আমার ছোট্ট ছেলে ইমন
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশা করছি আপনারা প্রত্যেকেই ভালো আছেন, এবং সুস্থ আছেন, আজকে আপনাদের দিনটা কুশলেই কেটেছে।
গতকাল আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম শালগম দিয়ে চারাপোনা মাছের ঝোল,রেসিপিটি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লেগেছে। তারজন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজ আমি কোনো রেসিপি শেয়ার করবো না। আপনারা সকলেই @sampabiswas পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছেন যে আমরা আগামী শুক্রবার আসাম ঘুরতে যাচ্ছি।আসলে আমরা বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।
আপনারা সকলেই জানেন ইমনের কথা, এবং ওদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা যে কতোটা গভীর আপনারা @sweta পোস্ট পড়ে জানতে পেয়েছেন।আমাদের শুধু খুব ভালো একটা সম্পর্ক নয় আমাদের মধ্যে একটা আত্মার টান আছে।
কিছু কিছু সময় এমন হয়েছে আমাকে ইমন দুদিন না দেখলে বা ওরা সবাই কোথাও ঘুরতে গেলে আমাকে না দেখলে ছেলের জ্বর চলে আসতো। আবার আমাকে দেখলেই সুস্থ হয়ে যেত। ছোটো থেকে সমস্ত বায়না আমার কাছে, এমনকি মা বাবার কাছে বায়না করে না সব চাওয়া আমার কাছে। আমার স্বামীকে পটা বলে ডাকে।ইমনের পটার কাছে শুধু চকলেটের জন্য বায়না করে। আর আমার মেয়ে কাছে খেলার বায়না। সপ্তায় তিন চার দিন আমার হাতের ম্যাগি খাওয়ার বায়না করে, কারন আমার হাতের ম্যাগি ইমন খুব ভালো খায়।
আমরা চারজন মিলে ইমনের ছোটো মামার বিয়েতে যাচ্ছি। ইমনদের বাড়িতে যা কিছু হোক না কেন আমারা যাই এবং আমাদের বাড়িতে কিছু একটা হলেই ওরা আসে।আমার মেয়ে প্রতিবার দুই ভাইকে রাখি পড়ায়, আমাদের আবার ভাইফোঁটার নিয়ম নেই কিন্তু ওইদিন খাওয়া দাওয়া হয় আমাদের বাড়িতেই। অনেক আনন্দ করে সবাই মিলে।
আমার সাথে ইমনের সম্পর্ক আপনারা সকলেই জানেন। ইমন ছোটো থেকে আমাকে মা বলে ডাকে। এখন সে আমাকে ভালো মা বলে ডাকে। কেউ যখন ওকে জিজ্ঞাসা করে যে বাড়িতে কে কে আছে, তখন প্রথমেই আগে বলে আমার দুটো মা একটা এমনি মা একটা ভালো মা। আমার উপরে শুধু ওর অধিকার। আমাকে আমার মেয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবে না, আমার মা বলতে পারবে না, আর যদি এই সব ওর সামনে হয় তাহলে আর রক্ষা নেই। ওমনি মারামারি শুরু করে দেবে দুটোতে মিলে।
এখন বড়ো হয়েছে এখন একটূ্ রেগে যায় কিন্তু আর মারামারি করে না। স্কুলে যায় অনেক পড়াশোনা করতে হয় ইমনকে। সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকে তাও আমি প্রতিদিন ইমনের সাথে দেখা করতে ওদের বাড়িতে যাই।
আজ সন্ধ্যাবেলায় ইমনরা সবাই আসাম যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছে, আমি গিয়ে দেখা করে এসছি। আমার সবাই পরশুদিন যাবো, কিন্তু ওদের একটু আগে আগেই যেতে হবে কারন অনেক কাজ আছে ওখানে গিয়ে।
আমাদের সকলের আসাম যাওয়ার প্রতিটা কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বিয়ের বাড়িতে কতটা আনন্দ করলাম সবাই মিলে সব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
তবে আজ এখানেই ইতি টানলাম। আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভ রাএি।
আপনাদের সম্পর্ক যেন এমনই সুন্দর থাকে আজীবন সেই কামনাই করি।
আপনার মেয়ে ইমনকে নিয়ে আগেই অনেক কিছু জানিয়েছে, আবারও জেনে ভালো লাগলো আপনাদের চাকলা ভ্রমণ।
সাবধানে যাবেন।আর আমাদের সাথে আসাম সম্পর্কে নতুন কিছু জানাবেন এই আশায় অপেক্ষা করছি।
যে কোনো সম্পর্ক পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে গড়ে ওঠে এবং টিকে থাকে। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর সম্পর্কের কথা পড়ে।