লেভেল-১ টিউটোরিয়াল ক্লাস থেকে আমার অর্জন

in Incredible Indialast year

শিক্ষার কোন শেষ নেই, "শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড" এই কথাটা আমি আপনি সবাই জানি। কিন্তু আমরা কতটুকু শিক্ষাটাকে সেই ভাবে মূল্যায়ন করি। কিংবা কে প্রত্যেকটা দিন নতুন কিছু শেখার আগ্রহ প্রকাশ করি। আমি ঠিক জানিনা তবে আমি সর্বদাই চেষ্টা করি। নতুন কিছু শিখার জন্য, কারণ আমার কাছে মনে হয় বৃথা বা অযথা সময় নষ্ট করা চাইতে। কিছু না কিছু শিখতে পারাটাও একটা ভালো কাজ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সসালামুয়ালাইকুম/আদাব

নেক কথাই তো বলে ফেললাম। এবার আপনাদের খোঁজ খবর নেয়া যাক। কেমন আছেন আপনারা সবাই, কেমন কেটে যাচ্ছে আপনাদের দিন।আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে, পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই অনেক ভাল আছেন।

আমিও আপনাদের দোয়ায়, এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে। আলহামদুলিল্লাহ সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো আছি। শুকরিয়া জানাই মহান রব্বুল আলামীনের কাছে।

লেভেল-১ টিউটোরিয়াল ক্লাস থেকে আমার অর্জন

20230227_215501_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে
  • Incredible India এই কমিউনিটিতে আমি গত প্রায় এক মাসের কাছাকাছি কাজ করা শুরু করেছি। সেখানে আমাদের টিউটোরিয়াল ক্লাস হয়েছিল মোট পাঁচটা।পাঁচটার মধ্যে একটা টিউটোরিয়াল ক্লাসে আমি উপস্থিত হতে পারিনি।

বাকি চারটে টিউটোরিয়াল ক্লাসে আমি উপস্থিত হয়েছি। যেখানে কিনা আমাদেরকে অনেক কিছুই শেখানো হয়েছিল,এই স্টিম প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে।

আর আমি সেখান থেকে কি কি শিখতে পেরেছি। কি কি অর্জন করতে পেরেছি। সেই বিষয়ের উপর আপনাদের সামনে আজকে আমি পরীক্ষা দিতে বসলাম।

পরীক্ষার কথাটা শুনতেই কেমন জানি ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। যখন ছাত্র জীবনে পড়াশোনা করতাম। তখন ঠিক এই ভাবেই, আমরা পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে যেতাম।

আজকেও ঠিক তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। গত পাঁচটা ক্লাসে আমাদের কি কি শেখানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমাদের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করার, সবচাইতে উত্তম জায়গা এই পরীক্ষার হল।

আমি যতটুকু শিখেছি, যতটুকু বুঝতে পেরেছি। সবটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

বলতে বলতে অনেক কথাই বলে ফেলেছি। অনেকক্ষণ বকবক করে ফেলেছি। এবার আমার পরীক্ষা দেয়ার পালা।

  • প্রথম প্রশ্ন

কপিরাইট ইনফ্রিজমেন্ট কি? কপিরাইট ইনফ্রিজমেন্ট নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করুন।

20230227_220058_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

কপিরাইট ইনফ্রিজমেন্ট এটা একটা আইন। যে আইনের মধ্যে আমাকে দের কে বোঝানো হচ্ছে। একজন লেখক, কিংবা একজন ভিডিও ম্যান, কিংবা একজন শিল্পী, বা একজন সাহিত্যিক।সে যখন তার নিজের মেধা দিয়ে কোন কিছু তৈরি করে। কিংবা কোন কিছু লেখে, কিংবা কোন ভিডিও বানায়।

তার সৃষ্টিকর্মের ওপর তার একটা আইনগত অধিকার থাকে। যেটাকে আমরা কপিরাইট ইনফিউজমেন্ট আইন বলে জেনে থাকি।

আমরা সবাই জানি কপিরাইট হচ্ছে একটা ইংরেজি শব্দ।এর বাংলা শব্দ হচ্ছে গ্রন্থস্বত্ব বা লেখস্বত্ব। আমরা কম বেশি সবাই জানি প্রত্যেকটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য টাকা পয়সা দরকার।

ঠিক তেমনি একজন বৈজ্ঞানিক, একজন লেখক, একজন সাহিত্যিক, একজন শিল্পী, একজন ভিডিও ম্যান। তাদেরও টাকার প্রয়োজন আছে, তাদের ব্যক্তিগত জীবন চলার ক্ষেত্রে।

আমি ওই দিকে না হয় না গেলাম ওনাদের জীবনী না হয় ঘাটলাম।আমি আমাদের জীবনের ক্ষুদ্র অংশের কিছু কথা তুলে ধরি। আমার ছোট্ট জ্ঞানে আমি যতটুকু বুঝি। আমি যখন একটা লেখা লিখি, কিংবা আমি যখন একটা ফটোশুট করি। ওই ফটো একান্তই আমি আমার নিজের মেধা চেষ্টা দিয়ে তৈরি করি।

কিংবা আমার লেখা কিংবা আমার কোন ভিডিও আমি যখন তৈরি করি। সেটা একান্তই আমার নিজের মেধা তারপরে আমার ক্রিয়েটিভিটি দিয়েই, আমি তৈরি করে থাকি।

ধরুন আপনিও সেটা করেন। এখন আমি যদি আপনার কোন ভিডিও আপনি তৈরি করেছেন। সেই ভিডিও আমি কোন জায়গা থেকে ডাউনলোড করে নিলাম। এরপরে অন্য একটা ওয়েবসাইটে, কিংবা অন্য একটা প্লাটফর্মে।সেই ভিডিও টাকে, আমি আমার নিজের ভিডিও বলে চালিয়ে দিলাম। এটা কি আমি জঘন্য অপরাধ করিনি।

আমার জায়গা থেকে আমি মনে করি। এটা অনেক বড় একটা অন্যায়। কারণ আপনি কত কষ্ট করে আপনার একটা লেখা, একটা ভিডিও বানিয়েছেন। কিন্তু আমি কি করলাম, আমি আপনার সেই লেখা, কিংবা সেই ভিডিও। চুরি করে নিয়ে এসে নিজের বলে চালিয়ে দিলাম। এটা অনেক বড় একটা অন্যায়।

তাই আমি মনে করি, আমাদের প্রত্যেকটা মানুষকে এ সকল কাজ করা থেকে, দশ হাত দূরে থাকতে হবে। আমি মানছি আপনি কিছু পারেন না। আমি মানছি আপনি কিছু লিখতে ও জানেন না। আপনি যদি কিছুই না জানেন।

তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে। আপনি ধীরে ধীরে শিখতে থাকেন।আপনি শিখুন এই কাজটা কিভাবে করতে হয়। ওই কাজটা কিভাবে করতে হয়। আপনি যখন একটা দুইটা করে কাজ শিখতে থাকবেন। আপনি অটোমেটিক অনেক কিছু শিখতে পারবেন। অনেক কিছু জানতে পারবেন।

তাই সবার কাছে অনুরোধ করবো,এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।

  • দ্বিতীয় প্রশ্ন

এবিউজ কাকে বলে? কি ধরনের কার্যকলাপ কে এবিউজ বলা হয়, পাঁচটি উদাহরণ দিন।

20230227_220342_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

উদাহরণস্বরূপ আমি বলতে পারি। কোন একটা ভিডিও কিংবা কোন একটা লেখা কোন একটা ওয়েবসাইটে আমি দেখেছি। সেখান থেকে আমি ওটাকে কপি করে নিয়ে এসে তার সাথে কিছু সংযুক্ত করলাম। এবং তার মধ্যে কিছু stylist ব্যাপার যোগ করে দিলাম। এবং অন্য একটা প্লাটফর্মে এটাকে নিজের ভিডিও, কিংবা নিজের লেখা বলে চালিয়ে দিলাম। এটাও কিন্তু এক ধরনের এবিউজ।

১/কোন ওয়েবসাইটের অন্য কারোর কোন একটা মিউজিকের সুর আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি কি করলাম সেই মিউজিকের সুর টা কে ডাউনলোড করে তার সাথে কিছু tricks ব্যবহার করলাম। এবং সেটাকে নিজের বলে অন্য একটা ওয়েবসাইটে পোস্ট করে দিলাম। এবং সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করলাম। এটাও এক ধরনের এবিউজ।

২/কারো লেখা কোন ওয়েবসাইট থেকে কপি করে নিয়ে আসলাম। সেখানে কিছু মডিফাই করলাম। তার মধ্যে কিছু সংযুক্ত করলাম। এবং সেটাকে অন্য আরেকটা ওয়েবসাইটে নিজের লেখা বলে চালিয়ে দিলাম। এটাও এক ধরনের ওই এবিউজ।

৩/ আমি এমনও কিছু মানুষকে দেখেছি। যারা কোন একটা মানুষের কোন একটা পুতলা, কিংবা তার নিজের তৈরি করা কোন সৌখিন একটা জিনিস,সে তৈরি করেছে। তখন আরেকটা মানুষের কাছে। সে জিনিসটা ভালো লেগে যায়। এবং সেই যে মানুষ তার কাছ থেকে ওই জিনিসটা নিয়ে গিয়ে। তার মধ্যে নিজের কিছু ক্রিয়েটিভিটি যোগ করে। এবং সেই জিনিস টাকেই অন্য কারোর কাছে বিক্রি করে দেয়, নিজের জিনিস বলে। এটাও এক ধরনের এবিউজ।

৪/ আমরা অনেকেই দেখেছি ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউব ভিডিওর, একটা গান যখন কেউ গায় তখন কিন্তু ওটা তার একান্তই নিজের একটা গান। কিন্তু সেই গানের সাথে অনেকেই দেখলাম তাল মিলিয়ে নাচতে থাকে। কিংবা সেই গান নিজের কন্ঠে গায়, এবং সেই সুর ব্যবহার করে নিজের গানের মধ্যে।আমি মনে করি এটাও কিন্তু এক ধরনের এবিউজ।

৫/আমরা অনেকেই অনেক ওয়েবসাইটে ঘোরাঘুরি করি। সেখানে আমরা অনেক ফটোগ্রাফি তার সাথে অনেক কিছুই দেখতে পাই। সেখান থেকে আমার কাছে কোন একটা ফটোগ্রাফি ভালো লাগলো।আমি কি করলাম ওই ফটোগ্রাফি টাকে ডাউনলোড করলাম। তার মধ্যে আমি কিছু লাইটিং ব্যবহার করলাম। নিজের কিছু ক্রিয়েটিভিটি সেখানে যোগ করলাম। এরপরে আমি ওই ফটোগ্রাফি টাকে নিজের বলে,অন্য একটা প্লাটফর্মে বিক্রি করে দিলাম এটাও এক ধরনের এবিউজ।

  • তৃতীয় প্রশ্ন

স্পামিং কাকে বলে? কি ধরনের কার্যকলাপ কে স্পামিং বলা হয়, পাঁচটি উদাহরণ দিন।

png_20230227_222523_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তারা এই স্পামিং শব্দের সাথে অনেকটাই পরিচিত।
আসলে স্পামিং সাধারণত কি স্পামিং হচ্ছে একটা ইংরেজি শব্দ।

আমরা অনেকেই দেখেছি আমাদের মোবাইলে ইমেইল, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, whatsapp, এ সকল সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে। অনেকেই কিছু লিংক আমাদেরকে সেন্ড করে। যে লিংক এর উপরে ক্লিক করলে। অনেক সময় দেখা যায়। আমাদের মূল্যবান জিনিসপত্র তারা হ্যাক করে নিয়ে যায়। এটাকেই আমরা সাধারণত স্পামিং বলে থাকি

স্পামিং করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে আমি কিছু মাধ্যম, আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

১/ আমরা সাধারণত এই সমস্যার সাথে অনেকেই অবগত আছে। সেটা হচ্ছে আমাদের ইমেইলের মাধ্যমে, কোন একটা আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন। আমাদের কাছে সেন্ড করা হয়।যখন ইমেইল ওপেন করি এবং আমরা ইমেইল পড়া শুরু করি।

ঠিক তখনই আমাদের সামনে একটা লিঙ্ক সো হয়। আর আমাদেরকে বাধ্য করা হয়। ওই লিংকের উপর ক্লিক করার জন্য।যখনই আমরা ওই লিংকটা উপরে ক্লিক করি। তখনই সাথে সাথে আমাদের কম্পিউটার, কিংবা মোবাইল, হ্যাক হয়ে যায়। এটাও এক ধরনের স্পার্মিং এটাকে Clickbaiting স্পামিং বলে।

২/ আমরা যখন বারবার একটা লেখাকে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। সেটাও কিন্তু এক ধরনের স্পামিং, ওটাকে কমেন্টিং স্পামিং বলা হয়।

৩/ অনেক সময় দেখা যায়, আমরা কোন কিছু সম্পর্কে,না জেনেই ভুল ভাবে পর্যালোচনা করা শুরু করি। এই ভুলভাল আলোচনা করার মাধ্যমে। আমরা কাউকে একটা মন্তব্য সেন্ড করে ফেলি, এটাও কিন্তু এক ধরনের স্পামিং।

৪/ আমরা অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে অনেক বড় বড় ব্যক্তিরা রয়েছে। যাদের পোষ্টের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কিছু কমেন্ট, আমরা দেখতে পাই। কেউ হুমকি দেয় তাদের কমেন্টের মধ্যে।

একটা ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। এবং সেই একাউন্টের মাধ্যমে ওই সকল ব্যক্তিদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেয়। তার স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য। এটাও কিন্তু এক ধরনের স্পামিং।

৫/ অনেক সময় আমরা দেখেছি, আমাদের কম্পিউটার,কিংবা মোবাইলের, মাধ্যমে ইমেইল, কিংবা মেসেঞ্জার, কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে, এক ধরনের দূষিত লিংক সেন্ড করে। যেটার উপরে ক্লিক করার সাথে সাথে। আমাদের মোবাইল, কিংবা কম্পিউটারে। ভাইরাসে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

যার কারণে যে ব্যক্তি এই লিঙ্কে আমাদের কম্পিউটার, কিংবা মোবাইলের, মধ্যে সেন্ড করে। সেই ব্যক্তি আমাদের কম্পিউটার, কিংবা মোবাইল, থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়। যেই তথ্যগুলোর পরবর্তীতে তারা অপব্যবহার করে এটাও এক ধরনের স্পার্মিং।

  • চতুর্থ প্রশ্ন

প্লেগিয়ারিজম কাকে বলে? প্লেগিয়ারিজম নিয়ে আপনার মতামত প্রকাশ করুন।

png_20230227_222742_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

প্লেগিয়ারিজম সম্পর্কে আমি যতটুকু বুঝি। অন্য কারো লেখা কিংবা অন্য কারো ভিডিও, মিউজিক।যেকোনো কিছুই হোক না কেন। অন্যের জিনিস চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া কে প্লেগিয়ারিজম বলে।

প্লেগিয়ারিজম সম্পর্কে আমি যদি আমার মতামত প্রকাশ করি। তাহলে আমি বলব অন্যের সাহিত্য লেখা, কিংবা কোন ছবি, তার মধ্যে সামান্য পরিমাণে কিছু পরিবর্তন করে।অন্যের আইডিয়া চুরি করে তার সাথে কিছু যুক্ত করে। যদি নিজের নামে চালিয়ে দেয়া হয়। সেটাকে আমরা প্লেগিয়ারিজম বলে থাকি।

বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে। আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন প্রায়শই হয়ে থাকি। এটা খুবই খারাপ একটা অভ্যাস, এবং এর জন্য অনেক মানুষ তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেয়, নষ্ট হয়ে যায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের মূল্যবান জীবন।

প্লেগিয়ারিজম বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে যেমন:-

  • সরাসরি প্লেগিয়ারিজম-direct plagiarism

সরাসরি প্লেগিয়ারিজম বলতে আমরা কি বুঝি? আমি যতটুকু বুঝি অন্যের লেখা অন্যের ভিডিও। অন্যের মিউজিক, তার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে সরাসরি নিজের লেখা কিংবা নিজের ভিডিওর মধ্যে যুক্ত করে দেয়া। এবং সেই ভিডিও কিংবা সেই লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেয়া। এটা হচ্ছে সরাসরি প্লেগিয়ারিজম বা direct plagiarism।

  • সামান্য পরিমাণে কপি করা-A small amount of copying

কোন লেখা থেকে কিংবা কোন ভিডিও থেকে সামান্য পরিমাণে কপি করে। সেই লেখা থেকে কিছুটা অংশ উঠিয়ে নিয়ে। নিজের লেখার মধ্যে প্রবেশ করানো। কিংবা অন্যের ভিডিও থেকে কিছুটা অংশ কেটে নিয়ে। নিজের ভিডিওতে যোগ করা। এটাকেই আমরা সামান্য পরিমাণে কপি করা বলি।

  • প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম-Paraphrase pleasureism

আমি অনেককেই দেখেছি। যারা কিনা অন্যের লেখা থেকে একটা লাইন, কিংবা অন্যের ভিডিও থেকে 15 থেকে 30 সেকেন্ড,কিংবা এক মিনিট, এ রকমে এর ভিডিও কেটে নেয়। সেখানে কিছুটা মিউজিক এড করে। কিছুটা লাইটিং এড করে। আর সেই ভিডিওটাকে নিজের ভিডিও বলে চালিয়ে দেয়।

লেখার মধ্যেও সেম কাজ করেন। ওই বাক্যটাতে কিছুটা গরমিল তৈরি করে। নতুন ওয়ার্ড বসিয়ে দেয়। সেই লেখার মধ্যে আর সেই লেখাটাকে নিজের লেখা বলে, যে কোন ওয়েবসাইটে পোস্ট করে দেয়। আমার ধারণা অনুযায়ী এটাকেই আমরা প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম বলি

  • নিজের আগের লেখা গুলোকে সামান্য কিছুটা পরিবর্তন করে। নতুন কিছু বাক্য এড করে, সেটাকে নতুন করে লেখাকে আমরা সেল্ফ প্লেজারিজম বলতে পারি।
  • তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে, আমরা অনেক সময় অনেক ভুল করে ফেলি। বিশেষ করে আমরা যখন তাড়াহুড়া করে কোন কাজ করি। তখন সে ক্ষেত্রে আমাদের ভুল হয় ঠিক। তেমনি আপনি যখন কারো লেখা ব্যবহার করবেন। আপনার লেখার মধ্যে, তখন আপনি তাকে রেফারেন্স দিতে ভুলে যান।বা ভুলবশত করে ফেলেন, এটাকে আমরা এক্সিডেন্টলি প্লেগিয়ারিজম- accidentally plagiarism বলতে পারি।

এছাড়াও অনেক ধরনের প্লেগিয়ারিজম আমাদের চোখের সামনে পড়ে। যেটা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত রয়েছি কমবেশি।

পঞ্চম প্রশ্ন

ফার্মিং কাকে বলে? কি ধরনের কার্যকলাপ কে ফার্মিং বলা যেতে পারে এটা নিয়ে আপনার মতামত প্রকাশ করুন।

png_20230227_222935_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

এক ব্যক্তি যখন, অধিক লাভের আশায় একটি প্লাটফর্মে একাধিক অ্যাকাউন্ট করে। সেখান থেকে ইনকাম করে নিতে চায়, সেটাকেই আমরা ফার্মিং বলে থাকি।

বিশেষ করে আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি। যদিও খুব কম সংখ্যক মানুষ রয়েছে। যারা তাদের সততা দিয়ে কাজ করে। যারা শুধু একটা প্লাটফর্মে একটা অ্যাকাউন্ট করে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই বেনিফিট নেওয়ার চেষ্টা করে।

কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছে। যারা কিনা একটা প্লাটফর্মে অনেকগুলো বেনামি একাউন্ট তৈরি করে। আর সেই অ্যাকাউন্ট গুলো থেকে continuously পোস্ট করে। সেই প্লাটফর্ম থেকে বেনিফিট নেয়।

এই কাজগুলোকে আমার সাধারণত স্পামিং ও বলতে পারি, আবার ফার্মিং ও বলতে পারি।

এই কাজগুলো আমাদের মোটেও করা উচিত নয়। কারণ আমরা একজন একটাই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারব। একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা, আমাদের পক্ষে আদৌ মোটে সম্ভব আছে, কিনা আমার ঠিক জানা নেই।

আমার জায়গা থেকে যদি আমি বলি। তাহলে আমি প্রত্যেকদিন একটা একাউন্টে ঠিকঠাক মতো। একটা কোয়ালিটি সম্পূর্ণ পোস্ট করতে, আমার অন্ততপক্ষে দুই তিন ঘন্টা সময় লাগে। তাহলে একজন ব্যক্তি কিভাবে অনেকগুলো একাউন্ট করে। সেই একাউন্ট গুলোতে কীভাবে কাজ করে এ বিষয়টা আমার মাথায় ধরে না।

আচ্ছা যাই হোক এটা খুবই খারাপ একটা অভ্যাস। এবং অনেক বড় জঘন্যতম একটা অপরাধ। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত। এই জঘন্যতম অপরাধ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়ে আসা।

আমরা চেষ্টা করব সততার সাথে কাজ করা। তার সাথে চেষ্টা করব যাতে আমাদের অন্যান্য ভাই-বোন সবাই কে, সঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়ার। তাহলেই প্ল্যাটফর্ম অনেক উন্নত হবে।

ষষ্ঠ প্রশ্ন

রি-রাইট বলতে কি বুঝেন? রি-রাইট নিয়ে আপনার সংক্ষিপ্ত মতামত প্রকাশ করুন।

png_20230227_223123_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

মাঝে মাঝেই দেখা যায়, আপনি বা আমি যখন লিখতে বসি।এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি। যেখানে আপনাকে অবশ্যই গুগল সার্চ করে, কিংবা ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করে। অনেক তথ্য সংরক্ষণ করতে হয়। আর আমরা সেই তথ্য সংগ্রহ করাকেই রি-রাইট বলে থাকি।

যদিও আমি জানি স্টিম প্ল্যাটফর্মে রি রাইট একদমই নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু তারপরেও আমি মনে করি রি রাইট করে লেখা চেয়ে। আপনি যতটুকু পারেন, সেখান থেকে আপনার মেধা দিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করুন।

আপনি কি বুঝেছেন, সেই জিনিসটার উপর একটা লেখা আপনি তৈরি করুন। এতে করে আপনি যেমন অনেক কিছু শিখতে পারছেন। ঠিক তেমনি অন্যকেও অনেক কিছু বোঝাতে, আপনার সহজ মনে হবে। আপনি নিজেকে সেই কাজের জন্য।একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরতে পারবেন।

আর আমি মনে করি, এমন বিষয় লেখার জন্য নির্ধারণ না করাই ভালো। যে বিষয়গুলোর জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট সার্চ করে, ওয়েবসাইট থেকে ঘাটাঘাটি করে। কিছু তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।

সপ্তম প্রশ্ন

আপভোট, ডাউনভোট এবং রিস্টিম বলতে কি বুঝেন।

png_20230227_223256_0000.png
ছবিটি এডিট করা হয়েছে canva apps দিয়ে

ওর:-

যেকোনো জায়গায় কাজ করতে গেলে।সেই জায়গায় আমরা যখন নতুন ভাবে প্রবেশ করি। তখন আমরা সেই জায়গার অনেক কিছুই বুঝিনা। আর না বোঝার কারণে, আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

ঠিক তেমনি স্টিম প্লাটফর্মে যখন আমি ঢুকেছিলাম, যদিও আমার জানা ছিল। আপলোড, ডাউনলোড,সম্পর্কে কিন্তু রি স্টিম সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। এখানে আসার পর বুঝতে পারলাম রি-স্টিম কি।

  • আপভোট:- আমরা অনেকেই ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, এ সকল সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে। সবাই টুকটাক ধারণা রয়েছে, আপনি যখন ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম, বা টুইটারের মধ্যে। কোন একটা ছবি পোস্ট করেন, সেই ছবিতে যখন কারো কাছে ভালো লাগে। তখন সে কিন্তু আপনাকে একটা লাইক দেয়, বা একটা লাভ রিয়েক্ট দেয়।

আর স্টিম প্লাটফর্মে এই লাইক বা লাভ রিয়েক্ট দেয়া কে, আমরা আপভোট হিসেবে মনে করি।

  • ডাউনভোট:- আমি অনেক সময় দেখেছি, যখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন একটা ছবি পোস্ট করি। সেখানে যখন অনেকেই লাইক করে,অনেকে কমেন্ট করে। আবার যাদের ভাল লাগে না। তারা আবার সেখানে অনেক বাজে ধরনের ইমোজি ও দিয়ে থাকে।

যে কোন জিনিসই সবার কাছে ভালো লাগবে, এমন কোন কথা নয়। ঠিক তেমনি স্টিম প্লাটফর্মে, আমরা যে পোস্ট করি, সেটা সবার পছন্দ হবে। এমনও কোন কথা নেই, কারো কাছে খারাপ লাগবে। কারো কাছে ভালো লাগবে এটাই স্বাভাবিক। যখন কারো খারাপ লাগে তখন সে আমার পোস্টে আপভোট দেয়, মানে লাইক দেয়। আর যখন কারো কাছে খারাপ লাগে তখন সে আমার পোস্টে এ ডিস লাইক দেয়। যেটাকে আমরা ডাউনভোট বলে চিনে থাকি।

  • রি-স্টিম:- ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া। যে যেখানে আছেন না কেন, আপনাদের কাছে যখন কোন পোস্ট ভালো লাগে। তখন আমরা সেটাকে শেয়ার করে, নিজেদের একাউন্টে সেভ করে রাখি। এটা আমাদের অ্যাকাউন্টে যখনই কেউ প্রবেশ করে। সেই ছবি কিংবা পোস্ট তাদের সামনে ভেসে ওঠে।

ঠিক তেমনি স্টিম প্ল্যাটফর্মে,আমাদের কাছে যখন কোন পোস্ট ভালো লাগে। সেই পোস্টকে আমরা রি-স্টিম করে আমাদের একাউন্টে রেখে দেই। যে কেউই আমাদের একাউন্টে প্রবেশ করার সাথে সাথেই। তার সামনে ওই পোস্টগুলো ভেসে ওঠে। আর এটাকেই স্টিম প্ল্যাটফর্ম এর ভাষা অনুযায়ী রি-স্টিম বলা হয়ে থাকে।

"এই ছিল আমার সকল প্রশ্নের উত্তর"

আজকে আমি এ সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে, নিজে অনেক কিছু জানতে পারলাম, অনেক কিছু বুঝতে পারলাম। কোনটা সঠিক কোনটা ভুল এই দুটি শব্দ যেন আমার চোখের সামনে ভাসতে শুরু করল।

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের এডমিন মহোদয়, @sduttaskitchen দিদিকে। তার সাথে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। তিনিই নতুন একটা কাজ হাতে পেয়েছেন, যেটা আমাদের ভালোর জন্যই উনি করছেন।

তার সাথে ধন্যবাদ জানাই,আমাদের সকল মডারেটর মহোদয় কে।আমাদের জন্য এত সুন্দর একটা টিউটোরিয়াল ক্লাসের আয়োজন করার জন্য।

আসলে আমার জানার কোন শেষ নেই। আমি প্রত্যেকদিন চাই নতুন করে কিছু শিখতে। আর আমি এখানে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

আমার টিউটোরিয়াল ক্লাস থেকে আমি যতটুকু অর্জন করেছি। সবটাই চেষ্টা করেছি পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। আমি ঠিক জানিনা আমি কতটুকু উপস্থাপন করতে পেরেছি। তবে আমার কাছে যতটুকু সঠিক মনে হয়েছে। আমি ঠিক ততটুকুই উপস্থাপন করেছি।

আমার লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

"সর্বশেষ একটা কথা বলবো"
  • সব কথার মূল কারণ:- "নিজের মেধা এবং নিজের যোগ্যতা কাজে লাগান। অন্যের আইডিয়া বা অন্যের সৃষ্টি করা কোন কিছু থেকে, সামান্য পরিমাণে ও সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকুন।"

লিখতে লিখতে মনে হয়, অনেক বকবক ও করে ফেলেছি। আজ না হয় এ পর্যন্তই থাক। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

🥀🥀🥀 সবাইকে ধন্যবাদ 🥀🥀🥀
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Loading...
 last year 

আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন অনেক কিছু খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

আপনি অনেক কথায় লিখেছেন আমার মনে হয় আপনি সারাটা দিন আপনার পোষ্টের পেছনে দিয়েছেন আজ খুবই মনোযোগ সহকারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57946.22
ETH 3059.94
USDT 1.00
SBD 2.34