কাগজের নৌকা তৈরি করে ছেলের মুখে হাঁসি ফোটানোর চেষ্টা

in Incredible India10 months ago
IMG_20231106_164306_125.jpg

আপনারা প্রত্যেকেই জানেন, বেশ কয়েকদিন যাবত আমার ছোট ছেলেটা অসুস্থ। যার কারণে ও তেমন খাওয়া দাওয়া করতে চায় না। কোন কিছু নিয়ে খেলতেও চায়না, কিন্তু কালকে হঠাৎ করেই ও আমার সামনে একটা কাগজ নিয়ে আসলো। এবং বায়না করতে লাগলো ওকে নৌকা তৈরি করে দেয়ার জন্য। আমি অনেকবার বারণ করার শর্তেও জেদ করে বসে আছে, আমার সাথে। নৌকা আজকে তৈরি করে দিতেই হবে। তারপর নৌকা তৈরি করলাম আর কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম। সে বিষয়টা নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব।

প্রথমত আমি একটা কাগজ নিয়ে নিয়েছি। এরপর কাগজটাকে আমি সুন্দর করে প্রথমে একটা ভাঁজ দিয়ে দিয়েছি।

ভাঁজ দেয়া হয়ে গেলে নৌকার আকৃতি দেয়ার জন্য আমি কাগজের একদম শেষের অংশ বরাবর আরেকটা ভাঁজ দিয়ে দিয়েছি। এটা দেখতে অনেকটা ত্রিভুজের মতো হয়ে গেছে। ফটোগ্রাফি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন।

এরপর আমি কাগজ টাকে, চতুর্ভুজের মতো আকৃতি করে নিয়েছি।

এরপর আমি এটাকে আবারো আরেকটা ভাঁজ দিয়ে,ত্রিভুজের মতো করে নিয়েছি। যাতে করে নৌকাটা অনেক সহজ ভাবে বানানো যায়।

IMG_20231106_164306_331.jpg
IMG_20231106_164305_772.jpg

ওই ত্রিভুজ আকৃতি থেকে আমি আরেকটা ভাঁজ করে, সেটাকে চতুর্ভুজ আকৃতিতে আরো ছোট করে নিয়েছি।

চতুর্ভুজ আকৃতি করার পর, মাঝখান বরাবর কাগজের ভাঁজের অংশটুকু আলাদা হয়ে গেছে। আমি সেটাকে হাত দিয়ে আরো ভালো করে আলাদা করে নিয়েছি। এবং নৌকার আকৃতি করে দিয়েছি।

IMG_20231106_164305_450.jpg
IMG_20231106_164306_243.jpg

যদিও আমি জানি আমি সঠিকভাবে নৌকা তৈরি করতে পারিনি। কিন্তু যেটুকু করেছি এইটুকুতে আমার ছেলে কতটা খুশি হয়েছে। সেটা হয়তোবা আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না।

IMG_20231106_164305_433.jpg

আজকে কয়েকদিন আমি ওকে কত জিনিস দিয়েছি খুশি করার জন্য। কিন্তু আজকে সে সামান্য এই কাগজের নৌকা পেয়ে এতটা খুশি হয়েছে। তার মুখে আমি যে হাসিটা দেখতে পেয়েছি। এই হাঁসিটা দেখার জন্য আমি এতদিন অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে সামান্য একটা কাগজের টুকরা দিয়ে। আমি তার মুখে সেই হাঁসি খুঁজে পেয়েছি।

আমার কাছে ওর এই হাঁসির মূল্য অনেক, আমি ওর হাঁসি দেখে বুঝতে পেরেছি, একটা মানুষকে ভালো রাখার জন্য একটা মানুষকে হাসিখুশি রাখার জন্য অনেক টাকা পয়সার কোন প্রয়োজন হয় না। কিংবা অনেক দামি কোন জিনিসের প্রয়োজন হয় না। কিছু মানুষ অল্পতেই অনেক খুশি হয়। আর এই অল্পতেই খুশি হওয়া মানুষগুলোকে অনেকে আবার পছন্দ করে না। আমার ক্ষেত্রে আমিও ঠিক এইরকম অল্পতেই খুশি হয়ে যায়।

হ্যাঁ আপনাদের কাছে হয়তো বা মনে হতে পারে এটা সামান্য একটা কাগজের টুকরা। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা অনেক দামি একটা জিনিস। কেননা যার মুখে আমি এত চেষ্টা করেও হাঁসি ফোটাতে পারিনি। সামান্য একটু কাজ নৌকা তৈরি করে, আমি তার মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছি, এই হাসির মূল্য অনেক।

আমাদের প্রিয় মানুষগুলোকে হাসিখুশি রাখার জন্য অল্পটাই যথেষ্ট। আর এই অল্প কিছুতেই আমরা আমাদের জীবনটা খুব সুন্দর ভাবে পার করে দিতে পারি। আমি নৌকা তৈরি করার প্রত্যেকটা স্টেপ শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তবে আমার কাছে এটা শ্রেষ্ঠ স্মৃতি হিসেবে আমি নিজের কাছে মনে করি। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহাফেজ।

meraindia

কমিউনিটির জন্য ১০% বেনিফিশিয়ারি


png_20230827_214431_0000.png


The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram


Htq.gif


20230831_233618_0000.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hola 🙂
Tu post ha sido votado por @colombiaoriginal dentro del marco de Make Noise Project Week 76, que impulsa @alejos7ven.
Sigue con el buen trabajo.

Te invitamos a seguir las redes sociales para Steem y Steemit:

image.png image.png image.png

Si no lo has hecho, Te invitamos a votar por @cotina como Witness, sino sabes como hacerlo, podrías revisar esta publicación: https://steemit.com/hive-113376/@colombiaoriginal/colombia-original-apoyando-a-cotina-como-witness.


We stopped by to tell you that we have come to vote for your publication.🙂

Loading...

TEAM 2

Congratulations! This post has been upvoted through Curation Team#2. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.
Curated by : @stef1

image.png

 10 months ago 

আসলে বাচ্চারা খুব ছোট ছোট জিনিস পেলেই খুশি হয়। সবসময় দামী খেলনার প্রয়োজন পরে না। কাগজের তৈরি এই নৌকা দেখে নিজের কথাও মনে পরে গেল।আমার মায়ের কাছ থেকে বানানো শিখেছিলাম।বৃষ্টি নামলে বাড়ির উঠানে পানি জমতো, সেখানে ভাসাতাম। আবার আমি আমার ছেলেদেরকে বানিয়ে দিয়েছি। ওরা আমার কাছ থেকে বানানো শিখছে। এভাবে চলে আসছে যুগের পরে যুগ ধরে এই নৌকা।
আপনার ছেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুক এই দোয়া করি।
ভালো থাকবেন আপনিও।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আসলে আমি ও ছোট বেলায় এই কাগজের তৈরি নৌকা বানাতাম। এবং বড় গামলায় পানি দিয়ে এর মধ্যে নৌকা টি ছেড়ে দিতাম।আর কিছুক্ষন পরপর হাত দিয়ে পানি গুলোকে নাড়তাম।এই ছিল মূলত খেলা।আর যখন বেশি পরিমাণে পানি ফেলে দিতাম মেঝেতে তখন তো পরিস্কারের ভার আমার হাতেই পড়ত। আমার ছোট বোন তো গায়েব। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।ক্ষনিকের জন্য ছোট বেলায় চলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু।

আপনি আমায় ছোটবেলার দিনগুলো মনে করিয়ে দিলেন। আগে আমি এই কাগজের নৌকা বানাতে পারতাম, আমার মা শিখিয়েছিল। আজ আপনি আমাকে আবার শৈশবের দিনগুলিতে ফিরিয়ে দিলেন। একটা জিনিস খুব ভাল করে বুঝলাম যে মা মা'ই হয় আর মায়ের কোনও replacement নেই আর হবেও না কোনোদিন।

 10 months ago 

সত্যি আপু ছোটবেলার সৃতি আবার মনে করিয়ে দিলেন। আগের দিনগুলি সত্যি অনেক ভালো ছিলো। আমিও ছোটবেলায় আমার বড় বোনের কাছ থেকে কাগজের নৌকা বানিয়ে নিয়েছিলাম এবং তার কাছেই শিখেছিলাম কাগজের নৌকা বানানো।
যাই হোক পুরোনো সৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সেইসাথে দোয়া করি আপনার ছেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।

 10 months ago 

সন্তানের হাসি মুখ মায়ের কাছে সবচেয়ে প্রিয়।হাসি মুখটা দেখার জন্য মা সারা জীবনই নানা রকম ত্যাগ স্বীকার করে যায়।কখনো তা ছোট্ট কোন কারনে কখনো বা অনেক বড় ব্যাপার নিয়ে।আপনি ছোট্ট একটি কাগজের নৌকা বানিয়ে আপনার ছেলের মুখে যে হাসি ফুটাতে পেরেছেন। শিশুকালে সন্তানেরা এমন ই থাকে ।হয়তো অনেক সন্তান বড় হয়ে ভুলে যায়। কিন্তু মা কখনো ভোলে না। খুব ভালো লাগলো আপনার এই সরল মনের লেখাটি পড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 58984.04
ETH 2551.66
USDT 1.00
SBD 2.35