাজে অভ্যাসের কারণে।
গার্লস মার্কেট (২০২১ সাল)
গার্লস মার্কেট নাটকের:- (রিভিউ উপস্থাপন)
পরিচালক:-মীর মোবারক হোসেন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক:- অরন্য পুলক
সহকারী পরিচালক:- খন্দকার আর এইচ সুমন
চিত্রগ্রহণ:- ফারহান হোসেন জিকো
নাটকের মধ্যে অভিনয় করেছেন:-
নুসরাত ইমরোজ তিশা, ফজলুর রহমান বাবু, আরিফা শর্মী টুনটুনি সোবহান নবাব ইয়াসিন আলী মোঃ শাহজাহান আলী এবং আরও অনেকেই।সময়:- ৪১ মিনিট ০১ সেকেন্ড
নাটকটির ধরন :- sad, love, emotional, entertainment,
নাটকের কাহিনী
নাটকের প্রথমেই দেখানো হয়েছিল, বুলি যে কিনা তার মেয়েকে মাথায় পানি দিচ্ছে। তার মেয়ের প্রচন্ড জ্বর কিন্তু তার হাজবেন্ড কে যখন বাজারে ঔষধ আনার জন্য পাঠানো হলো। তখন তিনি ঔষধ না নিয়ে স্টেশনে বসে তাস খেলতে লাগলো।
উনি তাস খেলতে খেলতে ভুলেই গিয়েছেন যে, ওনাকে কি জন্য পাঠানো হয়েছিল। এরপরে বুলি অনেকটা রেগে যায় এবং তার মেয়ের জন্য ঔষধ আনতে, সে নিজেই বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওখানে গিয়ে দেখতে পায় তার হাজবেন্ড বসে বসে তাস খেলছে। তখন তিনি ওনাকে কিছু কথা বলে, ওখান থেকে বিদায় নিয়ে বাজারে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এরপরে উনার হাসবেন্ড ওনাকে নিয়ে বাজারে চলে যায় এবং মেয়ের জন্য ওষুধ কিনে বাসায় ফিরে আসে। কিন্তু ঘরে রান্না করার মত তেমন কিছুই ছিল না। কারণ তারা খুবই হত দরিদ্র একটা পরিবারের সদস্য ছিল।
এভাবেই প্রতিনিয়ত তাদের সংসারে ঝামেলা সৃষ্টি হতো। বুলি নিজে কিছু মুরগি পালন করে, সেগুলো বিক্রি করে একটা ছাগল কেনার চেষ্টা করে এবং নিজের কাছে কিছু টাকা থাকার ফলে, ওই মুরগি গুলো বিক্রি করার জন্য তার হাজবেন্ডের কাছে দিয়েছিল। কিন্তু সে মুরগি বিক্রি করা ওই টাকা দিয়ে বাজার করে নিয়ে আসে। অল্প কিছু টাকা বুলির হাতে দেয়।
এভাবেই তাদের সংসারে ঝামেলার প্রতিনিয়ত আরো বেশি বৃদ্ধি হতে লাগলো। সমস্যার কোন সমাধান না দেখে বুলি নিজের বিয়েতে পাওয়া নাক ফুল বন্ধক রেখে কিছু টাকা নিয়ে, ওখান থেকে একটা ছাগল কিনে নিয়ে আসলো। এ কারণেই বুলি সংসারে আরও বেশি সমস্যা হতে লাগলো। মানুষ নানা ধরনের কথা বলতে লাগলো।
এরপরে সে ছাগল কিছুদিন পালন করল ওই ছাগল বিক্রি করে, সে আবার কিছু টাকা পেয়েছিল। ওখান থেকে সে একটা জমিন কর্জ নিয়েছিল। এরপর সে ধীরে ধীরে জমিনের মধ্যে ফসল ফলাতে লাগলো। ধীরে ধীরে সে ভালোই ফসল উৎপাদন করল। একজন হঠাৎ করে সে চিন্তা করল কারো উপর ভরসা করা যায় না। কেননা তার হাজবেন্ডের কাছে যতবার কোন কিছু বিক্রি করতে দিয়েছে। অর্ধেক টাকা সে ফিরে পায়নি। তাই নিজের উৎপাদন করা ফসল গুলো, নিজেই বিক্রি করার জন্য বাজারে চলে গেল।
ওখানে গিয়েও আরেকটা ঝামেলার সৃষ্টি হল। অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলতে লাগলো। কিন্তু একজন বৃদ্ধ মানুষ ছিল যে কিনা বেশ ভালো সে বাজারে বুলি কে বসার জায়গা দিল। এবং তার উৎপাদন করা ফসল গুলো বিক্রি করার একটা ব্যবস্থা করে দিল।
বুলির নানা ধরনের সমস্যা হওয়ার পরেও সে নিজের কাছ থেকে পিছিয়ে পড়েনি। প্রতিনিয়ত নিজের কাজ করে যাচ্ছে এবং নিজের উৎপাদন করা ফসল গুলো, বাজারে বিক্রি করে মোটামুটি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। কিন্তু হঠাৎ করে একটা সমস্যা দেখা দিল। সেটা হচ্ছে বাজারের মধ্যে টয়লেট ছিল একটা।
তার দেখাদেখি যখন অনেকেই ফসল উৎপাদন করা শুরু করল এবং বাজারে গিয়ে বিক্রি করা শুরু করল। তখন মাঝে মাঝেই তাদেরকে টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হতো। একদিন হঠাৎ করেই একটা মেয়ে যখন টয়লেটে গেল। তখন একটা পুরুষ তার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। এই বিষয়টা নিয়ে অনেক ধরনের সমস্যা হল।
পরে তার বিচার করে থাকে পুলিশে দেয়া হয়েছিল এবং বাজার কমিউনিটির কাছে বুলির একটা আবদার ছিল। যেন বাজারে আরেকটা টয়লেট নির্মাণ করা হয়, শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। বাজার কমিউনিটি প্রত্যেকটা মেয়ের কথা চিন্তা করে। ওই বাজারে আরেকটা টয়লেট নির্মাণ করে দিল।
এভাবেই তাদের দেখাদেখি বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহিলারা নিজেদের ফসল উৎপাদন করে, বাজারে এনে বিক্রি করা শুরু করল। বুলি নিজের টাকা দিয়ে সংসার পরিচালনা করতে লাগলো এবং নিজের মেয়েকে পড়াশোনা করাতে লাগলো। তার হাজবেন্ড কে একটা অটো কিনে দিয়েছিল। এরপর থেকে তাদের পরিবারে আর কোন সমস্যা হয়নি।
এই নাটক থেকে আমার শিক্ষা
আমাদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট সব কিছুই আছে। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে। ঘরের মেয়েরাও যে কিছু করতে পারে, এই নাটকের মধ্যে সেটাই উপস্থাপন করা হয়েছিল।
আমার কাছে মনে হয় মেয়েরা যদি কোন কিছু করতে চায়। তাহলে তাদেরকে বাধা না দিয়ে সুযোগ করে দেয়া উচিত। কারণ একটা মেয়েও পারে একটা সংসার পরিচালনা করতে। শুধুমাত্র তাকে একটু সাপোর্ট করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, চলার পথটা সহজ করে দিতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনে যতই বাধা আসুক না কেন? অবশ্যই সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব! সফলতা একদিন আসবেই! সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- প্রত্যেকটা ছবি মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
@rubina203,
ভালো ছিল নাটকটা, কিন্তু আপনার হ্যাশট্যাগ সঠিক হয়নি।
সঠিক হ্যাশট্যাগ:- burnsteem25, art, drama and review etc.....
আপনি সতেরো দিন আগে ও একটি নাটক রিভিউ পোস্ট করেছিলেন যেখানে আমিই ভেরিফিকেশন মন্তব্যে এটা আপনাকে অবগত করেছিলাম।
এখানে আপনার সৃজনশীলতার কিছু নেই তাই #creativewriting hash tag remove করে দিন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা সম্পর্কে আমাকে অবগত করার জন্য। সত্যি কথা বলতে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। জী আমি লিখে রেখেছি এবং আমার hashtag পরিবর্তন করে দিয়েছি, পরবর্তীতে আশাকরি এই ভুল হবে না।
@rubina203,
আপনি কি যথাযথভাবে দেখেছেন আমি মন্তব্যে কি বলেছি? আবারো দেখুন এবং সম্পাদনা করে ঠিক করে দিন। অবশ্যই জানাবেন আমি পুনরায় চেক করে নিবো। অনুগ্রহ পূর্বক, যতো দ্রুত সম্ভব এটি সম্পাদনা করে দিন।
আবারো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সত্যি কথা বলতে কালকে অনেকটাই ব্যস্ত ছিলাম যার কারণে সঠিকভাবে মন্তব্য দেখা হয়নি। তবে পরবর্তীতে আমি সবকিছু ঠিক করে দিয়েছি। আশা করি নেক্সট টাইম এমন আর হবে না। আমি চেষ্টা করব সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আসলেই নাটকটি আমার দেখা হয় নাই। তবে আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার এ নাটকটি দেখার কৌশল লাগবে অবশ্যই সময় পেলে নাটকটি আমি দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
এই নাটকের মধ্যে বোঝানো হয়েছে, একটা নারী কিভাবে একটু একটু চেষ্টা করার মাধ্যমে নিজে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। আসলে আমাদের সমাজ নারীকে তেমন একটা কাজ করার সুযোগ দেয় না। তবে আমার মনে হয় তারা যদি কোন কিছু করার চিন্তা করে, তাদেরকে অবশ্যই একটু হলেও সুযোগ করে দেয়া দরকার। এতে করে তারা যেমন স্বাবলম্বী হবে আপনার পরিবারের আরো বাড়তি টাকা আয় করার একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একটা সময় অনেক নাটক দেখতাম আর বর্তমান সময়ে নাটক তা গান শোনার ইচ্ছে করে না।। আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন আর রিবুটের উপর এমন হচ্ছে নাটকটা অনেক ভালো আছে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে।। সময় পেলে অবশ্যই নাটক টা দেখব।।
এই নাটকের মধ্যে গ্রাম অঞ্চলের মেয়েরা কিভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, সেটাই বোঝানো হয়েছে। এবং নিজেরা যখন কোন কাজ করার চেষ্টা করবে, তার মধ্যে অনেক ধরনের বাঁধা আসতে পারে। সে বাঁধা গুলো কিভাবে সামলে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়, সেই শিক্ষাটাও দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি প্রতিনিয়ত যারা সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে ওঠে। তারা চাইলে বিভিন্ন রকম কাজ করে তাদের সংসার চালাতে পারে। তাহলে তাদের সংসার অনেক সুন্দর ভাবে চলতে শুরু করবে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
প্রতিটি নাটকের মধ্যে কোন না কোন একটা বিষয় শিক্ষনীয় থাকে আর এখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি তাই নাটক দেখা ভালো।। আপনি মাঝে মাঝে আমাদের মাজে এরকম নাটক রিভিউ দিবেন।।