"এই পৃথিবীর মানুষগুলো....... বড়ই স্বার্থপর!"
 |
|---|
নির্ঘুম রাত কাটে, প্রতিনিয়ত একটাই টেনশন কিভাবে ভাল থাকা যায়। কিভাবে পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষকে আরো একটু ভালো রাখা যায়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করে কোন একটা পথ খুঁজে বের করে, সে পথে একটু হাঁটার পর মনে হয় এখানে সফলতা অর্জন করা, আমার দ্বারা সম্ভব না।কেননা এখানে অনেক কষ্ট। আসলে জীবনে কষ্ট ছাড়া কোন মানুষ মিষ্টি খেতে পারেনি। ঠিক তেমনি ধৈর্য ছাড়া সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
ভালো আমরা সবাই থাকতে চাই। কিন্তু আমরা আমাদের পরিবারের মানুষ গুলোকে সঠিকভাবে বুঝতে পারি না। যে মানুষগুলো প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাদেরকে আমরা একটু সময় দিতে পারি না। তাদের কাছে আমাদের শুধুমাত্র একটাই চাওয়া, আমাদেরকে ভালো রাখতে হবে। কিন্তু সেই মানুষটা আমাদেরকে ভালো রাখার জন্য কি কি করছে। সেটা আমরা কখনোই চিন্তা করি না।
এই পৃথিবীতে একটা জিনিস খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিবার প্রিয় মানুষ বা আত্মীয়-স্বজন, সবাইকে আপনি আমি দিতে পারি। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি অনেক ভালো একজন মানুষ। কিন্তু যেই দিন থেকে আপনি তাদেরকে দেয়া বন্ধ করে দেবেন। কিংবা তাদের ইচ্ছা গুলো পূরণ করা বন্ধ করে দেবেন। সেদিন থেকে আপনার মত খারাপ আর নেই।
 |
|---|
সেই দিন থেকেই আপনার পেছনে আপনার বদনাম শুরু হয়ে যাবে। আপনি তাদের জন্য কিছুই করেননি। আপনি তাদের কি উপকার করেছেন কি এমন করে ফেলেছেন? অথচ দিন শেষে যদি একটু তারা চিন্তা করত। তাহলে তারা হয়তো বা বুঝতে পারতো, আপনি মানুষটা তাদের জন্য কতটা কষ্ট করছেন? কতটা পরিশ্রম করছেন?
তাহলে হয়তোবা তারা কখনোই আপনার সাথে এমন আচরণ করতো না! এমনকি আপনাকে নিয়ে অন্যের কাছে বদনাম করত না! আসলে পেছনে কথা বলা মানুষগুলো খুবই জঘন্য! মুখোশধারী মানুষের এই পৃথিবীতে অভাব নেই! যারা কিনা প্রতিনিয়ত আপনার কাছে ভালো থাকে, কিন্তু আপনার পেছনে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে বদনাম করে! আমার কাছে মনে হয় এই মানুষগুলোর কাছ থেকে, নিজেকে আড়াল করে নেয়া উচিত।
আপনি যখন কোন কাজ করতে যান! তখন কিন্তু তারা আপনাকে পেছন থেকে টেনে ধরে! আপনাকে বলে আপনাকে দিয়ে সেই কাজ সম্ভব হবে না! তবে আমি মনে করি কে কি বলল তাতে মাথা না ঘামিয়ে! আপনার উচিত আপনার কাজ করে যাওয়া! আপনি যদি আপনার কাজ করে যেতে পারেন! জীবনে যে কোন মুহূর্তে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
পরিবারকে ভালো রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র একটা মানুষের ঘাড়ে দিয়ে, তার উপর বোঝা চাপিয়ে দেয়াটা কখনোই ঠিক নয়। কেননা একটা মানুষের দ্বারা একটা পরিবার চালানো সম্ভব না। হয়তোবা সেই মানুষটা সবার খাবারের যোগান দিতে পারবে। কিন্তু পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষকে ভালো রাখার জন্য চেষ্টা করতে পারবে। কিন্তু ভালো রাখতে পারবে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
 |
|---|
আজকে জীবনের ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা থেকে নিজের মনের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। জানিনা কথাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এই পৃথিবীটা বড় স্বার্থপর। স্বার্থের কারণে মানুষ আপনার কাছে আসে। স্বার্থের কারণেই মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। যখন স্বার্থ ফুরিয়ে যায় তখন কেউ আপনাকে মনে রাখে না।
যখন স্বার্থ ফুরিয়ে যাবে, তখন আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে খুঁজে পাবেন না। যদি আপনার কখনো প্রয়োজন হয় কিংবা আপনি বিপদে পড়েন। আপনি তাদের কাছে কোন টাকা পয়সা চান, কিংবা একটা চাকরি চান। তখন দেখবেন সেই মানুষটা আপনার ফোন কল ধরা তো দূরের কথা, আপনার এসএমএস সিন করবে না। এখান থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন, পৃথিবীটা বড়ই স্বার্থপর। তারপরেও সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা প্রতিনিয়ত আমরা করে থাকি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মাঝে মাঝে মনে হয় বেশি সরল হওয়া ভালো না কারন আমার এই সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে আরও বেশি করে আমার উপরে দোষ চাপাতে পারে। আর আমি এই জিনিসটা অনেক দেখেছি, যে যত দায়িত্ব পালন করে তার দোষের পাল্লাটা তত বেশি ভারী হয়।
অনেকে আছেন কোন কথা না বলে মুখ বুঝে কাজ করে যায় কিন্তু তাতেও সে সংসারে কোন মূল্য পায় না এর বিপরীতে অনেকে মিষ্টি কথা বলে বা বিভিন্ন অভিনয় করেও সকলের মন জয় করতে পারে। আমিও আপনার সাথে একমত ,পৃথিবীর সব থেকে যদি স্বার্থপর প্রাণী নির্বাচন করা হয় তাহলে মানুষ নামক প্রাণীটি সবার প্রথমে থাকবে ।
মানুষ স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেনা। বন্ধু তত সময় থাকে যত সময় আপনি দিতে পারবেন , যখনই আপনার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে তখন সেই প্রিয় বন্ধুই আপনাকে ছেড়ে যেতে একবারও ভাববে না ।অনেক মূল্যবান একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।