সৎ ব্যক্তি শত আঘাতের পরেও ভেঙে পড়ে না!!!
আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে,,, যারা সৎ সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে! কিন্তু সমাজের এমন কিছু কারণ থেকে যায়,, যার কারণে তাদের সততার জন্য,,, তাদের প্রতিনিয়ত লড়াই করে বাঁচতে হয়।
আমি আপনি যে কেউই হোক না কেন! বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে বেঁচে থাকাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে! আর সৎ ব্যক্তির কথা যদি বলি! তাহলে তার প্রত্যেকটা পদে পদে বাধা সৃষ্টি হয়।
সৎ সাহস আমাদের প্রতিদিন লড়াই করে বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস! |
---|
বর্তমান সমাজের মানুষ, এমন কেন? কেন সৎ ব্যক্তিকে কেউ পছন্দ করেনা! কেন সৎ ব্যক্তিকে একটু আড় চোখে দেখা হয়!
তেমনি একজন মানুষের কথা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি! ওই মানুষটার জীবন থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু,,, শিক্ষা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
আমাদের হাই স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন! উনার নামটা আমি গোপন করছি।
উনি সব সময় সততার সাথে চলার চেষ্টা করতেন! সবসময় চেষ্টা করতেন উনার কাজে যেন কোনরকম ভুল না হয়! কিন্তু স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা,,, প্রায় সময় ওনাকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করত।
আমরা যখন ক্লাস টেনে পড়ি! সামনে আমাদের এসএসসি পরীক্ষা! তো আমাদের স্কুলের অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না! তবে বর্তমান ইস্কুলের অবস্থা মোটামুটি ভালো! তবে আমরা যখন স্কুলে পড়তাম,, তখন স্কুলের অবস্থা কিছুটা দুর্বল ছিল।
স্কুলে ক্লাস তেমন ছিল না! যেহেতু ক্লাস টেনে আমরা পড়তেছি! সেহেতু আমাদের কিছু বিভাগীয় বই ছিল।
সেই ক্লাসগুলো করার জন্য আমাদেরকে একটা ক্লাস থেকে আলাদা হয়ে! দুইটা তিনটা ভাগে ভাগ হয়ে যেতে হতো! যার কারনে আমাদের জন্য কোন ক্লাস রুম খালি ছিল না! সেজন্য আমরা স্কুলের ছাদে একটা ফাঁকা জায়গায় নিরিবিলি,,, ওখানে বসে স্যার আমাদের ক্লাস করাতেন।
একদিন টিফিনের পর প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে,, আমরা কেউ স্কুলে যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সাথেই দুজন আমাদের ফ্রেন্ড ওরা স্কুলে ছিল! যার কারণে স্যার ওদের ক্লাস নেয়ার জন্য আলাদা একটা কক্ষে নিয়ে গিয়েছিল।
এরপরে আমরা যতটুকু শুনলাম! ওই স্যারকে বদনাম করার জন্য,,, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা তার নামে খুব খারাপ একটা ঘটনা প্রচার করতে থাকে,, সমাজের মানুষের কাছে।
যেটা শুনে আসলে আমরা নিজেরাও স্যারকে অনেক ঘৃণা করতে শুরু করি! এবং আমাদের সেই দুই ফ্রেন্ডকেও অনেক ঘৃণা করা শুরু করি! এবং তাদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই।
কিন্তু স্যার খুব সহজ ছিলেন,, তাকে সমাজের মানুষ বিভিন্ন কটু কথা বলার পরেও! তিনি সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলার চেষ্টা করতে।
এর পরে হয়তোবা সৃষ্টিকর্তার করুন মহিমা! স্যারের উপর স্যার এই ঘটনা মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন! এবং আমাদের ফ্রেন্ড আমাদেরকে বলে,, স্যার এমন কোন কাজ আমাদের সাথে করেননি! যেটা সমাজে প্রচার করা হচ্ছে।
এরপরে আমরা বুঝতে পারি! আসলে সৎ ব্যক্তি যে কোন পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন! আল্লাহতালা নিশ্চয়ই তাকে রক্ষা করে থাকেন! কথায় আছে সত্যের নৌকা কখনো ডুবে যায় না।
এখান থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে! যে আমরা যদি নিজেরা সৎ থাকি! সমাজের মানুষ আমাদেরকে যাই বলুক না কেন? আমরা শুধু চুপ করে তাদের সাথে কোন কথা না বলে! নিজেদের সততার পরিচয় এবং প্রমাণটা সঠিকভাবে দেয়া উচিত।
সবাইকে সততার লড়াইটা নিজের জায়গা থেকে,, সঠিকভাবে পালন করা উচিত! আমাদের জীবনে আমরা সৎ থাকলেই,,, আমরা সততার লড়াই টা একা একাই করতে পারব! এটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আজ আর লিখছি না! এ পর্যন্তই থাক! সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন! এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
আমরা সবাই একটি কথা শুনে আসি অন্যায়ের পথে না চলে সত্যের পথে এক ঘন্টা বাঁচতে চাই তবুও অন্যায় করে ১০০০ বছর বেঁচে কোন লাভ নাই।
খুব সুন্দর একটি পোষ্ট আপনি আজ আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক বিষয় জানতে পারলাম। আমাদের পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে,, যারা নিজেদের অন্যদের জন্য বিলিয়ে দিয়ে থাকে বিনিময়ে,, তারা আমাদের সমাজ থেকে ঘৃণা ত্রিস্কার পেয়ে থাকেন।
যেমন টা আপনার শিক্ষক এর সাথে হয়েছে। এমন শিক্ষক আছে বলেই আমাদের সমাজ এখন ও ভালো আছে।
আমাদের সমাজে কেউ ভালো কিছু করার চেষ্টা করলে তাকে নানা ভাবে আমরা নিচে নামানোর চেষ্টা করি,,,,কিন্তু খারাপ কাজ করলে প্রতিবাদ টুকু ও করি না,,,,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বর্তমান সময় সাপেক্ষে পোস্ট করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।