"কলিজার আধখান নাটকের রিভিউ উপস্থাপন"
সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র নিয়ে,, আজকে আমি আপনাদের সাথে যেই নাটকের রিভিউ করব। তার সাথে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। কলিজার আধখান কথাটার অর্থ কতটা মধুর। সেটা হয়তোবা আপনারা ইতিমধ্যেই বোঝেই গেছেন! বেশ কয়েকদিন যাবত মনটা খুব খারাপ,, তেমন একটা নাটক মুভি দেখার মত মন মানসিকতা হয় না! কিন্তু আজকে যখন ইউটিউবের মধ্যে,, কলিজার আধখান নাটকের রিভিউ দেখলাম! তখন নাটকটা না দেখে আর থাকতে পারলাম না।
নাটকটির মধ্যে আমাদের বাস্তব সমাজের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে! সমাজে এমন কিছু মানুষ বসবাস করে! যাদের বাচ্চা হয় না! তারা তাদের বন্ধু-বান্ধবের কাছে যখন তাদের নিজের মনের কষ্টগুলো শেয়ার করে! তখন বন্ধু-বান্ধব চেষ্টা করে,, তাদের এই কষ্টগুলো দূর করার জন্য! আজকের নাটকের মাধ্যমে ও ঠিক তেমনি হয়েছে।
- আজকে আমি আপনাদের সাথে,,, কলিজার আধখান নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করব।
কলিজার আধখান (২০২৩ সাল)
নাটক সম্পর্কিত | কিছু তথ্য |
---|---|
পরিচালক:- | তানজিম হাসান তূর্য |
ব্যবস্থাপনা পরিচালক:- | সুরভী হালদার শুভ |
সহকারী পরিচালক:- | রাশেদ রাব্বি |
চিত্রগ্রহণ:- | ফুয়াদ বিন আলমগীর |
নাটকের মধ্যে অভিনয় করেছেন:- | মুসফিক আরফারহান, তানজিন তিশা, আনোয়ার এইচ এন, শারমিন সুলতানা শর্মী, সেঁজুতি খন্দকার, রেশমা আহমেদ তানহা, খায়রুল ইসলাম পলিন টিউলিপ চৌধুরী জয়, আয়রা ( শিশু শিল্পী) এবং আরও অনেকেই |
সময়:- | ৫২ মিনিট ৩২ সেকেন্ড |
নাটকটির ধরন :- | prank, love, emotional, entertainment, |
নাটকটির প্রথমেই দেখানো হয়,, ফারহান এবং তানজিন তিশাকে! যারা কিনা একটা পুকুর পাড়ে বসে গল্প করছে! যেখানে তানজিন তিশার ফারহান কে রাতের বেলা গোসল করানোর জন্য চেষ্টা করছে! কিন্তু ফারহান বারবার বলছে এত শীতের মধ্যে আমি গোসল করতে পারবোনা,, তাহলে আমি মারা যাব! এরপর তানজিন তিশা বলে তুমি যদি গোসল না করো! তাহলে এখন আমি বিষ খেয়ে মারা যাবো! অবশেষে ফারহান বউয়ের কথা রাখতে গিয়ে,, ঠাণ্ডার মধ্যে গোসল করে নেয়।
এরপর দেখানো হয়,, তাদের পাশের বাড়ির একজন ভাবি তাদের জন্য বড় একটা কাঁঠাল নিয়ে আসে! তারপর তানজিন তিশা বলে,, এত বড় কাঁঠাল আমরা মানুষ দুইজন কিভাবে খাব! তখন ভাবি তাকে বলে,, আর কত দিন দুইজন থাকবে! তিনজন কবে হবে! তখন তানজিন তিশা বলে চেষ্টার তো কোন রুটি রাখছি না! সব চেষ্টাই করে যাচ্ছি,, তখন ভাবি তাদেরকে,, একটা মহিলার কথা বলে যিনি কিনা ঝাড়ফুঁক করে।
এরপর তানজিন তিশা তার স্বামী ফারহান কে নিয়ে ওই ঝাড়ফুঁক করা মহিলার কাছে যায়! কিন্তু মহিলা এমন কিছু কথা বলে! যা শুনে তানজিন তিশা অনেকটা অবাক হয়ে যায়! তিনি বলে তার স্বামী নাকি অন্য মহিলাদের দিকে নজর দেয়! ভাবিরে নিয়ে আড্ডা দেয়! এসব কথা শোনার পর তানজিন তিশা সাথে তার স্বামীর উপর,, অনেক বেশি রাগ করে! এবং রাগ করে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
এরপর তার হাজবেন্ড কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়! পথি মধ্যেই গ্রামের ওই ভাবির সাথে দেখা হয়ে যায়! এবং ভাবে জিজ্ঞেস করে উনাকে নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছে! তখন তারা দুজন মিলে ডাক্তারের কাছে যায়! ডাক্তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং বিকেলে সে রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে! পরীক্ষার মধ্যে এমন কিছু জিনিস ধরা পড়ে! যা শুনে ফারহান নিজেই অনেকটা ঘাবড়ে যায়। বাচ্চা না হওয়ার কারণ,, তার নিজের নয়! তার নিজের কোন সমস্যা ছিল না! সমস্যাটা ছিল তার স্ত্রীর।
এরপর তানজিন তিশা অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে অনেক কান্নাকাটি করে! আসলে উপর ওয়ালা যদি না চায় তাহলে আমরা হাজার চেষ্টা করেও! একটা বাচ্চা কোথাও থেকে নিয়ে আসতে পারবো না! এরপরে ফারহানের বন্ধু তাদের বাসায় আসে! এবং বলে ভাবি আপনারা চাইলেই কিন্তু একটা বাচ্চা নিতে পারেন! আমি যে বাসায় কাজ করি ওই ভাবীর ও তো কোন বাচ্চা হয় না! উনারা কই থেকে যেন একটা বাচ্চা নিয়ে এসেছে।
এরপর তার বন্ধু কোন জায়গা থেকে যেন একটা বাচ্চা চুরি করে নিয়ে আসে,, তাদের জন্য! এবং তাদেরকে এনে দেয়,, তারা বাচ্চাটাকে পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়! তাকে লালন-পালন শুরু করে! এভাবেই তাদের দিন কেটে যায়! অনেক খুশিতে তারা দিনযাপন শুরু করে।
হঠাৎ একদিন বাচ্চার বাবা মা পুলিশ নিয়ে ফারহানদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়! সাথে তার ওই বন্ধুও থাকে! এবং পুলিশ বলে এই বাচ্চাটাকে চুরি করে নিয়ে আসা হয়েছে! এবং তারা জোর করে ফারহান এবং তানজিন তিশার কাছ থেকে তাদের বাচ্চা নিয়ে যায়! তারা দুজন তখন পাগলের মতো কান্না করতে শুরু করে! ওই বাচ্চার পেছন পেছন ছুটতে শুরু করে! কিন্তু ওনারা উনাদের বাচ্চাকে নিয়ে চলে যায়।
এরপর একদিন তারা ঐ বাচ্চাকে দেখার জন্য ঢাকা শহরে আসে! এবং ঢাকা শহরে এসে দেখে বাচ্চাটা অনেক বড় হয়ে গেছে! তারা বাচ্চাটাকে দেখে অনেক কান্না করে! এরপর বাচ্চার জন্য যে খেলনা নিয়ে এসেছে! সে খেলনা বাচ্চাদের বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে,, তারা ওখান থেকে চলে যায়।
আসলে আমাদের জীবনটা অদ্ভুত! কখন কার কার সাথে কি হবে সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন! সৃষ্টিকর্তা কাউকে বাচ্চা দেয়! আবার কাউকে বাচ্চা দেয় না! এভাবেই জীবন পার করে দিতে হয়! এই নাটকের মধ্যে থেকে আমি এটাই বুঝতে পারলাম! তারা বাচ্চার জন্য হাহাকার করেছে! কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে বাচ্চা দেয়নি! একটা বাচ্চা তাদের কাছে,, কিছুদিনের জন্য এসেছিল! তাকেও কেড়ে নেয়া হয়েছে।
⊕ নিজস্ব রেটিংস ⊕
অভিনয় | ৮/১০ |
---|---|
কাহিনী | ৯/১০ |
সব মিলিয়ে | ৯/১০ |
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে যা দিয়েছেন,, সেটার উপর অবশ্যই আমাদেরকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে! যে জিনিসটা আমার না সেটা আমার বলে কখনো দাবি করা যাবে না! সন্তান নেই তাই বলে অন্যের সন্তান কখনো চুরি করে নিয়ে আসা যাবেনা! যদিও তারা চুরি করেনি,, কিন্তু তাদের বন্ধু তাদের খুশির জন্য একটা বাচ্চা চুরি করে নিয়ে এসেছিল! যে বাচ্চাটা ও তাদের কাছে,, বেশিদিন থাকতে পারলো না।
এক কথায় নাটকটা অসাধারণ! একটা সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের আবেগ অনুভূতি কতটুকু! এই নাটকের মধ্যে সেটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে! সবার সুস্থতা কামনা করে! আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
meraindia
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। নাটক টি পুরোপুরি না দেখলেও ফেসবুকে এই নাটকের কিছু অংশ দেখেছি৷ আসলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষা করেন। আপনি ঠিক বলেছেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থালতে হব। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
সন্তান একটি পরিবারের পরিপূর্ণ তা দেয়।সন্তানহীন দম্পতি ছাড়া এত সহজে কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। তাই বলে অসৎ পন্থা বেছে নেওয়া ঠিক নয়। অপূর্ণতা সবার জীবনেই
আছে। পরিপূর্ণ সুখী কেউ নয়। ভালো লাগলো নাটক টির কাহিনী শুনে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।এমন আর মজাদার মজাদার পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করবেন,এর অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
সন্তান ছাড়া একটা পরিবার অপূর্ণ। বাবা হওয়ার সাধ প্রত্যেকটা নারী পুরুষেরই রয়েছে। মা হতে না পারলে একটা নারীর জীবন পূর্ণতা পায় না আর বাবা হতে না পারলে একজন পুরুষের জীবন পূর্ণতা পায় না। কিন্তু বিধাতা না চাইলে কোন কিছুই কখনো সম্ভব হয় না ।আমরা হাজার চেষ্টা করলেও হয় না। একটা নারী বুঝে মা না হতে পারার কষ্ট কতটা । সবার জীবনে সব ইচ্ছে পূর্ণ হয় না ।মানুষের জীবনে কোনো না কোনো দিক দিয়ে অপূর্ণতা থেকেই যায়। তাই বলে অসৎ পথ বেছে নেওয়া ঠিক না। অসৎ পথ বেছে নিলে মনে শান্তি পাওয়া যায় না। জীবনের সব পূর্ণতা পাওয়া যায় না এটা ভেবেই আমাদেরকে বাঁচতে হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা নাটক আমাদের সাথে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আসলে আপু সত্যি কথা বলতে এই নাটকটি আমি দেখিনি কখনো কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে আমার মনে হয় না আর এই নাটকটি দেখতে হবে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউটি করেছেন।
আসলেই সৃষ্টিকর্তা মাঝেমধ্যে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। আমাদের যা আছে যতটুকু আছে তাই নিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট থাকাটাই উত্তম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা করছি, ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
Welcome