"সাফল্য অর্জন করতে..... এই বিষয়গুলো মেনে চলুন!"
 |
|---|
সাফল্য কত দূর জানিনা ক্লান্ত হবো কিন্তু থেমে যাবো না ইনশাল্লাহ।
আমার জীবনের লক্ষ্য একটাই, আমাকে সব ধরনের বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে গিয়ে জীবনের সফল হতে হবে। আমি জানি জীবনের সফল হওয়া এতটা সহজ নয়। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম অধ্যাবসায় আর সততা দিয়ে যদি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। তাহলে সফল হওয়া এতটাও কঠিন নয়।
অনেকের কাছেই সাফল্য হচ্ছে রাতের শেষ বাসটি, আবার অনেকের কাছেই সাফল্য হচ্ছে সোনার ডিম পাড়া মুরগি। অনেকেই শুধু চিন্তা করে সে কি আদৌ সেই সোনার ডিম পাড়া মুরগিটা পাবে? আবার অনেকেই চিন্তা করে আমি কি রাতের শেষ বাসটি ধরতে পারব? সেই বাসের টিকেট কি আমি নিতে পারবো? এমনই লক্ষ্য অনেকের সাফল্য অর্জন করা!
ঠিক তেমনি একটা বিষয় ধরুন আমরা যখন আকাশে ঘুরে উড়াই। তখন আমরা অনেকেই কিন্তু বাতাসের সাথে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারি না। আপনার জীবনে সাফল্যটাও ঠিক তেমন। একটা বিষয় আপনি যদি ওই বাতাসের সাথে আপনার ঘড়ির সুতোটা ঠিকমতো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে আপনি ঘুড়ি আজ আপনি আকাশে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুড়ি উড়িয়ে বেড়াতে পারবেন। আর যদি আপনি সঠিকভাবে সুতার নিয়ন্ত্রণ নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে না পারেন। তাহলে আপনার পক্ষে ঘন্টার পর ঘন্টা তো দূরের কথা, একটা মিনিটও আপনি আকাশে ঘুড়ি উড়াতে পারবেন না।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য বাতাসের সাথে সুতোর টান নিয়ন্ত্রণ নিজের মধ্যে নিয়ে আসবেন। নাকি সেই বাতাসের সাথে নিজেকে উড়িয়ে দিবেন। এটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।
সুখ বিলাসী মানুষেরা শুধু টাকার পেছনে ঘোরে, আর যারা কঠোর পরিশ্রম করে তারা ঘোরে সাফল্যের পেছনে। কেউ কেউ হয়তোবা বছরের পর বছর সাফল্যের পেছনে ছুটে বেড়ায়, আবার কেউ হয়তো বা সাফল্য অর্জন করার জন্য নেমেই, সে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
- আপনার স্বাস্থ্য ঠিক তো সবকিছু ঠিক
আমি সর্বদাই চেষ্টা করি নিজের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার।কারণ আমি অনেক সাফল্য অর্জনকারী জীবন নিয়ে পড়েছি। যেখানে আমি দেখেছি তারা সব সময় সাফল্যের অর্জনের কাজের জন্য, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তখন আমিও অনেক বিবেচনা করে দেখলাম। আমার স্বাস্থ্যই যদি ভালো না থাকে। তাহলে আমি কিভাবে সাফল্যের জন্য লড়াই লড়ে যাব? কিভাবে আমি কঠোর পরিশ্রম করব? তাই অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কঠোর পরিশ্রম কিংবা সাফল্য অর্জন করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- সবকিছুই বর্তমানের বিষয় অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ বলে কিছুই নেই,
আমরা মাঝে মাঝে চিন্তা করি যে, আমাদের ভবিষ্যৎ আছে আমরা ওদিন এই কাজ করে এসেছিলাম। কিন্তু আমার জায়গা থেকে আমি মনে করি অতীত বা ভবিষ্যৎ বলে তেমন কোন কথাই নেই। আপনি যদি আজকে কঠোর পরিশ্রম করে খুব ভালো একটা কাজ করে, নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তাহলেই আপনার জন্য ভালো একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
আমি হয়তোবা বলেছিলাম বা চিন্তা করি মাঝে মাঝে। আমার অতীত তেমন একটা ভালো কাটেনি। কিন্তু আমি এটা ভুলে যাই যে আমি যদি আজকে ভালো কিছু করতে পারি। আজকের দিনটা যদি আমি ভালোভাবে পার করতে পারি। তাহলে কিন্তু আমার জন্য ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। সেক্ষেত্রে আমার অতীত অনেক ভালো।
আমার কাছে সব সময় মনে হয়, আমাকে প্রতিদিন চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন ঘড়িতে যে সময়টা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই ঘড়ির দিকে আমাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমার পরিবারের জন্য আমার পরিবারের উন্নতির জন্য আমাকে কিছু না কিছু করতে হবে। আমি যদি দিনের তিনভাগের একটা ভাগের মধ্যে নিজের পরিবর্তন করে নিয়ে আসতে পারি। তাহলে কিন্তু ধীরে ধীরে আমার জীবনে আমি পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবো।
- কোন একটা বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন
আমি দেখেছি আমার ক্ষেত্রে, আমার পরিবারের মানুষ যখন আমার কাছে কোন একটা বিষয় নিয়ে হুট করে চলে আসে। তখন আমি সেই বিষয়টার উপর তেমন একটা ভাবনা চিন্তা না করে, কোনটা সঠিক কোনটা ভুল চিন্তাভাবনা না করে। একটা উত্তর দিয়ে দেই। এটা আমার জীবনের সবচাইতে বড় একটা ভুল।
 |
|---|
পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারলাম। আমাদের এই হ্যাঁ এবং না এই দুইটা শব্দের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই এই হ্যাঁ এবং না উত্তর দেয়ার আগে। যে বিষয়টা আমাদের সামনে এসে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। সে বিষয়টাকে অবশ্যই ভালোভাবে ভেবে চিন্তে বিচার করতে হবে।
ধরুন আপনার সামনে এমন একটা বিষয় তুলে ধরা হলো। যেটা থেকে আপনার বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। তাহলে আমি মনে করি সে সকল জিনিসকে অবশ্যই হ্যাঁ বলুন।
তার সাথে এমন কিছু জিনিস থাকে, যেমন আপনি সেখান থেকে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। আপনাদের পরিবারের সবাই মিলে সেখানে অনেক বেশি মজা করতে পারবে। সে সকল বিষয়কে অবশ্যই হ্যাঁ বলতে শিখুন।
- যে কোন জিনিসকে খুব সহজভাবে নিন!
 |
|---|
আপনি যদি আপনার যে কোন কাজকে সহজ ভাবে নিতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য সেটা করাও খুব সহজ। কারণ আপনি যদি কোন কাজকে খুব কঠিন ভাবে নেন। তখন আপনার মাথা গুলিয়ে যাবে আপনি বারবার চিন্তা করবেন, এত বড় কাজ আমি কিভাবে সম্পন্ন করব। কিন্তু আপনি যদি সেই কাজকে খুব সহজভাবে নিয়ে অনেক বড় কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার অনেক টা সময় বেঁচে যাবে।
যেটা আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনার এত বেশি চিন্তা করতে হবে না, সেই কাজ করার ক্ষেত্রে। তাই আমি বলব সর্বদাই চেষ্টা করবেন যত বড় কাজই আপনার সামনে আসুক না কেন? সেটাকে কি খুবই স্বল্প পরিমাণে দেখার জন্য।
আপনি আপনার জীবনের কাজকে যত সহজ ভাবে নিবেন! আপনার সেই কাজ সম্পূর্ণ করা ও খুব সহজ হবে!
সর্বদাই এটাই চিন্তা করবেন।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাকি আছে। সেটা না হয় কালকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। সবার সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সাফল্য অর্জনের জন্য যে কয়টি দিক আপনি উল্লেখ করেছেন সবগুলো যুক্তিসম্মত। অবশ্য এই দিকগুলো আমরা যদি মেনে চলি তাহলে অবশ্যই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
সবাই স্রোতের গতিতে চলতে পারে কিন্তু স্রোতের বিরুদ্ধে কেউ চলতে হলে তাকে বুদ্ধি মাত্তাখাটিয়ে তার পরে চলতে হবে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।।