"ঠোঁটের নিচের সেই তিলটা"
ঠোঁটের নিচে তিল থাকলে নাকি প্রেম করে বিয়ে হয়। কথাটা আমিও অনেকবার শুনেছিলাম। তবে বাস্তবে কারো জীবনে এমন হয়েছে কিনা, সেটা আমার জানা নেই। তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে এমনি একটা গল্প নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।
নতুন একটা গল্পে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকে আবারো আপনাদের সামনে খুব সুন্দর দুষ্টু মিষ্টি একটা প্রেমের গল্প নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
দেখুন তো অনেকক্ষণ তো আপনাদের সাথে বকবক করে ফেললাম, কিন্তু গল্পই শুরু করতে পারলাম না। চলুন বেশি বকবক না করে, গল্পে ফিরে যাওয়া যাক।
আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলব
সামনে বসে থাকা ভদ্রলোকটি চুপচাপ বসে আছে।
হঠাৎ করেই বলে উঠলাম, আমার ঠোঁটের নিচে তিলটা দেখতে পাচ্ছেন।
পাত্রী দেখতে এসে যদি পাত্রীর মুখে হঠাৎ করেই এই কথাটা শুনতে পায়। তাহলে যে কোন মানুষই অবাক হয়ে যাবে। সেটা আমি নিজেও একটু একটু বুঝি, কিন্তু তারপরেও এই অস্বাভাবিক প্রশ্নটা করেই বসলাম।
আমার সামনে থাকা ভদ্রলোকটি একটু অবাক হলেন, এবং খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় আমাকে বলে উঠলো
জি হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি।
আমার সামনেই একটা টি টেবিল রাখা, টি টেবিলের উপরেই দুই কাপ চা রাখা আছে। তার সাথে একটা চিনির আলাদা পেয়ালা ও দেয়া আছে, সাথে একটা চামচ। এক কাপ চা হাতে নিয়ে চিনে মেশাতে মেশাতে বলে উঠলাম।
আচ্ছা ঠোঁটের নিচে তিল থাকলে নাকি প্রেম করে বিয়ে হয়! চায়ের মধ্যে চিনি কয় চামচ দিব।
ভদ্রলোক টা একটু মুচকি হেসেই বলে উঠলো এক চামচ। ও আচ্ছা... তাহলে আপনি বিয়ের আগেই প্রেম করতে চাইতেছেন।
উনার কথাটা শুনেই একটা মুচকি হাসি দিয়ে, আবারো পাল্টা প্রশ্নের ঝুড়ি ওনার দিকে ছুড়ে মারলাম।
ও আচ্ছা আপনার নামটা যেন কি বলেছিলেন।
আবিরের সামনে আমি যতটা ভদ্র মেয়ে সে যে বসে আছি। আমি আসলে ততটা ভদ্র নই। আবিরের সাথে একা কথা বলার জন্য যখন মা আমাকে রুমে দিয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার সময় মা বলেছিল, তোকে একটা অনুরোধ করছি, এই সহজ সরল ছেলেটাকে প্যাঁচে ফেলে দিস না।
অন্য সময় হলে আমি হয়তোবা মাকে একটু ভয় দেখাবার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আজকে কেন যেন তেমন আর কোন কিছুই করলাম না। চুপচাপ ভদ্রতা বজায় রেখে বসে রইলাম, ভদ্র মেয়ের মত।
যাক বাবা অবশেষে পাত্রপক্ষ ঘর থেকে বিদায় নিল। এতক্ষণ শাড়ি পড়ে বসে থাকতে থাকতে আমি পুরো ঘেমে যাচ্ছি। রুমে এসেই শাড়িটা খুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
এর মধ্যেই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি মায়ের আগমন। হঠাৎ করেই মাকে জিজ্ঞেস করে বসলাম, কি হলো আজকে এত দেরি হল কেন।
মা কেমন যেন ভ্রু কুঁচকাতে কুঁচকাতে আমাকে বলল, কই কিসের দেরি হল।
আমি একটু অবাক দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকিয়ে, বললাম আগের বার তো দেখতাম পাত্রপক্ষ ঘর থেকে বের হতে দেরি, তুমি আমার রুমে আসতে দেরি হতো না।
মা আমাকে ধমক দিয়ে বলল, একদম বাজে কথা বলবি না। এখন আমাকে বলতো ছেলেটাকে তোর কেমন লেগেছে।
আমি বলে উঠলাম হুম।
মা মুচকি একটা হাঁসি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল।
সত্যিই বলতো আসলে কেমন লেগেছে।
আচ্ছা মা, তুমি এইভাবে বারবার কেন আমাকে জিজ্ঞেস করছ বলতো, এভাবে যদি বারবার জিজ্ঞেস করো, তাহলে কিন্তু আমি কনফিউজড হয়ে যাব।
আচ্ছা ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি আর তোকে জিজ্ঞেস করবো না। যাক আল্লাহর অশেষ কৃপায় আলহামদুলিল্লাহ শেষমেষ.........
আমি পুরো শাড়িটা খোলার পর, মা আমার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে, তার কথাটা থামিয়ে দিল।
আর আমাকে বলতে শুরু করলো।
কিরে এটা তুই কি করলি, তুই প্যান্ট আর টি শার্টের উপরে শাড়ি পরে নিয়েছিলি।
আরে হ্যাঁ, না মানে পরেছি ত কি হয়েছে?
কি হয়েছে মানে কি? ওরা যদি একবার দেখে ফেলতো!
আচ্ছা মা কি শুরু করলে বলতো, ওরা দেখেনি তো প্লিজ এটা নিয়ে আর তুমি কথা বাড়ি ও না।
চলবে..........🥀🥀🥀🥀🥀
আজ এ পর্যন্তই থাক, গল্পটা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না! গল্পের বাকি অংশ নিয়ে আবারও হাজির হয়ে যাব আপনাদের সামনে! সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বলছি আমার তো উপরের ঠোঁটে তিল আছে, আমার কি সেইজন্য কেউ জুটছে না!🤔
না না ঠিক তা নয়! ইনশাআল্লাহ অবশ্যই জুটবে সৃষ্টিকর্তা যে দিন চাইবে। অনেক ভালো একজন আসবে ইনশাআল্লাহ।
আপু আমার তো ঠোঁটের নিচে দুইটা তিল তাহলে আমার কি হবে চিন্তায় পড়লাম তো এবার😀। যাই হোক সত্যিই গল্পটা অসাধারণ ছিলো। খুব ভালো লাগলো পড়ে। আশা করছি পরবর্তীতেও এমন সুন্দর সুন্দর গল্প শেয়ার করবেন।।
সত্যিই আপনার পুরো গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমি অনেক আগে শুনেছিলাম ঠোঁটের নিচে তিল থাকলে নাকি মানুষ প্রেমে পড়ে। আপনার গল্পটিও ঠিক সেরকমই ছিল।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।