ঈদের দিনে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম।

আসসালামু আইলামকুম,,,
কেমন আছেন সবাই।

২৯তারিক ৬মাস ২০২৩সাল আমাদের কুরবানীর ঈদ হয়ে ছিল।আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে একটু হাটা হাটি করে আবার বাড়িতে ফিরে আসলাম আবার কিছুক্ষণ ঘুমাইলাম।

সকাল সাট টার সময় আমার ছোট কাকা ডাক দিয়ে বলল গোসল করে রেডি হতে । না হলে মসজিদে জাইগা পাবনা। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে আগে আগে গোসল করে নিলাম।

তার পরে আমার বড় ভাইকে ডাক দিলাম।তারাও গোসল করে আসল।পরে আমরা সব ভাইরা এক সাথে হয়ে হালকা নাস্তা করলাম। তার পরে সব ভাইরা মিলে একসাথে মসজিদে গেলাম।

নামাজ পড়ে আবার সবাই মিলে এক সাথে বাড়িতে আসলাম।আবার সব কাকা এবং ভাইয়েরা এক সাথে অল্প ভাত খাইলাম। যে গরু কোরবানি দিবে সেই গরুটি কে নিয়ে মাঠের দিকে রওনা হলাম।

কোরবানি শেষ করে আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাড়িতে এসে পাঞ্জাবি চেঞ্জ করলাম। তখন জোহরের নামাজের সময় হয়ে গেল। আমরা নামাজ পরতে গেলাম আর বাড়িতে গোস্ত রান্না করা শুরু করে দিল।

নামাজ পড়ে বাড়িতে আসলাম আর কিছুক্ষণ পর থেকে বৃষ্টি পড়া শুরু হলো। এক টানা বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হলো। আমরা দুপুর তিন টার সময় কোরবানির গোশত দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

বিকালে আছরের নামাজ পড়ে সব ভাইরা মিলে ঘুরতে গেলাম। ঘুরা ঘুরি শেষ করে মাগরিবের পর পর বাড়িতে ফিরে আসলাম।বাড়িতে এসে আমরা সবাই মিলে গরুর গোস্ত ভুনা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

ভুনা করার করার জন্য যা যা লাগে সবকিছু কিনে নিয়ে আসলাম। তারপর সবকিছু কাটা কাটি শুরু করলাম। কাটা কাটি শেষ করে চুলায় বসিয়ে দিলাম। তার মাঝখান দিয়ে কিছু রুটি বানিয়ে নিলাম।

এশারের নামাজের সময় হয়ে আসলো সবকিছু ঠিক ঠাক করে মসজিদে গেলাম। নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে দেখি সবাই মিলে আমাদেরকে ধরেছে। পরে আমরা সবাই মিলে গোস্ত সব ভাগ করে নিলাম।

খাওয়া শেষ করে আমরা তিন চার জন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম যে এক দিন পর আবার গোস্ত পুড়িয়ে খাব।আমরা সবাই রাজি হলাম।

আবার আমরা সব ভাইয়েরা মিলে রাত বারো টা পর্যন্ত দুষ্টামি করলাম। সব শেষে ঈদের দিন টা আমাদের মোটা মুটি ভালো কাটলো। আবার আমরা সব ভাইরা প্রত্যেক বছরে কোরবানি ঈদের সময় একসাথে হই তাই আরও বেশি মজা হয়।