কার্তিক পূজো উপলক্ষে বাপের বাড়িতে কাটানো কিছু মুহূর্ত

(বাপের বাড়ির কার্তিক পূজো)

প্রিয়,
পাঠকগণ,

আশা করি আপনারা সকলেই কুশল এবং মঙ্গলেই আছেন। আর আজকের দিনটা স্বচ্ছন্দে কাটিয়েছেন।

প্রতিদিন আমি আপনাদের সাথে আমার রান্না করা রেসিপি শেয়ার করি। এবং সেই রেসিপি আপনাদের অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আজ আমি কোনো রেসিপি শেয়ার করবো না।

আজ আমি বিকেলে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম কার্তিক পূজো উপলক্ষে, আর সেই কার্তিক পূজোতে কাটানো মুহুর্তের কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।

কার্তিক পূজো হচ্ছে আমার বড়ো দাদার বাড়িতে। কারন কিছুদিন আগে দাদার ছেলে আমার ভাইপোর বিয়ে হয়েছে এবং যারাই নতুন বিয়ে করে বন্ধুরা তাদের বাড়িতেই কার্তিক ফেলে যায়। তাই আজ কার্তিক পূজো উপলক্ষে নেমন্তন্ন ছিল।

(ঠাকুরমশাই পূজো করছেন)

এরপর আমি এবং আমার মেয়ে আর স্বামী দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে বিকেল ৪টের দিকে আমার বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম।আমাদের বাড়ির থেকে আমার বাপের বাড়ি যেতে ১০ মিনিট সময় লাগে।

যথারীতি পৌঁছে গেলাম বাপের বাড়ি।সেখানে গিয়ে দেখলাম আমার বড়ো বৌদি এবং আমার ছোটো ভাইয়ের বৌ পূজোর আয়োজন করছে।

(আমার ছোটো ভাইয়ের ছেলে এবং আমার নাতি)

কার্তিক পূজো করার জন্য ঠাকুর মশাই আসবেন সন্ধ্যা ৬টায়। তাই তারা তাড়াতাড়ি করে সব কিছু ব্যবস্তা করছিল। যে কোনো পূজো মানেই অনেক নিয়োম এবং অনেক আয়োজন।

কার্তিক ঠাকুর হলেন হিন্দুদের প্রাচীন দেবতা।কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ।তিনি পরম পুরুষ শিব এবং পরাশক্তি পার্বতীর সন্তান। প্রাচীন ভারতের সর্বএ কার্তিক পূজোর প্রচলিত আছে।অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মতো পূজো করা হয়। কার্তিক পূজোর বিশেষ মন্ত্র হল ।।ওম কার্তিকেয়ায় বিদ্মহে গৌরিপুএায় ধিমহি তন্নো স্কন্দ প্রচোদায়ৎ।।

কারন শুধুমাত্র কার্তিক পুজো দিলেই হয় না, যে সব বন্ধুরা রাএিবেলায় কার্তিক ফেলেছে, তাদের সবাইকে খাওয়া দাওয়া করাতে হয়।সেই রান্নাবান্নার একটা আলাদা আয়োজন আছে। সেটাও করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অনেক কাজ।

আমি গিয়ে রান্নার জন্য হাতে হাতে সব কিছুই করে দিলাম।মুরগির মাংস, ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি এই খাবার রাতের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।

(আমি আর আমার ছোটো ভাই)

পূজো শেষে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর অনেকক্ষন আমরা সকলে মিলে আড্ডা দিলাম।যে কোনো অনুষ্ঠানে পরিবারের সকলেই এক জায়গায় থাকলে খুব হইচই আর অনেক গল্প হয়।এই সময়টা আমার খুব ভালো লাগে। একসাথে থাকলেই আমি আমার বড়ো দাদা আমাদের ছোটোবেলার গল্প করি।আর আমাদের ছেলে এবং মেয়েরা অনেক আনন্দ পায় আমাদের ছোটোবেলার গল্প শুনলে।

কার্তিক পূজো খুবই ভালো ভাবে করা হয়েছে। ঠাকুর মশাই খুবই ভালো করে পূজো করেছেন।আজকের আমার রাত বাপের বাড়িতে খুবই সুন্দর কাটালাম। আমার একটার না সকলেরই ভালো লাগে পরিবারের সাথে মজার সময় কাটাতে।

তবে আজ এখানেই শেষ করলাম। আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

শুভ রাএি।