ফুলকপি নিয়ে আইড় মাছের ঝোল
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশা করছি আপনারা সকলেই সুস্থ আছেন। এবং ভালো আছেন।
প্রতিদিনের মতোই আজও আমি আপনাদের সাথে আমার রান্না করা একটা রেসিপি ভাগ করে নেবো। অনেক ছোটো থেকেই রান্না করে আসছি। কবে কি করে রান্না করা শিখেছি সেটাই ভুলে গেছি। কারন এতোটাই ছোটো ছিলাম তখন, আমার বড়োদাদা ভাতের হাড়ি গড় দিয়ে দিতো।
তখন এতোই ছোটো যে ভাতের হাড়ি গড় দিতে পারতাম না।তাহলে ভাবুন কবে থেকে রান্না করছি। আসলে আমাদের মতো গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে মায়েরা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতেন এবং আমাদের রান্না করতে হতো তাই কবে রান্না করা শিখছি মনে নেই।
যাইহোক তাহলে আসুন আপনাদের বলি আমি কিভাবে ফুলকপি দিয়ে আইড় মাছের ঝোল রান্না করলাম।
-:উপকরণ:- |
|---|
১. আইড় মাছ- ২০০গ্ৰাম।
২. ফুলকপি- ১টা।
৩.আদা- একটা ছোটো টুকরো।
৪. কাঁচা জিরা- এক চা চামচ।(গোটা)
৫. শুকনো লঙ্কা- ৬টা।
৬. চিনি- পরিমাণ মতো।
৭. লবন ও হলুদ- পরিমাণ মতো।
৮. সরষের তেল- পরিমাণ মতো।
৯. গোটা গরম মশলা- ৩গ্ৰাম(গোটা)
১০. তেজপাতা- ২টো।
১১. টমেটো- ১টা
১২. কাঁচা জিরা- (অল্প পরিমাণ ফোড়নের জন্য।)
-:রন্ধনপদ্বতি:- |
|---|
- প্রথমে বাজার থেকে আনা আইড় মাছ কেটে ধুয়ে নেবো।
- এরপর মাছের নুন ও হলুদ দিলাম।
- মাছটা নুন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে আলাদা রেখে দিলাম।
- আইড় মাছের ঝোলে শুধু ফুলকপি দেবো। তাই একটা বড়ো ফুলকপি নিয়ে নিলাম।
- এরপর একটা প্লেটে যা যা মশলা আমি রান্নায় ব্যবহার করবো, সেগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
- এরপর ফুলকপিটা কেটে ধুয়ে নেবো।
- বাটার মশলা গুলো মিক্সির বাটিতে নিয়ে নিলাম।
- মশলাটা করে নিলাম।
- এরপর কড়াইয়ে জল দিয়ে তাতে নুন ও হলুদ দিয়ে ফুলকপি হালকা ভাসিয়ে নেবো।
- ফুলকপি ২মিনিট রেখেই তুলে নিয়েছি।
- কড়াইয়ে তেল দিয়ে মাছ ভেজে নিলাম।
- গরম মশলাটা শীলে নিয়ে নিলাম।
- বেটে নিলাম।
- কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিলাম।
- কড়াইয়ে তেল গরম হলে তাতে জিরা ও তেজপাতা দিয়ে দিলাম।
- ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে তাতে বাটা মশলাটা দিয়ে দিলাম।
- মশলাটা একটু নাড়াচাড়া দিয়ে নুন ও হলুদ আর চিনি পরিমাণ মতো দিয়ে দিলাম।
- মশলাটা ভালো করে কষিয়ে তাতে ভাপানো ফুলকপি দিয়ে দিলাম।
- ফুলকপি আর মশলাটা কষিয়ে নেবো।
- কষানো হলে তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিলাম।
- ঝোলে জন্য অনেকটা জল দিয়েছি।
- ভালো করে ঝোলটা ফোটাতে হবে।
- ঝোল ফুটে উঠলে তাতে ভাজআ মাছ দিয়ে দিলাম।
- এরপর একটু নাড়াচাড়া করে গুড়ো করে রাখা গরম মশলাটা ঝোলে উপর ছড়িয়ে দিলাম।
ব্যস তৈরি হয়ে গেলো ফুলকপি দিয়ে আইড় মাছের ঝোল।
আজকের আমার রান্না আপনাদের কেমন লাগলো আমাকে জানাবেন।
-:উপকারিতা:- |
|---|
নদী ও বিলের মাছের মধ্যে সুপরিচিত একটি মাছ আইড়। এই মাছের পিঠ ও মাথার কাছে তিনটি শক্ত কাটা ও মুখে শুঁড় যক্ত। প্রতি ১০০ গ্ৰামে আইড় মাছের ১৫.৯ গ্ৰাম পুষ্টি আছে, ১.৩ চর্বি, ৮৯ কিলোগ্রাম ক্যালোরি খাদ্যশক্তি, ৩৮০ মি. গ্ৰাম ক্যালসিয়াম, ১৮০ মি. গ্ৰাম ফসফরাস, ০.৭মি. গ্ৰাম লৌহ ও ০.৫ মি.গ্ৰাম নিয়াসিন। তাছাড়া আইড় মাছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড আছে।
আইড় মাছ আমাদের শরীরের প্রাণিজ পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে ও দৈহিক গঠনের সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন কার্যকর। ওমেগা-৩ হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আজ এখানে শেষ করলাম। আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন।
শুভ রাএি।
যদিও আপনার রান্না দেখেই সুস্বাদু হয়েছে বোঝা যাচ্ছে তবে, চিনির পরিমাণ, আদার পরিমাণ, হলুদের পরিমাণ এবং তেলের পরিমাণ উল্লেখ করলে আপনার রান্নাটি বুঝতে সুবিধা হতো। অনুরোধ করবো আমার ভাগ করে নেওয়া রান্না গুলি একটু পড়ার চেষ্টা করবেন।
@sduttaskitchen আজ আমি সব গুলো একদম সঠিক ভাবে পরিমাণ গুলি বলে দিয়েছি।
শীতকালীন সবজি দিয়ে সমস্ত তরকারি খুবই ভালো এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে যেমন কিভাবে আপনি রান্নার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে।
@jakaria121 ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ দেখেই লোভ সামলানো দায় হয়ে যাচ্ছে, বাঙালি তো, কাজেই মাছের প্রতি দুর্বলতা থাকাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া রান্নার রঙ দেখেই ভালো হয়েছে খেতে বোঝা যাচ্ছে।
@pulook স্যার অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার রান্নাটি দেখেই খুব লোভ লাগছে,কিন্তু আমি এই মাছ খেতে পছন্দ করিনা।
@sanchita96 একদিন খেয়ে দেখবে আশা করছি খারাপ লাগবে না।
এই মাছ বাজারে খুব বিক্রি হতে দেখি কিন্তু আমাদের বাড়িতে খুব একটা রান্না হয়না। শেষ করে হয়েছে মনে নেই। তবে আপনার রান্নাটা দেখতে ভীষন লোভনীয় হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
@baishakhi88 আপনাকে ও ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।