"বাস্তবতা নিয়ে এলোমেলো চিন্তা................."
কেউ যদি আপনাকে বুঝতে না চায় হয়ে যান লবণ। কেননা লবণ এমন একটা জিনিস যেটা অতিরিক্ত দিলে খাওয়া যায় না, প্রয়োজনে অনুযায়ী দিলে স্বাদের তুলনা হয় না। সময় তো তার আপন মনে চলতে থাকে। কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন, মূল্যবান সময় চলে যাওয়ার পর সেটা কি কখনো ফিরে পাওয়া যায়।
মাঝে মাঝে কখনো কবরস্থান থেকে ঘুরে আসবেন, কেননা এ জীবনে আপনি যা গড়ে তুলেছেন সেটা কিছুই আপনার সাথে যাবে না। একমাত্র দিন শেষে ওই কবরস্থানের মাটি ঐ কবরস্থানের পাতা আপনার সঙ্গি হবে। এই পৃথিবীতে যখন এসেছি মরণ একদিন হবেই। তাই সবাইকে বলছি প্রিয় মিথ্যা কথা বন্ধ করে দিন, কেননা একজনের ইশারায় আপনার নিঃশ্বাস হবে বন্ধ চোখ হবে অন্ধ, দেহে পচন ধরে হয়ে যাবে গন্ধ। এই কথাগুলো থেকে চিন্তা করে হলেও নিজের মনুষ্যত্বের মাঝ থেকে একটু নিয়ে নেন শিক্ষা, আর ভেবে নিয়েন এটাই হচ্ছে আপনার জীবনের সবচাইতে সর্বশ্রেষ্ঠ পরীক্ষা।
পৃথিবীর লোভ লালসা সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে, কেননা আপনি সত্যের দরজায় তালা দিয়ে অনেক আগেই হয়ে গেছেন অন্ধ। সবকিছু বাদ দিয়ে আপনি নিজের জায়গা থেকে হয়ে যান খাঁটি। একটা কথা মাথায় রাখবেন ফকির মিসকিন ধনী গরিব, সবার জন্যই বরাদ্দ ওই সাড়ে তিন হাত মাটি
কত অহংকারী মানুষ এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে হয়ে গেছে সাবেক। তারপরেও এ পৃথিবীর কিছু মানুষের পরিবর্তন হয়নি বিবেক। আমরা সবাই জানি ওপারে সফল হওয়ার প্রশ্ন আগে থেকেই হয়ে গেছে ফাঁস। কিন্তু ওপারের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য, আপনার জ্ঞানের মাত্র যথেষ্ট নয়। সেটা একমাত্র আপনার সৎ কর্মের উপর নির্ভর করে।
একটা কথা একটু চিন্তা করে দেখুন তো? প্রবাসির কষ্ট কেউ বোঝে না, প্রিয় মানুষগুলো এই পৃথিবীতে ত্যাগ করে চলে যায় আর দেখা হয় না। আত্মীয়-স্বজন পরিবার-পরিজন প্রিয় মানুষ, সবার কাছে প্রবাসী শুধু আবদারের একটা মেশিন, কিভাবে পূরণ করবে সেটা নিয়ে দিনরাত কাটে তার দুশ্চিন্তায়।
মেয়েরা হচ্ছে সংসার গড়ার অন্যতম মেশিন। সারাদিন কাজ করার পরেও তাদের শুনতে হয় বাজে কথার ঝুড়ি। সময়ের সাথে আমি মনে করি জীবনের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ পরিবর্তন করা দরকার। কেউ আমাদেরকে যদি গুরুত্ব দেয়া বন্ধ করে দেয়। তার সাথে দূরত্ব বজায় রাখাটাই উত্তম। তাহলেই সে মানুষটা আপনার গুরুত্ব বুঝতে পারবে।
জীবনটা ক্ষণস্থায়ী এটা নিয়ে এত অহংকার করা মোটেও ঠিক না। কখন আপনি এই পৃথিবী থেকে চলে যাবেন, সেটা আপনি নিজেও জানেন না। তাই সর্বদা নিজের জায়গা থেকে নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন এবং সর্বদা সত্যের পথে চলে খাঁটি ঈমানদার হিসেবে, এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন। অন্ততপক্ষে দিন শেষে আপনি ওপারে গিয়ে ভালো থাকতে পারবেন। ধন্যবাদ।
বাস্তবতা বড় কঠিন জিনিস, অবশ্যই আমাদের জীবনের সব সময় কবরের কথা চিন্তা করতে হবে, কারণ আমাদের প্রত্যেককে সেখানে যেতে হবে, যে যে রকম তার সাথে সেরকমই ব্যবহার করা প্রয়োজন, সুন্দর উপস্থাপনা খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খুবই বাস্তবিক একটু পোস্ট লেগেছে, জীবনে অনেক সময় অনেক কারণেই নিজের প্রতি বিরক্ত চলে আসে।। আর হ্যাঁ সংসার জীবনে ঝামেলা থাকবেই অশান্তি থাকবেই তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে হবে না।। আর হ্যাঁ প্রতিটি মেয়েরই যে একরকম শ্বশুরবাড়ি হবে এরকমও কথা না অনেক মেয়ে আছে অনেক সুখে বা শান্তিতে থাকে।।
আমরা সাধারণত জীবনকে যতটা সহজ ভাবি তাহলে আমাদের জীবন ততটা সহজ নয়। যদি আমরা সবকিছু মেনে নিয়ে চলতে পারি তাহলে আমাদের জীবনটা সহজ হয়ে যায়। তবে প্রবাসীরা হচ্ছে যোদ্ধা।নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেয় পরিবারের জন্য। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব ও মৃত্যুর অনিবার্যতা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য খুবই মূল্যবান। সত্যিই, এই পৃথিবীর লোভ-লালসা, অহংকার আর মিথ্যা সবই একদিন ফুরিয়ে যাবে। আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে আমাদের আসল সফলতা আমাদের সৎকর্ম ও নৈতিকতার উপর নির্ভর করে। প্রবাসীদের কষ্টের কথা যেমন বলেছেন, সেটা খুবই বাস্তব। প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকার কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না। তবুও, সৎ থেকে নিজেদের লক্ষ্য ও দায়িত্ব পালন করে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।