স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা!!!!!

in Incredible Indialast year
beach-7546731_1280.webp

ছবির উৎস

আমাদের জীবনে আমরা কত রকম শিক্ষাই গ্রহণ করে থাকি! জীবনের শিক্ষার কোন অভাব নেই! একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর ভালোবাসা কতটুকু মূল্যবান! আজকে আমি আপনাদের সাথে,, তেমনই একটা গল্প শেয়ার করব! আশা করি গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা

কলেজে অনার্স থার্ড ইয়ারের পড়ে,, অনামিকা! দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ অসম্ভব সুন্দর! তার বিয়ে হয়ে গেছে! আজকে হঠাৎ করেই স্যার ক্লাসে ঢুকে,, অনামিকা কে জিজ্ঞেস করলেন!

আচ্ছা মা জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে?
"ও একটু লজ্জা পেয়ে বলল! হ্যাঁ স্যার আমার বিয়ে হয়েছে,, আমার দুই বছরের একটা বাচ্চা আছে"

এরপরে স্যার প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট কে উদ্দেশ্য করে বললেন! আজকে আমরা সুন্দর একটা খেলা খেলব! যেই খেলার মধ্যে আমরা আমাদের প্রত্যেকের প্রিয় একজন মানুষের নাম জানব।

এরপরে স্যার আবার অনামিকার কাছে গেলেন! এবং তাকে বললেন! আজকে ধরে নাও, তুমি একজন শিক্ষক! স্যার অনামিকার হাতে ডাস্টার এবং ছক দিয়ে দিলেন! এবং তাকে বললেন,, ব্ল্যাকবোর্ড এর কাছে যাওয়ার জন্য,, এবং তার দশজন প্রিয় মানুষের নাম লেখার জন্য।

অনামিকা ব্ল্যাকবোর্ডে তার দশ জন প্রিয় মানুষের নাম লিখল! এরপরে স্যার তাকে বললেন,, এরা কে তোমার কি হয়? ডান পাশে তাদের সম্পর্কের একটা নাম লিখ!

এরপরে অনামিকা প্রত্যেকটা নামের সামনে,, তার সাথে সম্পর্কের কিভাবে জড়িয়েছে তাদের একটা নাম লিখল! ওখানে তার বাবা মা বা প্রিয় মানুষের পাশাপাশি,,, তার দুই জন প্রতিবেশীর নাম ও ছিল।

এরপরে হঠাৎ করে স্যার বললেন,, এখান থেকে তুমি পাঁচজনের নাম মুছে ফেলো,, অনামিকা একটু অবাক হলেন! এবং শেষমেষ সে পাঁচ জনের নাম মুছে ফেলল!

এরপরে স্যার একটা মুচকি হাসি দিয়ে তাকে বললেন! ব্ল্যাকবোর্ডে যে পাঁচ জনের নাম আছে! ওখান থেকে তুমি আরো তিন জনের নাম মুছে ফেলো।

অনামিকা এবার ভাবনায় পড়ে গেল! ক্লাসের প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট খুব টানটান উত্তেজনা নিয়ে বিষয়টাকে লক্ষ্য করার চেষ্টা করছে! এবং স্যার দেখছে অনামিকার সাইকোলজি কিভাবে কাজ করে! সবাই হা করে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকলো।

এরপরে সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড তার মা এবং তার বাবার নাম ব্ল্যাকবোর্ড থেকে মুছে ফেলল!

এরপরে ব্ল্যাকবোর্ডের মধ্যে নাম ছিল মাত্র দুইটা! একটা তার হাজবেন্ডের নাম,, আরেকটা হচ্ছে তার একমাত্র ছেলের!

স্যার বলল এবার তুমি এই দুইজন থেকে একজনের নাম মুছে ফেলো! অনামিকা ঠায় দাঁড়িয়ে রইল! কি করবে বুঝতে পারছে না! তার চোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরতে শুরু করল!

এরপরে স্যার বলল,, তুমি কান্না করো না! এটা একটা সাইকোলজির খেলা! আমি তোমার প্রিয় মানুষের নাম মুছে ফেলতে বলেছি! তাকে মেরে ফেলার জন্য বলিনি!

এই খেলাটা যে উত্তেজনা আর মজা দিয়ে শুরু হয়েছিল! এখন আর সেই মজা ক্লাসের মধ্যে উপলব্ধি করা যায় না! সবাই খুবই উত্তেজনা সহকারে তাকিয়ে আছে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে! কি হতে যাচ্ছে সেটা দেখার জন্য!

শেষমেষ অনামিকা তার ছেলের নামটা,, ব্ল্যাকবোর্ড থেকে মুছে ফেলল!

  • এরপরে স্যার অনামিকার কাছে গেলেন! এবং তাকে বললেন তোমার মনে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি খুবই দুঃখিত! এবং পকেট থেকে একটা গিফটের বক্স বের করে দিলেন! বললেন এখানে দশটা গিফট আছে। তুমি তোমার আপন মানুষ গুলোকে,, এই গিফট গুলো উপহার হিসেবে দিও।

এবার তুমি আমাকে বল! তুমি প্রথম পাঁচ জনের নাম কেন মুছে ফেলেছিলে! তখন অনামিকা বলল প্রথম পাঁচজন আমার বন্ধু এবং আমার পাড়া প্রতিবেশী ছিল!

এরপরে স্যার জিজ্ঞেস করলেন,, বাকি তিনজনের নাম কেন মুছে ফেলেছ! তখন অনামিকা বলল বাবা মা চিরদিন বেঁচে থাকবে না! সেজন্য তাদের নাম মুছে ফেলেছি! আর বেস্ট ফ্রেন্ড একটা সময় আমাকে ছেড়ে চলে যাবে! বেস্ট ফ্রেন্ড জীবনে,, না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না!

কারণ আমার কাছে মনে হয়! আমার হাজব্যান্ড এবং আমার ছেলে,, আমার সবচাইতে ভালো বেস্ট ফ্রেন্ড।

এরপরে যখন দুই জনের নাম থেকে একজনের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছিলেন! তখন আর আমি নিতে পারছিলাম না! কি করব বুঝতে পারছিলাম না!

এরপরে নিজে নিজে একটু চিন্তা করলাম! ছেলে যখন বড় হবে একটা সময় হয়তোবা তার পরিবার-পরিজনদের জন্য,,, আমাকে ছেড়ে চলে ও যেতে পারে!

তবে ছেলের বাবা যার সাথে আমি আল্লাহর কালাম পড়ে একটা বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি! সে যদি আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসা এবং স্ত্রীর সম্মান দিয়ে থাকে! তাহলে সে কখনোই আমাকে ছেড়ে যাবে না!

আর এখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি! একজন বাঙালি নারী তার স্বামীকে কতটুকু সম্মান করে,, কতটুকু ভালোবাসা থাকলে,, তার প্রত্যেকটা প্রিয় মানুষের লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও! প্রত্যেকটা মানুষের নাম মুছে ফেলে দিয়ে! শুধুমাত্র স্বামীর নামটাই প্রিয় মানুষের দলে রেখে দেয়।

এখান থেকে আমি যতটুকু বুঝলাম! একজন মেয়ে তার হাজব্যান্ড কে কতটা ভালোবাসে,,, এখানে সেটা প্রকাশ পেয়েছে!

sheet-music-6305620_1280 (1).jpg

ছবির উৎস

সম্পর্কটা যেমনই হোক না কেন? সেটা কে টিকিয়ে রাখার জন্য! একজনের প্রতি আরেকজনের সম্মান এবং ভালোবাসাটা খুব প্রয়োজন! ভালোবাসা থাকলে সম্পর্ক অটুট ভাবে টিকে থাকে,, অনেক বছর! বেঁচে থাকুক প্রত্যেকটা ভালোবাসার মানুষ,, এবং প্রত্যেকটা মানুষের প্রিয়জন!

আজ আর লিখছি না! এ পর্যন্তই থাক! সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন! এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম! আল্লাহ হাফেজ!

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Loading...
 last year 

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন যা পড়ে খুব ভালো লাগল। আমরা সবাই জানি বিয়ের মধ্য দিয়ে পরিবারের সূচনা হয় ৷ বিয়ের মাধ্যমেই স্বামী-স্ত্রীর দুটি জীবনের সম্পর্ক একটি মাত্র স্রোতে প্রবাহিত হয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে স্বামীর ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আর সংসারের সুখ-শান্তির চাবিকাঠি স্ত্রীর কাছে। সেজন্য স্বামীর প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে স্ত্রীকে অবহেলা না করে খুশি রাখা। বিয়ের পর সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও সম্পর্কে নানা বাধা বিপত্তি আসতেই পারে। তাই সকল অবস্থায় স্বামী স্ত্রী এক থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরো অটুট থাকবে। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন

 last year 

আপনি আজ খুবই মূল্যবান একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা। আসলে প্রতিটা স্ত্রী তার স্বামীকে অনেক ভালোবাসে শুধু স্ত্রীর স্বামীকে ভালবাসলে জীবন সুন্দর হয় না পাশাপাশি স্বামী কেউ তার স্ত্রীকে ভালোবাসতে হবে তবেই তাদের জীবন অনেক সুন্দর হবে।

এবং আপনি যে গল্পটি আজ শেয়ার করেছেন আসলে একটি নারীর জন্য খুবই দুঃখজনক হয় সে তাকে কতটা ভালোবাসে প্রমাণ করার জন্য একটি নারীর জন্য তার স্বামী অনেক কিছু।

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68423.64
ETH 2659.46
USDT 1.00
SBD 2.71