সময়ের সাথে কোন কিছুই ঠিক হয়ে যায় না!!
আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে! যেটা আমরা মনে করি সময়ের সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে! কিন্তু আসলেই কি সময়ের সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়! নাকি আমরা সেটাকে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।
সময়ের সাথে কোন কিছুই ঠিক হয়ে যায় না!শুধু আমরা মানিয়ে নেই কিংবা মেনে নিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়! |
---|
আমার জায়গা থেকে আমি যদি বলি! তাহলে আমি বলব কখন ওই সময়ের সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যায় না! শুধুমাত্র আমরা সেই ঘটনাটি মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হয়ে যাই! জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে,,, কখনোই সবকিছু একেবারে সমাধান হয়ে যায় না।
আজকে আমরা তেমনি একটা মেয়ের কথা বলব আপনাদের সাথে,,, মেয়েটা খুবই শান্ত সৃষ্ট গ্রামের একটা মেয়ে দেখতে অসম্ভব সুন্দর।
মেয়েটা এসএসসি পাস করার পরে,,,, তার বাবার খুব ইচ্ছে ছিল তাকে বড় একটা কলেজে পড়াশোনা করাবে! কিন্তু আর্থিক দুর্বলতার কারণে,, তেমন বড় কোন কলেজে তাকে পড়াতে সক্ষম হয়নি তার বাবা।
তবুও মেয়েটার যোগ্যতার কারণে সরকারি একটা কলেজে ভর্তি হতে পেরেছে! তবে কলেজ ছিল তাদের বাড়ি থেকে,, প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে।
প্রতিদিন কলেজে যাওয়া মেয়েটার পক্ষে সম্ভব ছিল না! কেননা প্রতিদিন কলেজে গেলে তার খরচ হতো যাওয়া আসায়,, গাড়ি ভাড়া! যেটা দেয়ার মত সামর্থ্য তার বাবার ছিল না! তবুও মেয়েটা সপ্তায় দুই থেকে তিন দিন ক্লাস করার চেষ্টা করত।
এভাবে করে সে তার পড়াশোনা কন্টিনিউ করা শুরু করে! একটা সময় মেয়েটাকে একটা ছেলে পছন্দ করে! ছেলেটা একটু গুন্ডা টাইপের ছিল! পড়াশোনা তেমন একটা করতো না! কলেজে আসত শুধু মেয়েদেরকে রেগিং করার জন্য।
যদি ও ছেলেটার বাবা খুবই টাকা পয়সা ওয়ালা একজন মানুষ! যার কারণে তাকে কেউ কিছু বলার সাহস পেত না! একটা সময় ছেলেটি মেয়েটাকে প্রপোজ করে! কিন্তু মেয়েটা ভয় পায়,,, কারণ ছেলে অনেক বড়লোক! তার উপরে ছেলেটা তেমন একটা ভালো না নেশা করে! এসব দিক চিন্তা করে মেয়েটা ছেলেটাকে কিছুই বলে না।
সে তার মতো করেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে! কিন্তু ছেলেটা রোজ মেয়েটার সামনে এসে তাকে জিজ্ঞেস করছে! কিছু বলার জন্য! মেয়েটা সব সময় চুপ থাকতো, এরপরে ছেলেটা সিদ্ধান্ত নিল! মেয়েটাকে একটা শিক্ষা দেবে যাতে করে,,, সে তার প্রেমে পড়ে।
সে মেয়েটার মুখে হঠাৎ একদিন অ্যাসিড মেরে দিল। মেয়েটার মুখের একটা সাইট প্রচন্ডভাবে পোড়ে গেল! যেটা দেখার পরে মেয়েটার বাবার সাথে সাথে স্টক করল।
এরপরে মেয়েটা বোরকা পড়ে মুখে মাক্স ব্যবহার করে কলেজে আসা যাওয়া করত! যদি ও এই ঘটনার পরে মেয়েটা প্রায় তিন মাস কলেজে আসা-যাওয়া করতে পারেনি! কিন্তু তারপরেও সে তার পড়াশোনাটা চালিয়ে গেছে।
বর্তমান সময়ে মেয়েটা খুব ভালো একটা কোম্পানিতে চাকরি করে! বেশ ভালো টাকা মাইনে পায়! কিন্তু মেয়েটার মুখের অবস্থা এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে! যদি ও মেয়েটা আগে মুখে মার্কস পড়ে রাখত,,, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সে তার মার্কস পরাটা ও বন্ধ করে দিয়েছে! সে মনে করে নিয়তি তাকে যেখানে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে,,, সেটাই হয়তো বা ঠিক।
এই ঘটনা থেকে আমি বুঝতে পারলাম! সময়ের সাথে কখনোই সবকিছু ঠিক হয় না! কখনোই আগের মত ফিরে পাওয়া যায় না! হয়তো বা মেয়েটা এখন ভালো চাকরি করছে! তার বাবা-মাকে বেশ ভালো একটা পজিশনে সে নিয়ে এসেছে! কিন্তু তার সেই চেহারা,,, তার সেই সৌন্দর্য! সে কি কখনো আগের মত করে ফিরে পেয়েছে।
যদি ও হয়তো বা সে তার ভালো ইনকাম করা টাকা দিয়ে,, প্লাস্টিক সার্জারি করে নেবে! কিন্তু আগের মতো তো আর,,, সে তার চেহারাটা খুজে পাবে না।
আর এখান থেকে আমি মেনে নিয়েছি! সময়ের সাথে কখনোই কোন কিছুর পরিবর্তন হয় না! সঠিকভাবে যদি ও কিছু পরিবর্তন হয়! তবে পুরো পুরি টা পরিবর্তন হওয়া অসম্ভব,,,, শুধুমাত্র আমরা সেটাকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
আজ আর লিখছি না! এ পর্যন্তই থাক! সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন! এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.