"বুদ্ধিমত্তার পরিচয়"🤔🤔🤔🤔
![]() |
---|
বহুকাল আগের কথা একদা ছিল ছোট্ট একটা গ্রাম! সেই গ্রামের মধ্যে একটা গরিব ছেলে বাস করত। যে কিনা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত! সে বাসা ভাড়া দিতে পারবে না! সেজন্য সে সব সময় মসজিদে থাকতো,,, এবং দুবেলা কোন মত খাবার খেয়ে দিন যাপন করত।
"বুদ্ধিমত্তার পরিচয়" |
---|
এভাবেই কেটে গেল প্রায় তিন বছর! হঠাৎ তার একটা বন্ধু একদিন তার কাছে বেড়াতে আসলো! এবং তাকে জিজ্ঞেস করল! সে কিভাবে দিন পার করছে! তখন সে অসহায়ের মত তার বন্ধুকে তার সমস্ত ঘটনা খুলে বলল।
সে বলল ভাতের ব্যবস্থা দুবেলা মোটামুটি হয়ে যায়! কিন্তু দুবেলা তরকারির ব্যবস্থা করাটা খুব কঠিন হয়ে যায়! মসজিদের পাশেই ছিল বড় একটা হোটেল! দুপুরে তরকারির ব্যবস্থা কোনমতে হলেও,, মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় হয় না! তাই সন্ধ্যায় যখন হোটেলে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করা হয়! সেই তরকারির গন্ধে ছেলেটার ভাত খাওয়া হয়ে যায়।
এই কথাটা বলার সাথে সাথে,, হোটেলের মালিক কোন কারণে কথাটা শুনে যায়! এবং ছেলেটার কাছে সে তিন বছরের তরকারির বিল পরিশোধ করতে বলে! কিন্তু ছেলেটা তাকে অনেক অনুনয় বিনয় করে! কারণ তার কাছে কোন টাকা ছিল না! কিন্তু হোটেলের মালিক তার কোন কথাই শুনতে রাজি না! এরপরে তারা চলে যায় কাজী সাহেব এর কাছে!
কাজী সাহেব তাদের দুজনের সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে,, এবং ছেলেটাকে বলে! সে এই হোটেল মালিকের টাকা পরিশোধ করে দেয়ার জন্য! আমি আপনাদেরকে বোঝানোর সুবিধার্থে বলে দিচ্ছি! এই ঘটনাটা অনেক আগের,, যে সময় টাকা-পয়সা সিকিতে গণনা করা হতো।
ছেলেটা কাজী সাহেবের কাছে অনেক অনুরোধ করল! সে বলল তার কাছে কোন টাকা নেই! সে কিভাবে টাকা জোগাড় করবে! কিন্তু কাজী সাহেব নাছোড়বান্দা! সে ছেলেটাকে বলল তোমাকে যে করেই হোক হোটেল মালিকের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
![]() |
---|
এরপরে ছেলেটাকে দুমাস সময় দেয়া হলো! ছেলেটা অনেক কষ্ট করে সেই হোটেল মালিকের টাকা জোগাড় করল! এরপরে কাজী সাহেব ছেলেটাকে নিয়ে,, হোটেল মালিকের কাছে গেল।
এবং তাকে বলল! ওই পয়সাগুলো রান্না করার জন্য! যখনই ওই পয়সাগুলো পাত্রের মধ্যে দিয়ে নাড়াচাড়া করা হলো! তখনই পয়সাগুলো থেকে ঝন ঝন শব্দ আসতে লাগলো।
![]() |
---|
কাজী সাহেব ওই হোটেল মালিক কে উদ্দেশ্য করে বলল! "আপনি কি এই পয়সাগুলোর ঝন ঝন শব্দ শুনতে পাচ্ছেন?"
তখন ওই লোকটি বলল হ্যাঁ আমি ওই পয়সাগুলোর ঝন ঝন শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এরপরে কাজী সাহেব বলল! আপনি এখান থেকে আপনার টাকা টা বুঝে নিন।
এরপরে লোকটা তার ভুল বুঝতে পারল! এবং কাজী সাহেবের কাছে ক্ষমা চাইলো,, এবং ছেলেটার কাছেও ক্ষমা চাইল।
এরপরে কাজী সাহেব ছেলেটাকে,, তার সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে দিল।
বর্তমানে আমাদের এই সমাজে এমন অনেক ধরনের মানুষ আছে! যারা কিনা অন্যের সম্পদ মেরে খেতে সামান্য পরিমাণও কুণ্ঠা বোধও করে না!
আমার মনে হয়,, উপরোক্ত ঘটনা থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত! এবং নিজেদের জীবনে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া উচিত।
এই ছিল আমার আজকের গল্প! আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আজ আর লিখছে না! সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন! এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আলোচনা করলেন, কিভাবে একজন গরিব ছাত্র তার জীবিকার তাগিদে কতটা লড়াই করেছে। দুবেলা খাওয়ার জন্য সে কতটা কষ্ট করেছে, তারই উদাহরণস্বরূপ আপনি একটা গল্প শেয়ার করেছেন। সে গল্পটি পড়ে আসলেই ভালো লাগলো এবং এটা থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিয়েও কিছু রয়েছে।
একদম ঠিক কথাই বলেছেন বর্তমানে আমাদের সমাজে এমন মানুষ সবচাইতে বেশি দেখা যায়। যারা অন্যের সম্পদ অন্যের কষ্টের জিনিসগুলো ভোগ করতে বেশি পছন্দ করে।
তার মনে এতটুকু পরিমাণে দ্বিধাবোধ হয় না, যে সে আসলে কি পরিমানে পাপ কুড়াচ্ছে। তার জীবনে তাকে তো একদিন এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। তখন সে উপরে গিয়ে কি জবাব দেবে।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর এই শিক্ষামূলক পোস্টটি অবশ্যই আমরা নিজেরা যতটুকু পারি নিজেদের সম্পদেই ভোগ করি অন্যের সম্পদের উপর অযথা লোভ দিয়ে কোন পাপ কুড়ানোর দরকার নেই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
TEAM 1
Congratulations! This comment has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন একটি গল্পের মাধ্যমে যে ছেলেটা বাসা ভাড়া দিতে পারবে না বলে মসজিদে রাত পার করত এবং তার জন্ম গরিব ঘরে তবুও সে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। আপনার গল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আমাদের আছে যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।