কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়ের (শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা। কি অবস্থা সবার কেমন আছেন। আশা করি মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে। আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে,
আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের সামনে আবারো হাজির হয়ে গেলাম।
আমি বা আপনি সবাই জানে জীবন মানেই কঠোর পরিশ্রম। আর কঠোর পরিশ্রম মানেই সাফল্যের পেছনে দৌড়ানো।তবে এই কঠোর পরিশ্রমের জন্যও আমাদের অনেকগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। আর আমি এ সকল উপায়গুলো নিয়ে আমার গত তিনটা পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। কিভাবে কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়। আপনি নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন। আমার ওই পর্বগুলো পড়লে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
আজকে আমি আপনাদের সাথে কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়ের, শেষ পর্ব নিয়ে আলোচনা করব। আর এই পর্ব আপনারা পড়লে বুঝতে পারবেন। আপনারা খুব সহজেই আপনাদের জীবনে কিভাবে কি কাজ করলে। আপনারা খুব সহজেই কঠোর পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় গুলো, নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন।
০৭ আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে
আমরা যদি দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা নিয়ে কোন কাজে হাত নেই। তাহলে কিন্তু আমাদের শরীরটাকে অবশ্যই ফিট রাখতে হবে। আর আমাদের শরীরকে ফিট রাখার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করার কোন বিকল্প নেই।
আমাদের মধ্যে যারা সাধারণ মানুষ রয়েছে তারাও কিন্তু শরীর চর্চা করে। কারণটা হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকেরই সুস্থ থাকা প্রয়োজন। প্রত্যেকেরই ভালো থাকতে হয়। আর যে সকল ব্যক্তি নিয়মিত শরীর চর্চা করে। ব্যায়াম করে তারা কিন্তু দীর্ঘদিন তাদের শরীরটাকে সুস্থ রাখতে পারে।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
আপনি যদি আজকে আপনার শরীরটাকে ভালো রাখতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত প্রত্যেকটা দিন একটা টাইমমেন্ট করে শরীর চর্চা করতে হবে। ব্যায়ামের মধ্যে অনেক রকমের ব্যায়াম রয়েছে। আপনি যে সকল ব্যায়াম আপনি খুব সহজে আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। সেই ব্যায়াম গুলোকে, আপনি শরীরচর্চা করার জন্য নির্বাচন করতে পারেন।
আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা অনেক স্বাস্থ্যবান হওয়ার কারণে। বেশিক্ষণ শরীরচর্চা করতে পারে না। কিংবা কঠোর পরিশ্রম করতে গেলে অল্পতেই তারা অনেক ঘেমে যায়।তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব আপনারা আপনাদের মেদ ভুঁড়ি কমানোর জন্য। কিছু খাবার রয়েছে আপনারা চাইলে সেগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন। তারপর সেগুলো সেবন করে আপনাদের মেয়াদ ভুঁড়ি কমিয়ে নিতে পারেন।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
আমরা যখন আমাদের খাবারের দিকে লক্ষ্য করব এবং যখন শরীর চর্চা করব। ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীরটাকে ফিট রাখবো। ঠিক তখনই কিন্তু আমরা আমাদের এই কঠোর পরিশ্রমের, যে একটা পর্যায়ে রয়েছে যে একটা নিয়ম রয়েছে। সেগুলো মেনে আমরা অনেকক্ষণ যাবৎ কঠোর পরিশ্রম করতে পারব।
আপনি যদি কোন কাজ হাতে নেন। সেই কাজের মধ্যে আপনাকে টানা অনেকক্ষণ কাজ করতে হবে। কিন্তু দেখা গেল আপনি দশ মিনিট কাজ করার পরে। আপনার মধ্যে অলসতা চলে এসেছে। কারণ আপনার শরীরটা অনেক ভারি। কারণ আপনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না।তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন না।কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার শরীরটাকে ফিট রাখতে হবে। আপনি স্বাস্থ্যবান এবং সুস্থ একজন মানুষ হতে হবে। তাহলেই আপনি অনেক সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন। এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
- আমি বলবো না যে আপনি সারাক্ষণ শুধু শরীরচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। না আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ব্যায়াম করবেন। এই দশ মিনিট যখন আপনি শরীর চর্চা করবেন। আপনার সারাদিনের জন্য যথেষ্ট। আপনার সারাদিন আপনার শরীর চাঙ্গা থাকবে। আপনি অনেকক্ষণ যাবৎ কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
- আর তাই আমি বলব আপনার কঠোর পরিশ্রম বিষয় গুলো নিজের হাতে নিয়ে আসার জন্য।আপনাকে অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। এছাড়া আর কোন বিকল্প পথ আমি দেখতে পাচ্ছি না। কারণ আপনার শরীর যদি স্বাস্থ্য ভালো না থাকে। সুস্থ না থাকে তাহলে আপনি কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন না। এবং এর উপায় গুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন না।তাহলে আপনি কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন।
০৮ আপনাকে অবশ্যই সমাজের কঠোর পরিশ্রমী মানুষের সাথে চলাচল করতে হবে।
আমরা নিজেরা ঘরে বসে চিন্তা করি আমরা কঠোর পরিশ্রম করব। কিন্তু আমরা যখন বাহিরে যাই সমাজের মানুষগুলোর সাথে চলাফেরা করি। তাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা অনেকটা অলস প্রকৃতির। আপনি যখন আপনার একটা বিষয় তাদের সামনে তুলে ধরেন। কঠোর পরিশ্রম করার একটা ব্যাখ্যা তাদের কাছ থেকে পাওয়ার আশা করেন। তখন কিন্তু তারা অনেকেই অলসতা প্রকাশ করে। এবং আপনাকেও সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে, অনীহা প্রকাশ করে।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
আর তাই আমি এই বিষয়ে আপনাকে বলব। আপনি ঠিক ওই মানুষগুলোকে বেছে বেছে সমাজে ওই মানুষগুলোর সাথে চলাফেরা করার চেষ্টা করেন। যারা কিনা কঠোর পরিশ্রম করে এবং সাফল্যের পেছনে দৌড়ায়। সততার সাথে নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে। নিজেরাই জীবনটাকে পরিবর্তন করে।
সবার দ্বারা যেমন সাফল্য অর্জন করা সহজ নয়। ঠিক তেমনি সবার তারা কঠোর পরিশ্রম করাটাও সহজ নয়। আপনার সাথে ওই মানুষগুলোর উঠাবসা করা প্রয়োজন যারা কিনা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে। রাতে একটু বিশ্রাম নেয়।যারা কিনা নিজেদের সত্যতা দিয়ে তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে।নিজেদের অল্প টাকা দিয়ে সুখে বসবাস করার চেষ্টা করে।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
অসাধু উপায়ে আপনিও অনেক টাকার মালিক হতে পারবেন। তবে জীবনে সুখী হতে পারবেন না। দেখবেন আপনাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে। যারা কিনা অসাধু উপায়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। কিন্তু তাদের ঘরে শান্তি নেই।তাই আমি বলব কঠোর পরিশ্রম করে যদি অল্প টাকা ইনকাম করেন। ওই টাকার মধ্যেও শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই মানুষগুলোর সাথেই আপনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করবেন। ওই মানুষগুলোকেই নিজের বন্ধু হিসেবে মেনে নেবেন। যারা কিনা আপনার কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আপনাকে উৎসাহ দেবে। যারা কিনা আপনি যখন কোন একটা সমস্যা নিয়ে তাদের কাছে যাবেন।এই কঠোর পরিশ্রমটা কিভাবে করা যায়। তারা আপনাকে সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দিয়ে দেবে। ওই মানুষগুলোর সাথে সবসময় চলাফেরা করার চেষ্টা করবেন।
![]() |
---|
ছবির উৎস কপিরাইট মুক্ত pixabay
সর্বশেষ কথা
আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই কথা পরিশ্রম করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তার উভয়গুলো অনেকেরই অজানা। যদি তারা সম্পূর্ণ উপায় গুলো না, জেনেও অল্প কিছু উপায় নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করে। তারা কিন্তু সাধারণ একজন মানুষের থেকে। অসাধারণ একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগে না।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে। আপনি ওই সাধারণ মানুষ থেকে নিজেকে একজন অসাধারণ কঠোর পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে সমাজে উপস্থাপন করার জন্য। আমার এই লেখা থেকে আপনি যদি সামান্য পরিমাণেও নিজের জীবনে কোন কিছু আয়ত্ত করতে পারেন। তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সফল হবে।
আপনার কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠার পেছনে, আমি কতটুকু সাহায্য করতে পেরেছি, আমাকে অবশ্যই আমার কমেন্ট বক্সে জানাবেন। কারণ আপনাদের এক একটা মূল্যবান মতামত আমার জন্য অমূল্য সম্পদ।
আমার লেখাগুলো থেকে যদি আরো কোন ভালো মন্তব্য আপনার থাকে। বা উপায় আপনার জানা থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। কারণ আমিও জানতে চাই এর চাইতে আরো ভালো কিছু যদি উপায় জানা থাকে। সেগুলোও আমার মধ্যে আয়ত্ত করে নিতে।
- আজ এ পর্যন্তই সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আবারো নতুন কোন লেখা নিয়ে হাজির হব। আপনাদের মাঝে সেই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।